জাতীয় আয় পরিমাপের ক্ষেত্রে দ্বৈত গণনা (Double Counting) একটি সাধারণ সমস্যা, যা জিডিপি (Gross Domestic Product) বা জাতীয় আয় পরিমাপ করার সময় তৈরি হতে পারে। দ্বৈত গণনা সমস্যাটি বোঝার জন্য, জাতীয় আয় পরিমাপের বিভিন্ন ধাপ ও পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার।
সংজ্ঞা: দ্বৈত গণনা ঘটে যখন একটি পণ্য বা সেবার মূল্যকে একাধিকবার গণনা করা হয়, যা প্রকৃত আয়ের থেকে বেশি দেখায়। এটি সাধারণত উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরে ঘটে, যেখানে একটি পণ্যের বিভিন্ন উপাদান একাধিক পর্যায়ে যুক্ত হয়।
ধরুন, একটি গমের উৎপাদন ও রুটি তৈরির প্রক্রিয়া:
যদি আমরা এই সবগুলি আলাদাভাবে গণনা করি, তাহলে জাতীয় আয় হবে ১০০০ + ১৫০০ + ২০০০ = ৪৫০০ টাকা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, আয়ের প্রকৃত মূল্য কেবল ২০০০ টাকা, কারণ ১০০০ ও ১৫০০ টাকা ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ২০০০ টাকার মধ্যে।
মান যুক্ত পদ্ধতি (Value Added Method): প্রতিটি ধাপে যোগ হওয়া মান কেবলমাত্র গণনা করা হয়। এতে দ্বৈত গণনার সম্ভাবনা দূর হয়।
ফাইনাল গুডস পদ্ধতি (Final Goods Method): শুধু চূড়ান্ত পণ্য বা সেবার মূল্য গণনা করা হয়, যা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়।
জাতীয় আয় পরিমাপের ক্ষেত্রে দ্বৈত গণনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যা সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সমাধান করা যায়। মান যুক্ত পদ্ধতি বা চূড়ান্ত পণ্য পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা দ্বৈত গণনার সমস্যা এড়াতে পারি এবং প্রকৃত জাতীয় আয় নির্ধারণ করতে পারি।