কীভাবে সমাসের সাহায্যে শব্দ গঠিত হয় উদাহরণসহ আলোচনা করুন।
সমাস হলো এমন একধরনের শব্দ যা দুটি অথবা ততোধিক পূর্ববর্তী শব্দের যোগফলে গঠিত হয়েছে এবং একই সময়ে ঐ শব্দগুলির অসমর্থনকে দূর করে। সমাসের মাধ্যমে শব্দগুলির যোগফল একটি নতুন শব্দ তৈরি করে তাকে বলা হয় সমাস। এখানে কিছু সমাস এবং তাদের উদাহরণ দেওয়া হলো:
দ্বিনিম্নগুণ সমাস (বহুবচনার সমাস):
বাহ্যিক সমাস (বাহ্যিক যোগগুলির সমাস):
কর্মধারয় সমাস (কর্মধারযোগের সমাস):
বহুব্রীহি সমাস (অনেকগুলি ব্রীহি শব্দের যোগগুলির সমাস):
বাহ্যিক সমাস (বাহ্যিক যোগগুলির সমাস):
সূচীপত্র
সূচীপত্র = সূচিপত্র
কাৰ্য্যালয়
কৃতীত্ব
ক্ষিদে
ফরিয়াদী
শুভঙ্কর
কেবলমাত্র প্রতিযোগিরাই মঞ্চে আসবে।
কেবল প্রতিযোগীরাই মঞ্চে আসবে
তুমি স্বাক্ষী দেওয়ায় অপরাধীর আমরণ পর্যন্ত কারাদণ্ড হলো।
তার কনিষ্ঠতম কন্যা দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত।
আর আমার বাঁচিবার স্বাদ নাই।
নিরোগী লোক প্রকৃতপক্ষে সুখী।
নিরোগ লোক প্রকৃত অর্থেই সুখী।
ক্লাস চলাকালীন সময়ে 'ইউনিফর্ম' ছাড়া অন্য পোশাক পড়া নিষেধ।
লেজে খেলানো
রথ দেখা কলা বেচা
মাছের মায়ের পুত্রশোক
ভস্মে ঘি ঢালা
কৈয়ের তেলে কৈ ভাজা
নরকগুলজার করা
গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ সংজ্ঞার্থ ও উদাহরণসহ লিখুন।
বাক্যের শ্রেণিবিভাগ সংজ্ঞার্থ ও উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
সংজ্ঞার্থক বাক্য (বর্ণনামূলক):
উপমৌক বাক্য (ঘটনার বর্ণনা):
সাধারণ বাক্য (উপমৌলক বা সাধারণ কিছু বলার জন্য):
কাজের বাক্য (কোন কাজ বা ক্রিয়ার সাথে):
অভিধান বা শব্দকোষের বাক্য (শব্দের সংদর্শন অর্থ দেওয়ার জন্য):
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চর্যাপদ কেন গুরুত্বপূর্ণ? আলোচনা করুন।
বাংলা সাহিত্যে চর্যাপদ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কারণ এই শৃঙ্গার সাহিত্যে মানব জীবন, মানব সম্পর্ক, এবং ভাবনার বিশেষ দিক উপস্থাপন করে। চর্যাপদ বা শৃঙ্গার সাহিত্যের মাধ্যমে লেখকরা মানবকে একে অপরের সাথে জড়িত করার চেষ্টা করে, সাহিত্যিক ভাবনা এবং ভাষার মাধ্যমে ভারতীয় সমাজের সম্পর্কে বিশেষ পরিকল্পনা প্রদান করে।
চর্যাপদ বা শৃঙ্গার সাহিত্যে ভাষা, ভাবনা, এবং কল্পনা একই সঙ্গে একত্র হয়ে সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়, এবং এটি লেখকের ভাবনা এবং বিশেষ ভাবে যোগান্তর করে। এটি মানব প্রেম, রোমান্টিক আবেগ, সৃষ্টিতত্ত্ব, সুন্দরতা, প্রাকৃতিক বৃদ্ধি, এবং সাধারণ মানব জীবনের অমুক দিক আলোচনা করতে সক্ষম। চর্যাপদ ভাষার সৌন্দর্য্য, সংগতি, এবং সমৃদ্ধির মাধ্যমে পাঠকদের মাধ্যমে অভিজ্ঞান করার জন্য এক অদৃশ্য দৃষ্টিকোণ সৃষ্টি করতে সক্ষম।
চর্যাপদের সাহিত্যিক উপাদানগুলি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধ্যয়নে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, এবং এটি সমাজের অধিকাংশ মানুষের জীবনে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এটি ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি অভিরুচি, রুচি, এবং সংবাদের সঙ্গে একইভাবে সম্পর্কিত, এবং এর মাধ্যমে চরিত্র, ভাষা, এবং সমাজের বিভিন্ন দিক অনুসন্ধান করা হয়।
চর্যাপদ একটি সংক্ষেপমূলক, সুসংবাদ এবং অসাধারণ সাহিত্যিক উপাদান যা বাংলা সাহিত্যে একটি অমূল্য সম্পত্তি হিসেবে পরিচিত।
বাংলা সাহিত্যে 'অন্ধকার যুগ'-এর অস্তিত্ব সম্পর্কে মতামত দিন।
"অন্ধকার যুগ" বাংলা সাহিত্যে একটি গভীর এবং উদার প্রয়াস, যা সময়ের মোড়ে আসার প্রথম দিকে আত্ম-সচেতনতা এবং জনসাধারণের জীবনের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করতে কাজ করেছে। এই প্রয়াসের মাধ্যমে, লেখকরা সমাজের সমস্যা এবং অস্তিত্বের সম্পর্কে আলোচনা করে, আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশ করে এবং সমাজের চেতনা উত্তরাধিকার করতে চেষ্টা করেছে।
"অন্ধকার যুগ" হয়তো সৃষ্টি হয়েছিল বিশেষভাবে 20শ শতাব্দীর দশকে, যখন সমাজে বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ উত্থান করতে আরও বেড়ে গেছিল। এই যুগে বিশ্বের বৃহত্তম সাহিত্যিকরা, ভারতের সাহিত্যিক জগতের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও, এখানে অতি গভীর ও সংঘর্ষবাদী আবেগ থাকায় তারা সমস্যাগুলি নিজেদের সমাধান প্রস্তুত করতে চাননি।
এই সময়ে ভারতে অসমিক্ষ্য সময়, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, এবং অস্তিত্ব ও নাগরিক অধিকারের লড়াই ছিল একটি মুখোমুখি সংঘর্ষের দিকে, যা সাহিত্যিকরা এবং সাহিত্যের মাধ্যমে অভিব্যক্তি করতে চেষ্টা করেছিল। এই সময়ে বাংলা সাহিত্যে "অন্ধকার যুগ" হয়তো একটি মৌলধর যুগ, যেটি সমাজে অবৈচারিক এবং প্রজন্ম বিতর্কিত ঘটনাগুলির চরম দক্ষতা এবং বিশেষ করে সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে ব্যক্ত হয়।
জসীম উদ্দীনের কাহিনিকাব্যসমূহের বৈশিষ্ট্য লিখুন।
জসীম উদ্দীন বাংলা সাহিত্যে একজন প্রমুখ লেখক এবং বিখ্যাত কবি, কাহিনিকার মাধ্যমে তার বিশিষ্ট শৈলী এবং বৈশিষ্ট্যগুলি জনপ্রিয় হয়েছে। জসীম উদ্দীনের কাহিনিকাব্যসমূহের কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
1. **সামাজিক চিত্রণ:** জসীম উদ্দীনের কাহিনিকার মাধ্যমে সামাজিক ও মানবিক সমস্যা গুলির বিশেষ চিত্রণ রয়েছে। তার লেখায় সামাজিক অসমতা, মূল্যবাদ, পারিবারিক বন্ধন, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে উপস্থাপনা করা হয়েছে।
2. **চিন্তামূলক লেখার শৈলী:** জসীম উদ্দীনের লেখার শৈলী চিন্তামূলক এবং গভীর। তার কাহিনিগুলি সাহিত্যিক উপন্যাস এবং ছোট গল্পের সমন্বিত সংমিশ্রণ, যা পাঠকদের জীবনের বিভিন্ন দিকে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে।
3. **মানবিক ভাবনা ও মনের ভাষা:** উদ্দীনের লেখায় মানবিক ভাবনা ও মানসিক চোখে সমস্যা এবং অনুভূতি নিজের ভাষায় অভিব্যক্ত করা হয়েছে। তার লেখায় কয়েকটি অধ্যায় আপনার হৃদয়ে ভূমিকায়িত হবে এবং তার মনের ভাষা পড়ে যাবে।
4. **সাংস্কৃতিক উদ্যানের সাহচর্য:** জসীম উদ্দীনের লেখায় বাংলার সাংস্কৃতিক এবং সাহিত্যিক উদ্যান উপস্থিত থাকে। তার কাহিনিগুলি বাংলার মানবতা, সংস্কৃতি
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সাহিত্যকৃতির স্বাতন্ত্র্য লিখুন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক যে-কোনো একটি গ্রন্থের পরিচয় দিন।
বিদেশি উপসর্গযোগে ৬টি শব্দ গঠন করুন এবং উপসর্গসমূহ কী অর্থে প্রযুক্ত হয়েছে তা লিখুন।
ঠান্ডা
মূর্ছা
জিনিষ
অলঙ্কার
সোনালী
স্বরণী
সেইসব প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
আজ বৈকালে ঘুড়ে বেরিয়ে এসো।
আজকাল ভূরিওয়ালা লোক ভূড়ি ভূড়ি দেখা যায়।
আজকাল ভূরিওয়ালা লোক ভূড়ি ভূড়ি দেখা যায়। = আজকাল ভুঁড়িওয়ালা লোক ভূরি ভূরি দেখা যায়।
নদীটির প্রবাহমানতা তাকে উচ্ছাসিত করে তুলেছে।
আমি রবাহুত হয়েই সেখানে আহুতি দিতে গিয়েছি।
বিধি লঙ্ঘন হয়েছে।
বিষ নেই কুলোপনা চক্কর
গোদের উপর বিষফোঁড়া
চণ্ডীপাঠ থেকে জুতোসেলাই
বানরের গলায় মুক্তোর হার
সব শেয়ালের এক রা
ত্রিশঙ্কু অবস্থা
একটি সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্যসমূহ উদাহরণসহ আলোচনা করুন।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চর্যাপদের গুরুত্ব আলোচনা করুন।