বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা
বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা
প্রকৃতির নন্দনকাননের সৌন্দর্যমন্ডিত কোনো সার্থক চিত্রশিল্পীর নিখুঁত চিত্রকর্মের সঙ্গে তুলনীয়। বদ্বীপ সদৃশ এ বঙ্গভূমির রয়েছে বিচিত্র ভূ-ভাগ এবং সমুদ্র গুনিত বিস্তীর্ণ উপকূল। সমুদ্র তটরেখা ও ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন যা বিদেশি পর্যটকসহ দেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এদেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আছে সমান্তরাল ভূমি, পাহাড়-পর্বত, জলপ্রপাত, চা-বাগানের আহামরি দৃশ্য, সবুজ গালিচার মতো শস্য ক্ষেত, মাঠ-প্রান্তর। আর বিশেষ করে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে আছে রূপালি সব ছোটোবড়ো নদী। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণের অভাব নেই। শুধু 'দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া' ......... একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু'।
অপূর্ব সৌন্দর্যের আধার বাংলাদেশ যার প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যের কোনো অভাব নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। সুন্দরবন, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের অকৃত্রিম সৌন্দর্য, সিলেটের সবুজ অরণ্যসহ আরও অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত, যা আর পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। ১২০ কিঃমিঃ দীর্ঘ সৈকতটিতে কাদার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না । তাই তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সমুদ্র সৈকতের চেয়ে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং এর রয়েছে অপার সম্ভাবনা। বর্তমানে কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে নেয়া হচ্ছে নানা পরিকল্পনা। সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগরের পাড়ে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আকর্ষণে কক্সবাজারে তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছে বর্তমান সরকার। প্রতি বছর এতে বাড়তি ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ তিনটি ট্যুরিজম পার্ক হল সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক।
সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি। এর মোট বনভূমির ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে সঙ্গে এ বনের জীববৈচিত্র্য এটিকে পৃথিবীর অন্য যে কোনো পর্যটন কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্ররূপে উপস্থাপন করেছে। সুন্দরবনকে জালের মতো জড়িয়ে রেখেছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, খাল, শত শাখা নদী, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। সুন্দরবনের নামের সঙ্গে যেই বিষয়টি নিবিড়ভাবে জড়িত, তা হল বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বনভূমিটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানা ধরনের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির, ডলফিন ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।
পর্যটনের অপার সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল যা পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে অধিক পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম মূলত তিনটি জেলা নিয়ে গঠিত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকা, যা তিনটি জেলা, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটনের মূল উপকরণ হল পাহাড়ে ঘেরা সবুজ প্রকৃতি যা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে পর্যটকদের কাছে ধরা দেয়। এটি যেন ক্ষণে ক্ষণে প্রকৃতির রূপ বদলানোর খেলা। এখানে শীতে যেমন এক রূপ ধরা দেয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে, ঠিক তেমনি বর্ষায় অন্য এক রূপে হাজির হয়। শীতে পাহাড় কুয়াশা আর মেঘের চাদরে যেমন ঢাকা থাকে, তার সঙ্গে থাকে সোনালি রোদের মিষ্টি আভা। আবার বর্ষায় চারদিক জেগে ওঠে সবুজের সমারোহ। এ সময় প্রকৃতি ফিরে পায় আরেক নতুন যৌবন। বর্ষায় মূলত অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিস্টদের পদচারণা সবচেয়ে বেশি থাকে এ পার্বত্য অঞ্চলে। তখন এখানে ঝরনা, হ্রদ কিংবা নদীপথগুলো নতুন রূপে সেজে ওঠে যা দেখার জন্য অসংখ্য পর্যটক এখানে ভিড় করেন। এর সঙ্গে আছে পাহাড়ের মানুষের ভিন্নধর্মী জীবনাচরণ যা আমাদের চেয়ে অনেকটা আলাদা।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল। এ শহরে রয়েছে উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ চা বাগান মালনীছড়া চা বাগান। এ অঞ্চলে আসা পর্যটকদের মন জুড়ায় সৌন্দর্যের রাণী খ্যাত জাফলং, নীলনদ খ্যাত স্বচ্ছ জলরাশির লালাখাল, পাথর জলের মিতালিতে বয়ে যাওয়া বিছনাকান্দির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, পাহাড় ভেদ করে নেমে আসা পাংথুমাই ঝরনা, সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল, মিনি কক্সবাজার' হাকালুকি এবং কানাইঘাটের লোভাছড়ার সৌন্দর্য।
বাংলাদেশের হাওর অঞ্চল পর্যটনের আরেক সম্ভাবনার নাম। বাংলাদেশের জেলাগুলোর মধ্যে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এ সাতটি জেলার ৭ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে ৪২৩টি হাওর নিয়ে হাওরাঞ্চল গঠিত। হাওর অঞ্চলের সাগরসদৃশ বিস্তীর্ণ জলরাশির এক অপরূপ মহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা নৌকায় বসে বিস্তীর্ণ নীল জলরাশির মায়ায় ভেসে বেড়াতে পারেন। হাওরের কোলঘেঁষে থাকা সীমান্ত নদী, পাহাড়, পাহাড়ি ঝরনা, হাওর-বাঁওড়ের হিজল, করচ, নল, খাগড়া বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নানা প্রজাতির বনজ, জলজপ্রাণী আর হাওর পারের বসবাসকারী মানুষের জীবন-জীবিকার নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার মতো খোরাক মিলবে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের।
বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা বিরাজমান। কিন্তু এ বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আমরা পর্যটন শিল্পে পিছিয়ে আছি। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সবপক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার- প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে।
যুক্তি, প্রযুক্তি ও নৈতিকতা
আমার মা
বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব
নদীতীরে ঘাট
উৎসের দিক থেকে বাংলা ভাষার শব্দ কত প্রকার? উদাহরণসহ প্রত্যেক প্রকার শব্দের পরিচয় দিন।
প্রথাগত ব্যাকরণে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দসমূহকে একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেণিবিভাগ করা হয়। উৎস বা উৎপত্তি অনুসারে বাংলা শব্দভান্ডারকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়।
এগুলো হলোঃ তদ্ভব শব্দ (যেমনঃ হাত, পা, মাথা, কান), অর্ধতৎসম শব্দ (যেমনঃ গিন্নি, জোছনা, নেমন্তন্ন); তৎসম শব্দ (যেমনঃ চন্দ্র, সূর্য, হস্ত); দেশি শব্দ (যেমনঃ পেট, ঢেঁকি, কুলা); বিদেশি শব্দ (যেমনঃ কাগজ, খাতা চেয়ার, আনারস)।
`বৃক্ষ' শব্দের পাঁচটি সমার্থক শব্দ লিখুন?
'বৃক্ষ' শব্দের ৫টি সমার্থক বা প্রতিশব্দ হলো- গাছ, তরু, বিটপী, পাদক, মহীরুহ।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি উপসর্গ দিয়ে গঠিত পাঁচটি শব্দ উল্লেখ করুন?
৫টি উপসর্গঃ
উপসর্গ | কার্ | নিম | খাসা | লা | ফুল |
শব্দের উদাহরণ | কারখানা | নিমরাজি | খাসমহল | লাপাত্তা | ফুল-হাতা |
শশান
শ্মশান = শ্মশান।
বিদ্যান
বিদ্যান = বিদ্বান
পুরুস্কার
পুরুস্কার = পুরস্কার
প্রতিদ্বন্দীতা
প্রতিদ্বন্দীতা = প্রতিদ্বন্দ্বিতা
আনাহত
আনাহত = অনাহুত; অনাহত।
শাপে বর
শাপে বর (অনিষ্টে ইষ্ট লাভ) = তার অপকার করতে গিয়ে বরং হাজার টাকা লাভ হলো, একেই বলে শাপে বর।
দক্ষিণ হস্তের ব্যাপার
দক্ষিণ হস্তের ব্যাপার (ভোজন) = দক্ষিণ হস্তের ব্যাপারটা এখনও সারা হল না?
ঘুণাক্ষর
ঘুণাক্ষর (সামান্য ইঙ্গিত) = এমনভাবে কাজটা করবে যেন ঘুণাক্ষরেও কেউ জানতে না পারে।
গুড়ে বালি
গুড়ে বালি (আশায় নৈরাশ্য) = সরকারি চাকরি পাওয়াটা আমার জন্য গুড়ে বালি নয়।
নয় ছয়
নয় ছয় (অপব্যয়) = অযোগ্য লোকের হাতে পড়ে ব্যবসার টাকা নয় ছয় হয়ে গেল।
সৃষ্টির প্রথম থেকেই সৃষ্টিকর্তা জীবের আবেদন-নিবেদনের প্রতি অমনযোগী নন। আজও ঠিক তেমন-ই আছেন। কোন কালেই তিন তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিরূপ হন না।
তারিখঃ ০৯.০২.2021
পরিচালক
রিসেন্ট পাবলিকেশন্স লিমিটেড
৪০, বাংলাবাজার
ঢাকা-১১০০
বিষয়ঃ ভিপি ডাকযোগে বই পাঠানোর অনুরোধ।
জনাব,
শুভেচ্ছা নেবেন। অনুগ্রহপূর্বক আপনাদের প্রকাশিত নিচের তালিকাভুক্ত বইগুলো এক কপি করে নিম্নবর্ণিত ঠিকানায় ভিপি ডাকযোগে পাঠিয়ে বাধিত করবেন। এই সঙ্গে আগাম হিসেবে ১,০০০ টাকা মানি অর্ডার করে পাঠালাম। বই পাওয়ার পর বাকি টাকা পরিশোধিত হবে। আপনার ব্যবসায়ের উন্নতি হোক। ধন্যবাদান্তে
বিনীত নিবেদক
সোহেল হোসেন
প্রথম বর্ষ (বাণিজ্য শাখা) রোল নং ১৫
রাজবাড়ী সরকারি কলেজ, রাজবাড়ী।
প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকাঃ
০১. জলাঙ্গী : শওকত ওসমান।
০২. উপমহাদেশ : আল মাহমুদ।
০৩. হাঙর নদী গ্রেনেড : সেলিনা হোসেন।
০৪. নিষিদ্ধ লোবান : সৈয়দ শামসুল হক।
০৫. রাইফেল রোটি আওরাত : আনোয়ার পাশা।
সিংড়া, নাটোর
০৯-০২-২০২১
প্রিয় পল্লব বর,
তোমার বাবার মৃত্যুর মর্মান্তিক সংবাদ বহন করে আসা চিঠিটি পেয়ে আমি স্বজন হারানোর বেদনা অনুভব করছি, একইসঙ্গে তোমার বেদনাহত মুখখানিও আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমার মনের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনুভব করলাম পিতৃবিয়োগের ঘটনাটি তোমার জন্যে কতখানি দুঃখের এবং বেদনার। এত তাড়াতাড়ি তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন এটা যে আমি ভাবতেও পারিনি। কিন্তু মৃত্যু কাউকে বলে কয়ে আসে না বলে চিরন্তন এ সত্যকে মেনে নিতেই হয়। তাছাড়া তুমি তো জানো, 'সকল প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিতে হইবে' এটাও চিরন্তন সত্য। তাই ধৈর্য ধারণ করা ছাড়া কী-ই বা করার আছে। বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করাই প্রতিটি মানুষের জন্যে মঙ্গলজনক। পরম করুণাময়ের কাছে শুধু এটাই দোয়া করছি, তুমি যেন জীবনের এই বুক-ভাঙা ঘটনার শোক কাটিয়ে উঠতে পারো।
বন্ধু, এই চরম বিপদের দিনে তোমাকে ভেঙে পড়লে চলবে না। একদিন সবাইকেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। জীবনের এই চরম সত্যকে উপলব্ধি করে তোমার মনোবল বৃদ্ধি করো। দোয়া করি, দ্রুত তুমি তোমার দুঃখ বেদনাকে অতিক্রম করে পড়াশোনায় মন দিতে পারবে। আমি তোমার আব্বার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। আব্বু-আম্মুও এ ঘটনা জেনে খুবই মর্মাহত হয়েছেন। আমাকে নিয়ে আগামী শুক্রবারেই আব্বু তোমাদের দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তুমি ভালো থাকো।
ইতি
তোমারই
প্রতাপ বর
প্রেরক: নাম: প্রতাপ বর ঠিকানা: বেলোয়া, রনবাঘা, সিংড়া, নাটোর | প্রাপক: নাম: পল্লব বর ঠিকানা: সাভার, ঢাকা। |
Self-reliance means depending on one's own life. It is a great virtue. Self-help is the best help. So, everybody must rely on his own abilities to be self-reliant. A self-reliant man has confidence in his own abilities. He takes heart in the face of difficult.
= আত্মনির্ভরশীলতা অর্থ নিজের উপর নিজেই নির্ভর করা। এটি একটি মহৎ গুণ। স্বাবলম্বনই সর্বশ্রেষ্ঠ অবলম্বন। কাজেই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য প্রত্যেককেই নিজের উপর নির্ভরশীল হতে হবে। আত্মনির্ভরশীল মানুষের নিজের সক্ষমতার উপর আত্মবিশ্বাস থাকে। বিপদের সময় সে সাহস রাখে।
Healthy Living (Hints: Introduction- What is healthy living- Importance of healthy lifestyle- Elements of healthy living: balance diet, physical exercise, sufficient sleep, avoiding harmful habits, stress management, recreation etc - Conclusion)
Healthy Living
Introduction: A healthy lifestyle involves a lot of things under it, including a nutritional diet, daily exercise, adequate sleep, being happy and thinking positively. When we do all the necessary elements to have a healthy lifestyle, our lives are going on the right path. Living a healthy life is vital for you to be happy and feel good in your present life and for the future. Once you choose to live a healthy life, it lasts all your life. It not only helps you live longer but also better and less prone to sickness and diseases. A healthy lifestyle is the kind of lifestyle that we should all strive for.
What is healthy living: 'Healthy living' means maintaining a healthy lifestyle and introducing habits that improve your health. It can be difficult to change old habits, but there are steps you can take to become healthier. An important first step is identifying less healthy habits and learning new, positive ones to replace them.
Importance of healthy lifestyle: Life without health has no meaning; life is precious, but health is more precious than it because life without health is just like food without taste. Health gives you the opportunity to live your life full of joy and make you able to do all of its activities as you desire. When you live a Healthy Lifestyle, your body remains healthy, and your mind stays intuitive and fresh. So, this would prevent you from so many severe diseases, and live a healthy life to its full extent.
Boost energy: A healthy lifestyle plays a vital role in boosting the energy in a person's body and providing a better performance in every activity of life. A good lifestyle minimizes the chances of insufficient sleep, and a person's body will get all the essential nutrients that are required to function precisely. A healthy lifestyle includes slight changes in life like daily habits and routine, and the most important food you eat because the food you eat impacts directly on your body and behavior. If you eat unhealthily, you might feel lethargic, and on the contrary, eating a healthy balanced diet will boost your energy the whole day and make your body able to perform all functions. A healthy diet includes whole grains, lean meat, low-fat dairy products, fruits, and vegetables. If you have a balanced diet and enough exercise on a daily basis, it will give you a good sleep and allow you to stay fresh and energetic the whole day.
Improve longevity: If someone adopts a healthy lifestyle, it affects the habits and daily routine activities of this person permanently; if the person has bad habits, that would be changed with the good habits in the result as he is leading toward a healthy lifestyle. When your body begins to get nutrition and do proper exercise, it corrects all the bad habits and your daily routine. In this way, your body becomes more fit and healthy. All things collectively lead to the result in the longevity of a person's life. A healthy lifestyle also gives healthier and younger skin, nourished hair, and overall well being Regular workout and a balanced diet are very vital to avail of all the above benefits. If you want a healthy body, take a simple and short walk and gradually increase it to a long walk every day.
Prevent disease: The most important thing is that a good healthy lifestyle provides immunity against several severe diseases, many dangerous viruses and bacteria. A healthy body and mind are very important for a good life, and that is possible only if you choose an active lifestyle, but if you choose an inactive lifestyle, you may have some chronic diseases like cancer, hypertension, and several others; those might be very harmful to you. When we are trying to adopt a healthy lifestyle, we have to change certain habits, transform our daily routine, and start eating that food which provides nourishment to your body and stay it fit. Immunity is the foremost thing that a man acquires when he stays fit and achieves a healthy lifestyle. Living a healthy lifestyle saves not only men from deadly diseases but also simple ones like flu and stomach disorder. So, regular exercise and a regular balanced diet will increase your metabolic rate and also improve the overall condition of your health.
Improve mood: Bad habits in your daily lifestyle may lead to a bad mood, and you can improve it by adopting a healthy lifestyle, it will lead you to a relaxed mind and keep you energetic in a day. Exercise and eating good will help to improve your mood and boost your self-confidence. It is human nature that when a person is happy and satisfied, he performs his work more accurately and creatively, but if his mood is not refreshing then he can't perform anything at his best. A fine and healthy lifestyle will help the person to release stress and tension from his mind, so this person can perform all his tasks with his full intuition and give amazing results.
Weight management: If you want to avoid being overweight, do regular exercise, and Eat a Healthy Diet, that will help you to avoid excess weight and fat. Physical activity is crucial for anybody to approach his weight loss target, increase your immunity, and alleviate your energy level. One hundred fifty minutes workout at least necessary for anybody to stay active and fit in a week. You should take a balanced diet along with exercise, right carbs, fat, and proteins boost your energy level and keep it running the whole day. Using whole grain will help you to improve your health and prevent you from heart disease, diabetes, and some certain cancers. Pack your diet with whole grain, vegetables, fruits, nuts, seeds for proteins, healthy fats, and kinds of seafood.
Elements of healthy living: There are some elements of healthy living:
01. Eating a variety of foods
02. Base your diet on plenty of foods rich in carbohydrates
03. Replacing saturated with unsaturated fat 04. Enjoying plenty of fruits and vegetables
05. Reducing salt and sugar intake
06. Eating regularly, control the portion size
07. Drinking plenty of fluids
08. Maintaining a healthy body weight !
09. Geting on the move makes it a habit
10. Starting now! And keep changing gradually.
Conclusion: Staying healthy has never been so important as the need to remain in good health can have a positive effect on almost every aspect of our lives. Staying fit can be done in a variety of ways, including eating lean and healthy meats along with plenty of fruits and vegetables. Spending a little time each day exercising can help us all to become healthy and avoid the modern blight of obesity.
Songs I Enjoy Listening To (Hints: Introduction - Your most favourite type of songs - Why you like it - Your favourite singers - How often you listen to music - The influence music has on you- Conclusion)
My dear Pollob,
Take my Salam and love. Your letter dated 01.02.2021, is to hand. I learnt from it that you want to know the importance of practicing good manners in life.
Now-a-days young boys and girls do not care to behave well with people. Most of the time, they behave rudely with elderly people which goes against our ethics and principles. They become violent for a trifling thing. If we do not behave well, we can not expect others to do the same things to us. There is a famous saying that treat people the way you want to be treated. Remember, good manners cost nothing but buy love, honour and respect. I would like to suggest you to give up bad habits. Follow each and every rule that is prescribed in our Holy Quran. If you practice these good manners, you can become a good human being. You can gain people's trust and be happier in your life. Good manners develop your personality, increase your confidence. I thereby suggest you to develop good manners and lead a successful and happy life.
No more today, convey my best regards to parents.
Your loving
Pronay
From, Pronay Address: Belowa, Ranbagha, Singra, Natore | To, Pollob Address: Gabtoli, Dhaka. |
01.02.2021
Manager
Haque Traders,
Tepra, Shibalaya, Manikgonj-1850
Subject: Immediate replacement for a fan which was bought yesterday.
Dear Sir,
I humbly draw your attention that on 31.01.2021, I bought four ceiling fans model lovely NEODF278 from your showroom. I bought it for my nearby mosque. But if is a matter of regret that one of your ceiling fans is not running as it has a major problem.
I request you to replace the fan as immediately as possible.
Thanking
Md. Hanjala Yakub
Secretary,
Baitul Aman Jam-e Masjid,
Dhohira Tepra-1850
'Bangabandhu-1' is the first Bangladeshi geostationary communications and broadcasting satellite which was named after Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.
'Bangabandhu-1' speaks about the vibrant advancements in all sectors of Bangladesh that took places since its birth.
Before launching Bangabandhu Satellite-1, Bangladesh spends $14 million annually to rent satellite connectivity from foreign service provides.
Besides providing uninterrupted services in the crisis moment, Bangabandhu-1 can also earn money by renting it's bandwidth to many countries. Thus, it can be a source of income.
In the event of unexpected disasters, when traditional telecommunication network may collapse, then Bangabandhu Satellite network can play an important role in ensuring uninterrupted telecommunication services throughout the country.
Ushoshe takes---her mother.
Ushoshe takes after her mother.
বাক্যের অর্থঃ Ushoshe দেখতে তার মায়ের মতো।
Smoking tells---health.
Smoking tells upon health.
বাক্যের অর্থঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
They agree---what you say.
They agree with what you say.
বাক্যের অর্থঃ আপনি যা বলেন তার সাথে তারা একমত।
The boy has been absent---Monday.
The boy has been absent from Monday.
বাক্যের অর্থঃ বালকটি সোমবার হতে অনুপস্থিত।
We had to call---a doctor.
We had to call in a doctor.
বাক্যের অর্থঃ আমাদেরকে একজন ডাক্তার ডাকতে হয়েছিল।
Figure out
Figure out (খুঁজে বের করা) = It's really hard to figure him out in the crowd.
Count on
Count on (নির্ভর করা) = Whatever you are doing, you can count on me.
Keep in touch with
Keep in touch with (নিয়মিত যোগাযোগ আছে এমন) = Please keep in touch with your minister.
Hang out
Hang out (বাস করা) = Where is Hanjala hanging out now?
Come to light
Come to light (জানাজানি হওয়া) = After all, their relationship came to light.
Well off
Well off (বিত্তবান, ধনী) = Rafiza's family is not so well off.
Ups and downs
Ups and downs (উত্থান-পতন) = Everyone has ups and downs in life.
I want to know what is the matter.
I want to know what is the matter.
= I want to know what the matter is.
বাক্যের অর্থঃ বিষয়টি কি আমি জানতে চাই।
Today is very hot.
Today is very hot.
= It is very hot today.
বাক্যের অর্থঃ আজ খুব গরম।
My father insisted me to go abroad.
My father insisted me to go abroad.
= My father insisted me on going abroad.
বাক্যের অর্থঃ বিদেশে যেতে আমার পিতা আমাকে জোর করেছিল।
The boy is a foolish.
The boy is a foolish.
= The boy is a fool.
বাক্যের অর্থঃ ছেলেটি বোকা।
Your watch is better than her.
Your watch is better than her.
= Your watch is better than that of her.
বাক্যের অর্থঃ তার ঘড়ির চেয়ে তোমার ঘড়িটি ভালো।
It was a most unique work.
It was a most unique work.
= It was a unique work.
বাক্যের অর্থঃ এটি একটি চমকপ্রদ কাজ ছিল।
The quality of mangoes are not good.
The quality of mangoes are not good.
= The quality of mangoes is not good.
বাক্যের অর্থঃ আমের ধরণ অতো ভালো নয়।
দেয়া আছে, সিরাপ : পানি = ৫ : ৩
অনুপাতদ্বয়ের যোগফল = ৫ + ৩ = ৮
সিরাপ আছে একক এবং পানি আছে একক
ধরি, x অংশ তুলে নেয়া হল, সম পরিমাণ পানি দিলে,
নতুন মিশ্রণে সিরাপ হবে =
নতুন মিশ্রণে পানি হবে =
শর্তমতে,
অর্থ্যাৎ মিশ্রণ থেকে অংশ উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল।
জারিন ১ দিনে করতে পারে = অংশ কাজ
ওয়াফি ১ দিনে করতে পারে =অংশ কাজ
কফিল ১ দিনে করতে পারে = অংশ কাজ
ওয়াফি ও কফিল তৃতীয় দিনে জারিনকে সাহায্য করলে, জারিন প্রথম তিনদিনে করতে পারে
=অংশ
জারিন অংশ করতে পারে = ৩ দিনে
জারিন ১ অংশ করতে পারে = দিনে।
১ ঘণ্টা বা ৬০ মিনিটে যায় ৪৫ মাইল
১ মিনিটে যায় = মাইল
২০ মিনিটে যায় = মাইল
১ ঘন্টা বা ৬০ মিনিটে যায় = ৪০ মাইল
৪০ মিনিটে যায় = মাইল
মোট সময় = (২০+৪০) বা ৬০ মিনিট = ১ ঘন্টা
মোট অতিক্রম করে = ১৫+৪০ = ৫৫ মাইল
নির্ণেয় গতিবেগ = মাইল/ঘন্টা
x(x+1) (x+2) (x+3) -15
প্রদত্ত রাশি,
z+q = 180° (সরলকোণ)
= x + y + z = 180° = 2 সমকোণ।
মনে করি, গাছটির উচ্চতা = x মিটার
tan60= লম্ব/ভূমি=
উত্তর: 17.32 মিটার।
তিনটি ক্রমিক মৌলিক সংখ্যার গুণফল 1001 হলে প্রথম মৌলিক সংখ্যা 7.
কারণ, 7 11 13 = 1001
উত্তরঃ 7.
ধরি, বিয়োগ করলে = √72-x=√√32
= √72 - 132 = x
= √36x2 - 1/16 x 2 = x
= 6√2-4√2=x
= 2√2 = x
√72 থেকে 2√2 বিয়োগ করলে বিয়োগফল √32 হবে ।
ধরি, আয় : ব্যয় = 20x : 15x
সঞ্চয় = 20x - 15x = 5x
এখানে, 100 = 25
মাসিক সঞ্চয় আয়ের শতকরা ২৫ ভাগ।
0.13 এর ভগ্নাংশ রূপ হলো .
প্রদত্ত অসমতাটি হলো 1-3x
ধরি, প্রথম পদ a = 2 এবং সাধারণ অনুপাত = -
চতুর্থ পদ =
[সমকোণ বহুভুজের বাহু n]
সমষ্টি = 3
মৌলিক অধিকার বলতে বুঝায় নাগরিক জীবনের বিকাশ ও ব্যক্তির জন্য সে সমস্ত অপরিহার্য শর্তাবলি যা সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংবিধান হতে প্রাপ্ত এবং সরকারের নিকট অলঙ্ঘনীয়। মৌলিক অধিকার নাগরিকের জন্মগত অপরিহার্য অধিকার, বা সংবিধানের মাধ্যমে নাগরিকগণ লাভ করে থাকে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে 'সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা' সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ সংবিধানের ২৯ (১) নং অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। সংবিধানের ২৯ (২) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না। সংবিধানের (৩) এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুইঃ (ক) নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাঁহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হইতে, (খ) কোন ধর্মীয় বা উপ-সম্প্রদায়গত প্রতিষ্ঠানে উক্ত ধর্মাবলম্বী বা উপ-সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিয়োগ সংরক্ষণের বিধান-সংবলিত যে কোন আইন কার্যকর করা হইতে, (গ) যে শ্রেণির কর্মের বিশেষ প্রকৃতির জন্য তাহা নারী বা পুরুষের পক্ষে অনুপযোগী বিবেচিত হয়, সেইরূপ যে কোন শ্রেণির নিয়োগ বা পদ যথাক্রমে পুরুষ বা নারীর জন্য সংরক্ষণ করা হইতে, রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ ঘোষণা প্রবাসী মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তবর্তীকালীন সংবিধান হিসাবে কার্যকর। এমনকি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ ঘোষণা দেশের সংবিধান হিসাবে কার্যকর থাকবে। একটি অতীব সংকটময় অবস্থার মোকাবেলায় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে সামরিক বাহিনীর আক্রমণের অব্যবহিত পূর্বে এবং পাকিস্তান বাহিনী কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের প্রাক্কালে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। স্বাধীনতা ঘোষণায় বলা হয়েছে 'ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।'
বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত নির্বিশেষে বহু দেশে যানজট একটি বহুল আলোচিত সমস্যা। উন্নয়নশীল দেশের নগরসমূহে এ সমস্যা তীব্র, বিশেষ করে অর্থনীতিতে এর প্রভাব অত্যন্ত নেতিবাচক। ইউরোপে বছরে ২০০ বিলিয়ন ইউরো, যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলার নষ্ট হচ্ছে যানজটের ফলে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর ক্ষতির পরিমাণ বছরে প্রায় ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের মোট জিডিপির ৭ শতাংশের সমান। বলার অপেক্ষা রাখে না, আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সমাজ ও পরিবেশের ওপরও যানজট বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধমান একটি নগর, যেখানে বিবিধ উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। রাজধানীর পাশাপাশি ঢাকা দেশের প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দেশের সব প্রাপ্ত থেকে মানুষ তার বিবিধ প্রয়োজনে ছুটছে ঢাকা অভিমুখে, বাড়িয়ে তুলছে নগরীর জনসংখ্যাকে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যা নগরীতে নানা কৃত্রিম সমস্যার সৃষ্টি করছে, যার মধ্যে অন্যতম যানজট। ঢাকায় দৈনিক প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ যাত্রা (ট্রিপ) হয়। একজন মানুষ কোনো একটি বাহনে উঠে নির্ধারিত গন্তব্যে নামলে একটি যাত্রা বা ট্রিপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যানজটের আর্থিক ক্ষতি নিয়ে একাধিক গবেষণায় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উঠেএসেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক ক্ষতি হচ্ছে। এ থেকে বলা যায়, গড়ে বছরে যানজটের কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। তবে সড়ক খাতে বিনিয়োগ, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও যানজট নিরসনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এই ক্ষতির অন্তত ৬০ শতাংশ বা ২২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা যেত।
যানজট ৯ ধরনের মানবিক আচরণকে প্রভাবিত করছে। দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব থেকে শুরু করে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার মতো বিষয়গুলো যানজটে প্রভাবিত হচ্ছে। যানজটে বসে থাকলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। নানান রকম দুশ্চিন্তা ভর করে। এই মানসিক চাপ সব ধরনের রোগের উৎস। চাপের ফলে নাগরিকদের মেজাজ পিটপিটে হয়ে যায়, যুদ্ধাংদেহী মনোভাব চলে আসে। যানজটের কারণে মানসিক অশান্তি তৈরি হয়, যার প্রভাব পড়ে পরিবারসহ বিভিন্ন সামাজিক সম্পর্কে। ব্যক্তির কর্মদক্ষতা, কর্মস্পৃহা নষ্ট হয়ে যায়। যে চালকেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা গাড়ি চালান, তাদের দুর্ঘটনা ঘটানোর আশঙ্কা বেশি থাকে। আর উচ্চমাত্রার শব্দদূষণের ফলে দীর্ঘস্থায়ী বধিরতা তৈরি হতে পারে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার আকাঙ্ক্ষা সব দেশেরই। কেননা, এর সঙ্গে দেশের সম্মান, আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি ইত্যাদি জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশ একটি অগ্রসরমান দেশ। মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধির হার তুলনীয় অনেক দেশের চেয়ে বেশি। আর সামাজিক খাতে বাংলাদেশের সাফল্য তো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ। এটি আমাদের জন্য সুখকর নয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়বে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আমরা এক কাতারে দাঁড়াতে পারব। কিন্তু অবকাঠামোগত দুর্বলতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব এবং সুশাসনের ঘাটতির জন্য আমরা দ্রুত অগ্রসর হতে পারছি না। মনে রাখতে হবে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বেশ কিছু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হব। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ইত্যাদি উন্নত দেশে আমরা আমাদের রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাই। উন্নয়নশীল দেশ হলে আমরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হব। তখন আমাদের প্রতিযোগী দেশ যেমন চীন ও ভিয়েতনামের মতো শর্তে পণ্য রপ্তানি করতে হবে। এ ছাড়া বাণিজ্যসংক্রান্ত মেধাস্বত্ব আইন বা ট্রিপস এবং বাণিজ্য-সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধাগুলো আমরা আর পাব না।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু এই সুবিধা পাওয়ার জন্যই আমরা স্বল্পোন্নত দেশে রয়ে যাব কি না। আর শুল্কমুক্ত সুবিধা সারা জীবন শুধু স্বল্পোন্নত দেশের জন্যও থাকবে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দোহা রাউন্ডের চুক্তিগুলো বাস্তবায়িত হলে শুল্ক এমনিতেই সবার জন্য কমে যাবে। তখন আর আমাদের জন্য অগ্রাধিকারমূলক শুল্কসুবিধা থাকবে না। তা ছাড়া, বর্তমানে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তিগুলোতেও শুল্ক হারে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ার সুবিধা একসময় শেষ হয়ে যাবে। তাই আমাদের লক্ষ্য হবে প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করে, মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটিয়ে এবং অর্থনৈতিক নাজুকতা কাটিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়া।
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড হলো কোনো দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার, অর্থাৎ ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার আধিক্য। যখন এই কর্মক্ষম জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি থাকে, তখন ওই দেশ ডেমোগ্রাফিক বোনাসকালে অবস্থান করছে বলে ধরা হয়। মনে করা হয়, এ জনসংখ্যা কোনো না কোনোভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে, যা দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে। ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে এদেশের কর্মক্ষম জনশক্তি ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ৯৮ লাখে। আর ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ১৩ কোটি ৬০ লাখে উন্নীত হবে। জনসংখ্যার ডিভিডেন্ড বা বোনাসকালের সুবাদে দেশে বর্তমানে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ছয় কোটি সাত লাখ, যা মোট জনগোষ্ঠীর ৩৯ শতাংশ। এর মধ্যে কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে পাঁচ কোটি ৮১ লাখ। সে হিসাবে বেকারের সংখ্যা ২০ লাখ। আর নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে শ্রমশক্তির বাইরে রয়ে গেছে সোয়া চার কোটি মানুষ। মোট জনশক্তির বাকিটা ১০ বছরের নিচে শিশু। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে ২০১০ সালের শ্রমশি জরিপে দেশে কর্মক্ষম মানুষ ছিল পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ। সে হিসাবে তিন বছরে দেশে শ্রমশক্তি বেড়েছে ৪০ লাখ। আর ২০১১ সালের পঞ্চম আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৪১ লাখ ।
জনসংখ্যার এই আধিক্যের মধ্যেও বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানোর সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। কোনো একটি রাষ্ট জনসংখ্যা পরিবর্তনে সুযোগ একবারই পেয়ে থাকে। এ সময়টাকে বলা হয় জনসংখ্যার ডিভিডেন্ড বা বোনাসকাল। অর্থাৎ সময়ে দেশের জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বেশি থাকে ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যের লোক ১ থেকে ১৫ বছরের নিচে বয়সী জনসংখ্যাও কমতে থাকে। একই সঙ্গে ৬৪ বছরের ওপর জনসংখ্যা থাকে সবচেয়ে কম। বাংলাদেশেও এখন সবচেয়ে কম নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী বসবাস করছে। সর্বাধিক কর্মক্ষম এই জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কাজের পরিবেশ তৈরি করাটা জরুরি। গত তিন বছরে দেশে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সের যুবসমাজের হার বেড়েছে। দেশে এখন দুই কোটি ৩৪ লাখ যুবক ক নিয়োজিত। ২০১০ সালের জরিপে ছিল দুই কোটি ৯ লাখ। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে হলে সবার আগে দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। একই সঙ্গে কারিগরি ও শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
বিগত ২০১৯ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এর তথ্যানুযায়ী তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। গত বছর ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। যদিও ২০১৯-২০ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি মার্কিন ডলার। এজন্য পোশাক শিল্প হলো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত। তবে যে কোনো দেশের জন্য কোনো শিল্প হতে লাভজনক আয়ের একটি সময়কাল থাকে, পোশাকশিল্পের পর আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য পর্যটন খাতকে চিহ্নিত করা উচিৎ বলে মনে করি। কারণ পর্যটন এখন একটি শিল্প, যা অনেক দেশের অর্থনীতির একটি মুখ্য উপাদান। এ শিল্প বিশ্বব্যাপী একটি দ্রুত বিকাশমান খাত হিসেবে চিহ্নিত। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ছাড়াও বহুমাত্রিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পর্যটন অনেক দেশেরই শীর্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্পে পরিণত হয়েছে। পর্যটন একটি ব্যতিক্রমধর্মী রপ্তানি-বাণিজ্য। অন্যান্য বাণিজ্যে বিদেশে পণ্য পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়। কিন্তু পর্যটনের ক্ষেত্রে বিদেশিদের দেশ ভ্রমণে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের সেবা ও সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ সমাগম করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হয়। পর্যটনে বিদেশি পর্যটক নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণে এসে থাকা-খাওয়া, যাতায়াত বিনোদন ইত্যাদিতে যে অর্থ ব্যয় করে, তা অন্য দেশের বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে অর্জিত হয়। পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হোটেল, মোটেল ও অন্যান্য সহসংস্থার অর্জিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অন্যান্য রপ্তানির তুলনায় পর্যটনশিল্প থেকে আয়ের পরিমাণ দ্রুত বর্ধনশীল ।
একটি পর্যটন অঞ্চল গঠন ও উন্নয়নের ফলে সেখানে পর্যটকের সমাগমের মাধ্যমে অর্থপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। কম শিল্পায়িত এলাকায় পর্যটনশিল্পের বিকাশের ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়, যা আশপাশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। পর্যটনকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের বহু দেশ প্রমাণ করেছে, পর্যটন অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম। সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, হংকং, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জাতীয় আয়ের একটা বড় অংশ অর্জিত হয় এ খাত থেকে। মালদ্বীপের অর্থনীতির প্রধান অংশ পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল ।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট ৫টি কয়লাখনি আবিষ্কৃত হয়েছে এবং কয়লাগুলোও বেশ উন্নতমানের যাদের জ্বালানি হিসেবে দহন ক্ষমতা ৬০% - ৮০%। কিন্তু বাংলাদেশের মতো উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের দেশে এই কয়লা উত্তোলনে প্রয়োজন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যাতে পরিবেশের ক্ষতি না করে প্রয়োজন মাফিক সর্বোচ্চ পরিমাণ কয়লা উত্তোলন করা যায় ।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়ই চীনের বন্ধু রাষ্ট্র। চীন উভয় রাষ্ট্রের-ই বৃহত্তম উন্নয়নে অংশীদার। চীনের উপর রেখে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের সহযোগিতার বিষয়ে আপনার মতামত লিখুন । বহির্বিশ্বের প্রভাব চীনা প্রভাবের তুলনায় নগণ্য। আবার, চীনের এবং দুটি দেশেই বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত চীনকে সাথে নিয়ে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা।
যখন কোনো দেশ তার কূটনৈতিক সক্ষমতাকে অর্থনেতিক সমৃদ্ধ অর্জনের প্রধানতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং কূটনীতি ও বিদেশে তার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও নিজ দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে তখন তাকে অর্থনৈতিক কূটনীতি বলে। ভারত বহির্বিশ্বে তার বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের সুনাম প্রচারের মাধ্যমে প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ২-৩% লোকের বহির্বিশ্বে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। সেই সাথে অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বাৎসরিক ২০০-৩০০ বিলিয়ন ডলারে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে। অপরদিকে দুর্বল অর্থনৈতিক দেশগুলোকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সাহায্য-সহযোগিতা এবং ঋণের মাধ্যমে তাদের কূটনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করছে।
ভেনিজুয়েলা ও ইন্দোনেশিয়া OPEC এর সদস্য এবং জ্বালানী তেলের প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে না পারার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অরাজকতা, বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর বিদ্রোহ, সংঘর্ষ এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি।
দক্ষিণ এশিয়ার জাতি গোষ্ঠী সমূহের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং ব্যবসা- বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে SAARC গঠিত হয়। এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সদস্য রাষ্ট্র কোনো বিষয়ে আপত্তি জানালে তা নিয়ে আর আলোচনা করা যায় না এমনকি দ্বি-পাক্ষিক কোনো বিষয় এই ফোরামেও আলোচনা করা যায় না। দক্ষিণ এশিয়ার বিবাদমান দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র ভারত এবং পাকিস্তান কাশ্মিরকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই পরস্পর বিরোধী অবস্থানে থাকার করণে SAARC তার উদ্দেশ্যে পূরণে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে। এই বিবাদমান দুই দেশের বিরোধ মিমাংসা SAARC কে একটি গতিশীল ও কার্যকর সংস্থায় পরিণত করবে।
এক দেশ দুই নীতি বা 'ওয়ান কান্ট্রি টু পলিসি'র দেশ চীন। ১৯৯৭ সালের ৩০ জুন মধ্যরাতে হংকং চীনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে চীন সরকার এই নীতি প্রণয়ন করে। চীনের শাসনাধীনে যাওয়ার পূর্বে হংকংয়ের অর্থনীতি ছিল পুঁজিবাদী ব্যবস্থা। অন্যদিকে চীনের অর্থব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল সমাজতান্ত্রিক। এ অবস্থায় চীন সরকার হংকংয়ের পূর্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার উক্ত নীতি প্রবর্তন করে। হংকং ১৯৯৭ সালের চীনের কাছে প্রত্যাপিত হয়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ নানাবিধ কার্যসম্পাদন করে থাকে। জাতিসংঘ সনদ মোতাবেক সাধারণ পরিষদ যে সমস্ত কার্যাবলি করে থাকে সেগুলো নিম্নোক্তভাগে ভাগ করা যায়ঃ
০১. নির্বাচনমূলক কাজঃ সাধারণ পরিষদের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো নির্বাচন পরিচালনা করা। নির্বাচন সংক্রান্ত এ পরিষদ নিম্নোক্ত কার্যাবলি সম্পাদন করেঃ ক. নিরাপত্তা পরিষদের ১০ জন অস্থায়ী সদস্য নির্বাচন করা। ভৌগোলিক ভিত্তিতে আফ্রো-এশিয়া এলাকা থেকে ৫ জন, পূর্ব ইউরোপ থেকে ১ জন, ল্যাটিন আমেরিকা থেকে ২ জন এবং পশ্চিম ইউরোপ ও অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে ২ জন নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
খ. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ECOSOC) ৫৪ সদস্যের নির্বাচন করা।
গ. জাতিসংঘ সনদের ৯৭ ধারা মোতাবেক নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশক্রমে জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচন করা। সাধারণ পরিষদ প্রতি ৫ বছরের জন্য মহাসচিব নির্বাচন করে থাকে।
ঘ. এ পরিষদ আন্তর্জাতিক আদালতের ১৫ জন বিচারকের নির্বাচন করে থাকে। তবে এ নির্বাচনে সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ স্বতন্ত্রভাবে ভোট প্রদান করে থাকে।
ঙ. অছি পরিষদের সদস্য নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। অবশ্য বর্তমানে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা হিসেবে আছি পরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
০২. অর্থ-সম্পর্কিত কার্যাবলি। ০৩. তত্ত্বাবধায়কের কাজ; ০৪. সুপারিশমূলক: ৩৫, সনদ সংশোধনমূলক, ০৬, সহযোগী সংস্থা গঠন, ০৭. আইনবিষয়ক কাজ, ০৮. উদ্যোগ গ্রহণ: ০৯. রিপোর্ট গ্রহণ ও পর্যালোচনা; ১০. নির্বাহী সংক্রান্ত কাজ। এছাড়া জাতিসংঘের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণ পরিষদ নতুন কোনো বিশেষ সংস্থা গঠন করতে পারে এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক শিক্ষা বিষয়ে গবেষণা চালাতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সংশ্লিষ্ট রয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম দুটি অপারেশনে অংশগ্রহণ করে, ইরাকে এবং নামিবিয়ায়। উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় যান্ত্রিক পদাতিক বাহিনীর অংশ হিসেবে কুয়েতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্ট পাঠানো হয়েছিল। এর পর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশ ইউএনপিকেওর (ইউনাইটেড ন্যাশনস পিসকিপিং অপারেশনস) অংশ হিসেবে প্রায় ২৫টি দেশে ৩০টিরও বেশি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। যেসব দেশের মিশনে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নামিবিয়া, কম্বোডিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, মোজাম্বিক, সাবেক যুগোস্লোভিয়া, লাইবেরিয়া, হাইতি, তাজিকিস্তান, পশ্চিম সাহারা, সিয়েরা লিওন, কসোভো, জর্জিয়া, পূর্ব তিমুর, কঙ্গো, আইভরিকোস্ট ও ইথিওপিয়া। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক জনবল অংশগ্রহণ করেছে। তখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ হাজার ৮৫৫ জন (সামরিক ও আইন প্রয়োগকারী) জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের আওতায় বিভিন্ন দেশে কর্মরত ছিলেন। শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয় ।
এবার জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের দুটি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। একটি হচ্ছে এ মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক শাস্তি রক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে দীর্ঘদিন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার পর আবারও প্রথম অবস্থানে উঠে এসেছে। দ্বিতীয় সাফল্য হচ্ছে, বাংলাদেশের একজন সেনা কর্মকর্তা দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার নির্বাচিত হয়েছেন। আগেও বাংলাদেশের সেনা কর্মকর্তারা জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে ফোর্স কমান্ডার ও ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জীব-জগতে সালোকসংশ্লেষণের গুরুত্ব খুব বেশি। এই প্রক্রিয়া যে কেবল উদ্ভিদ-জীবনে একান্ত অপরিহার্য তাই নয়, মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে সালোকসংশ্লেষণের অবদান অপরিসীম। নিচে এবিষয়ে আলোচনা করা হল।
সালোকসংশ্লেষণের গুরুত্বঃ সালোকসংশ্লেষণ হলো উদ্ভিদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ খাদ্য উৎপাদন করে। জীবজগতে সালোকসংশ্লেষণের গুরুত্ব অপরিসীম। নিম্নে সংক্ষেপে এর গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোঃ
এন্টিবায়োটিক হলো এমন একটি উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাস থেকে সংগ্রহ করে অন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাসকে ধ্বংস বা তার বংশবৃদ্ধি রোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এন্টিবায়োটিকের দুটি অপব্যবহারঃ (ক) অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে ফেলে এবং (খ) লিভারের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে।
কার্বন মৌল কার্বন ডাই-অক্সাইড যৌগরূপে যে চক্রাকার পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডল থেকে জীব জগতে প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে এসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখে, তাকে কার্বন চক্র বলে। ইংরেজিতে কার্বন চক্রকে Carbon Cycle বলে ।
কার্বন জীব ও জড় পরিবেশের মধ্যে প্রতিনিয়ত আবর্তিত হয়। সব জীবদেহ গঠনে কার্বনের প্রয়োজন। এটি বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস হিসেবে অবস্থান করে। বায়ুমণ্ডলে এর পরিমাণ ০.০৩৬ ভাগ। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় পানি ও বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ তৈরি করে। এই গ্লুকোজ উদ্ভিদের দেহ তৈরি করে। প্রাণী উদ্ভিদ থেকে খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে কার্বন গ্রহণ করে। এই কার্বন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহ থেকে তিন উপায়ে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে। প্রথমত, উদ্ভিদ ও প্রাণী শ্বসন প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ ভেঙে শক্তি উৎপাদন করার সময় বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন গ্রহণ করে। এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয়। দ্বিতীয়ত, উদ্ভিদকে জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলে বা প্রাণীদেহকে। পোড়ালে তাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বায়ুমণ্ডলে মেশে। উদ্ভিদ বা গাছপালা মরে গেলে এদের দেহাবশেষ ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে ভেঙে যায় এবং একপর্যায়ে জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে ভূগর্ভে জমা হয়। আমাদের অতি ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, কেরোসিন বা পেট্রোল এ সবই এই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। জীবাশ্ম জ্বালানি আমরা রান্না থেকে শুরু করে গাড়িতে, শিল্প-কারখানায় দহন করে ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহার করছি। তৃতীয়ত, উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহ মাটিতে পড়ার সময় ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক কার্বন ডাই-অক্সাইড সরাসরি বায়ুতে ছেড়ে দেয়। এভাবে কার্বন চক্রের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে কার্বনের অর্থাৎ কার্বন ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় থাকে
কম্পিউটারের নিজস্ব কোনো বুদ্ধি নেই। এটি শুধু নিজের কাছে সংরক্ষিত তথ্য এবং প্রোগ্রামের আলোকে কাজ করতে পারে। কোন সমস্যার আলোকে নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারে না। কম্পিউটারও যাতে কোন সমস্যা দেখা দিলে নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার জন্য এর ভিতর অনেক সমস্যা ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে। এটিকেই বলে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
IR 4.0 বলতে Industry Revolution 4.0 কে বুঝায়। Industry 4.0 শব্দটি জার্মান থেকে উদ্ভব হয়েছে। IR 4 হল Industry Revolution এর এক নতুন অর্জন। সেটা প্রধানত ইন্টার কানেকটেভিটি (Interconnectivity) অটোমেশন, (Automation), মেশিন লার্নিং (Machine Learning) এবং রিয়াল ডাটা (Real data) এর উপর গুরুত্ব আরোপ করে। আধুনিক প্রযুক্তির পর্যায়কেই সাধারণত IR 4.0 বলে।
Elements গুলো হলোঃ Big data (বিগ ডাটা), Internet of Things (IoT), সাইবার পিসিকাল সিস্টেম (Cyber Physical Systems), ইন্টারোপেরাবিলিটি (Interoperability).
COVID এর পূর্ণরূপ : COVID 3 Corona Virus Disease. ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকার দুটি সংস্করণ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে দুটি সংস্করণ WHO অনুমোদন দেয়, তার একটি উৎপাদন করে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং অন্যটি উৎপাদন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাস্ট্রাজেনেকা এসকেবায়ো। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ফাইজার এবং বায়োএনটেকের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় WHO বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
WHO এর পূর্ণরূপ হলো World Health Organization. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আর্সেনিক গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১০ পিপিবি বা ০.০১ মিলিগ্রাম/লিটার। তবে বাংলাদেশের জন্য আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ০.০৫ মিলিগ্রাম/লিটার।
অপটিক্যাল ফাইবার একধরনের পাতলা, স্বচ্ছ তন্তু বিশেষ যা কাঁচ বা প্লাষ্টিক দিয়ে তৈরি। এটি অধিক দূরত্বে টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে আলো পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এর তিনটি অংশ। যথা: ১. কোর ২. ক্ল্যাডিং ও ৩. জ্যাকেট। অপটিক্যাল ফাইবার-এর বহুবিধ ব্যবহারিক প্রয়োগ রয়েছে, যেমন: যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে মেডিক্যাল ইমেজিং ব্যবস্থা এবং শিল্পকারখানা ও শল্যচিকিৎসায় পথনির্দেশক হিসেবে ব্যবহারের জন্য উচ্চ ক্ষমতার লেজার থেকে উৎসারিত আলোককে অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য দিয়ে পাঠানো হয়।