বিশাখ কোন দিকটি বিবেচনা করে উদ্ভিদকে সপুষ্পক ও অপুষ্পক নামে দুই শ্রেণিতে বিন্যাস করল?
পলকের শ্রেণিকরণটি কোন শ্রেণিকরণের আওতাভুক্ত?
উক্ত শ্রেণিকরণে-
i. উদ্দেশ্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা হয়
ii. ঘটনাবলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা হয়
iii. বস্তুসমূহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
উর্মি অন্বয়ী পদ্ধতির সুবিধা সম্পর্কে বলছিল-
i. অন্বয়ী পদ্ধতির প্রয়োগ খুবই সহজ
ii. সাধারণ লোকের পক্ষে এ পদ্ধতি ব্যবহার খুবই সুবিধাজনক
iii. নিরীক্ষণের সাহায্যে অন্বয়ী পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না
যুক্তিবিদ্যার শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে অন্বয়ী পদ্ধতির অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন-
i. এ পদ্ধতি বহুকারণবাদ দ্বারা নাচক হয়ে যায়
ii. এ ত্রুটিটি অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতির মধ্যে নিহিত
iii. এ পদ্ধতি যথেষ্ট ব্যয়বহুল
রাইসা অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিগত ত্রুটি দূর করতে চেষ্টা করছে। এর জন্য তার যা করা প্রয়োজন-
i. পরীক্ষণের সাহায্যে সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা
ii. দৃষ্টান্ত বৃদ্ধি করা
iii. যৌথ পদ্ধতির প্রয়োগ
অনিরীক্ষণজনিত অনুপপত্তির ক্ষেত্রে যেটি সমর্থনযোগ্য-
i. যথাযথভাবে নিরীক্ষণ করা সম্ভব হয় না
ii. আসল ঘটনা আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়
iii. দৃষ্টির গভীরতা লক্ষ করা যায়
কার্যকারণসংক্রান্ত অনুপপত্তি সম্পর্কে রেহেনা যা বলতে পারে-
i. এটি কার্যকারণ নিয়মকে সঠিকভাবে প্রয়োগ না করার ত্রুটি
ii. দুটি সহঅবস্থিত ঘটনাকে আমরা একসাথে দেখি
iii. ঘটনা দুটির একটিকে অপরটির কারণ বলে ভুল করা হয়
যুক্তিবিদ কপি অন্বয়ী পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। উক্ত ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য-
i. এটি প্রমাণের পদ্ধতি নয়
ii. এটি অসীমসংখ্যক দৃষ্টান্তের অনিবার্য সম্পর্ক প্রমাণ করে
iii. এটি আবিষ্কারের পদ্ধতি নয়
হিশাম ব্যতিরেকী পদ্ধতি সম্পর্কে বলেন-
i. এটি যুক্তিবিদ মিল প্রবর্তিত একটি পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি
ii. অন্বয়ী পদ্ধতির সমস্যাগুলো দূর করার মানসে এ পদ্ধতির অবতারণা,
iii. এ পদ্ধতি মাত্র দুটি উদাহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ
আবিদ ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধা বর্ণনা করে যেভাবে-
i. এ পদ্ধতির সাহায্যে শুধু আবিষ্কারই করা হয় না, প্রমাণও করা হয়
ii. এ পদ্ধতিতে দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয় বলে এতে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয় না
iii. এর ব্যবহার খুব বেশি
ব্যতিরেকী পদ্ধতির কিছু অসুবিধা আছে। এক্ষেত্রে বলা যায়-
i. কাকতালীয় অনুপপত্তি দেখা দিতে পারে
ii. এর দ্বারা সরাসরি কার্যকরণ নির্ণয় করা যায় না
iii. এ পদ্ধতি কারণ ও শর্তের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে না
কার্যকারণ নীতির বৈশিষ্ট্য হিসেবে যৌক্তিক-
i. এর সংজ্ঞা দেওয়া যায় না, কেবল বিভিন্নভাবে বর্ণনা করা যায়
ii. এ নীতিটি আরোহের অন্যতম আকারগত ভিত্তি
iii. এটি প্রাকৃতিক নিয়মানুবর্তিতার নীতির সাথে সম্পৃক্ত
কার্যকারণ নীতি সম্পর্কে অ্যারিস্টটলের বক্তব্য তুমি কীভাবে মূল্যায়ন করবে?
i. কারণ কোনো সরল ঘটনা নয়; বরং এক জটিল ঘটনা
ii. কারণকে বিশ্লেষণ করলে এর মধ্যে চারটি অংশ পাওয়া যায়
iii. এর একটি অংশ হচ্ছে উপাদানগত কারণ
চরম কারণকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়?
i. চরম কারণ হচ্ছে যে উদ্দেশ্যে বস্তুর মধ্যে পরিবর্তন সাধন করা হয়
ii. এই উদ্দেশ্য প্রাথমিক অবস্থায় লুপ্ত থাকে
iii. কার্য সম্পাদনের মধ্য দিয়ে ঐ ধারণা ব্যক্ত হয়
লৌকিক মতবাদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে যৌক্তিক-
i. এ মতবাদে কারণকে কালিক দিক থেকে বিচার করা হয়।
ii. এটিকে আংশিক মতবাদ বলা হয়
iii. এই মতবাদকে যুক্তিবিদ্যায় যথার্থ বলে মনে করা হয় না
নদীতে নৌকা ডুবে একটি ছেলের সলিল সমাধি হলো। এ ক্ষেত্রে কারণ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে যৌক্তিকভাবে বলা যায়-
i. নদীটি খরস্রোতা ছিল
ii. নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল ও মাঝি অদক্ষ ছিল
iii. আবহাওয়া, কোনো বাতাস ছিল না
শক্তির অবিনশ্বরতা নিয়মানুসারে কার্যকারণ সম্পর্ককে মূল্যায়ন করা যায় যেভাবে-
i. এক প্রকারের শক্তি অন্য প্রকারের শক্তিতে রূপান্তর হয়
ii. কারণ ও কার্য শক্তির রপান্তর ছাড়া আর কিছু নয়
iii. কারণ হচ্ছে শক্তির পূর্ব অবস্থা আর কার্য হচ্ছে তার পরবর্তী অবস্থা
কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষণমূলক পদ্ধতিগুলোকে যুক্তিবিদ মিল ও বেইন অপনয়নের পদ্ধতি বলে অভিহিত করেছেন। এ বক্তব্যকে তুমি যেভাবে মূল্যায়ন করবে-
i. অপনয়ন হচ্ছে নেতিবাচক কাজ
ii. শুধু এ কাজের জন্যই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা হয় না
iii. পদ্ধতিগুলোর মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ঘটনাবলির মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার করা
কার্যকারণ নিয়মের সাথে পরীক্ষণমূলক পদ্ধতির যৌক্তিক সম্পর্ক হলো-
i. কার্যকারণ নিয়মের যথার্থ প্রয়োগ পরীক্ষণমূলক পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল
ii. কোনো একটি পদ্ধতির সাহায্য না এলে কার্যকারণ নিয়মের বাস্তব প্রয়োগ ফলপ্রসূ হয় না
iii. কার্যকারণ সম্পর্ক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে পরীক্ষণমূলক পদ্ধতিকে যথাযথ ব্যবহার করলে ভুলত্রুটির তেমন আশঙ্কা থাকে না