ধান চাষের জন্য উপযোগী মাটি—
i. এঁটেল
ii. পলি দোআঁশ
iii. বেলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ধানের স্থানীয় জাত —
i. টেপি
ii. বিনাশাইল
iii. গিরবি
স্থানীয় উন্নতজাতের ধান –
i. ধানের উৎপাদন খড়ের চেয়ে বেশি
ii. পোকা ও রোগের আক্রমণ কম হয়
iii. অধিক কুশি গজায়
আধুনিক ধান বলা হয় -
i. উফশী ধানে স্বল্প জীবনকাল সংযোজিত হলে
ii. স্থানীয় জাতের ধানে খরা সঞ্চিতা সংযোজিত হলে
iii. উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানে লবণাক্ততা সহিষ্ণুতা সংযোজিত হলে
শুধু বোরো মৌসুমেই চাষ করা যায় এরূপ ধানের জাত -
i. ব্রি ধান ৫৭
ii. ব্রি ধান ৪৫
iii. ব্রি ধান ৫০
ধান বীজ জীবাণুমুক্ত করা যায় -
i. রোদে ২-৩ ঘন্টা শুকিয়ে
ii. ৫২-৫৫ ডিগ্রি সে গরম পানিতে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে
iii. প্রতি কেজিতে ৩০ গ্রাম কার্বক্সিন (১.৭৫%) + থিরাম (১.৭৫%) ব্যবহার করে
ভেজা ও শুকনো বীজতলা তৈরি করা হয় –
i. নিচু ও এঁটেল মাটি সম্পন্ন জমিতে
ii. উঁচু ও দোআঁশ মাটি সম্পন্ন জমিতে
iii. নিচু ও বেলে দোআঁশ মাটি সম্পন্ন জমিতে
বন্যাকবলিত এলাকায় তৈরি করা যায় -
i. ভেজা বীজতলা
ii. ভাসমান বীজতলা
iii. দাপোগ বীজতলা
ধান বীজতলার দুই বেডের মাঝে সৃষ্ট নালা প্রয়োজন -
i. পানি নিকাশের জন্য
ii. সার প্রয়োগের জন্য
iii. ঔষধ প্রয়োগের জন্য
চারা তোলার পূর্বে বীজতলায় পানি সেচ দিয়ে মাটি ভিজিয়ে দিলে—
i. বীজতলার মাটি নরম হয়
ii. চারা তুলতে সুবিধা হয়
iii. শিকড় ছিড়ে যায় না
ধান চাষে শতক প্রতি সার দেওয়া হয় –
i. ইউরিয়া
ii. এমওপি
iii. জিপসাম
চারা পরিবহনের সময়—
i . ট্রাক বা বাসে পরিবহন করা যাবে না
ii. পাতা ও কাণ্ড মোড়ানো যাবে না
iii. বস্তাবন্দী করে পরিবহন করা যাবে না
জমিতে শেষ চাষ দেওয়ার পূর্বে মাটির সাথে মিশাতে হবে -
i. টিএসপি
ii. দস্তা
iii. ইউরিয়া
চারা রোপণের পর ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়—
i. চারার গোছায় ২-৩টি কুশি আসা অবস্থায়
ii. কাইচথোড় আসার ৫-৭ দিন আগে
iii. ১৫-২০ দিন পর
ধানের জমিতে আগাছা দমন করতে হয়—
i. চারা রোপণের ১০-১৫ দিনের মধ্যে
ii. প্রথম আগাছা দমনের পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে
iii. থোড় বের হওয়ার আগ পর্যন্ত
ধানক্ষেতে আগাছা দমন করতে হয়—
i. জমি চাষ দিয়ে
ii. হাত বা নিড়ানি দ্বারা
iii. ঔষধ প্রয়োগ করে
ধানক্ষেতের আগাছাগুলো হলো—
i. আরাইল
ii. গইচা
iii. শ্যামা
ধান গাছে মাজরা পোকার আক্রমণে—
i. মাঝ ডগা সাদা হয়ে যায়
ii. পাতা পিয়াজ পাতার মতো হয়ে যায়
iii. শীষে সাদা চিটা হয়
গান্ধি পোকা, মাজরা পোকা, পামরি পোকা, গলমাছি, ছাতরা পোকা দমনে ব্যবহৃত কীটনাশক হলো—
i. ডায়াজিনন ৫০
ii. ম্যালাথিয়ন ৫৭
iii. ফুরাডান ৩
যে পোকা ধানের গোড়ায় বসে রস চুষে খায় তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত কীটনাশক হলো—
i. ডায়াজিনন ১৪
ii. বাসুডিন ১০
iii. কার্বোফুরান ৩
ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ধান গাছের—
i. পাতায় ডিম্বাকৃতি দাগ পড়ে
ii. পাতায় দাগের চারদিকে সাদা ছাই এবং মাঝের অংশ গাঢ় বাদামি বর্ণের হয়
iii. পাতায় দাগগুলো একত্রে মিশে গিয়ে সম্পূর্ণ পাতা মরে যায়
ধানের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত হলো -
i. বিআর ১৫
ii. বিআর ২৪
iii. বিআর ৪২
ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনে —
i. নীরোগ বীজ ব্যবহার করা হয়
ii. অজৈব সার প্রয়োগ করা হয়
iii. জমিতে পানি ধরে রাখা হয়
টুংরো রোগে আক্রান্ত ধান গাছ -
i. টান দিলে সহজেই উঠে আসে
ii. এর কুশি হয় না
iii. এর পাতার রং হালকা সবুজ ও পরবর্তীতে হলদে হয়
ধানের ভাইরাসজনিত টুংরো রোগ প্রতিরোধী জাত হলো—
i. চান্দিনা
ii. দুলাভোগ
iii. ব্রিশাইল
ধান ক্ষেতের পোকা দমন করা যায়-
i. আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে
ii. পোকা খেকো পাখির সাহায্যে
iii. কীটনাশক ব্যবহার করে
অধিক পাকা ফসল মাঠে থাকলে –
i. ধান ঝরে পড়ে
ii. শীষ কাটা লেদা পোকা আক্রমণ করে
iii.. পাখি আক্রমণ করে
ধান সংরক্ষণের সময় যেগুলো মিশিয়ে দিলে পোকার আক্রমণ হয় না। তা হলো—
i. নিম পাতা গুঁড়া
ii. তেঁতুল পাতা গুঁড়া
iii. নিশিন্দা পাতা গুঁড়া
দেশি পাট চাষ করা হয়—
i. উর্বর জমিতে
ii. উঁচু জমিতে
iii. নিচু জমিতে
দেশি পাটের জাত —
i. সিভিএল-১
ii. সিসি-৪৫
iii. এইচসি-২
সঠিক সময়ে পাটের বীজ না বুনলে -
i. গাছে অসময়ে ফুল আসে
ii. ফলন কম হয়
iii. পাটের গুণগত মান কমে যায়
উড়চুঙ্গা পোকার আক্রমণে—
i. পাটক্ষেত মাঝে মাঝে গাছশূন্য হয়ে যায়
ii. গাছের শিকড় ও কাণ্ডের গোড়ার ক্ষতি হয়
iii. পাট গাছ লম্বা হয়ে যায়
পাটক্ষেতে উড়চুঙ্গা পোকা দমনে —
i. কীটনাশক ঔষধের বিষটোপ প্রয়োগ করতে হবে
ii. আক্রান্ত জমিতে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে
iii. জমিতে সাধারণ পরিমাণের চেয়ে কম বীজ বপন করতে হবে
পাটক্ষেতে ঘোড়া পোকার আক্রমণে পাতার -
i. কচি ডগা নষ্ট হয়ে যায়
ii. শাখা-প্রশাখাগুলো হলুদ হয়ে যায়
iii. শাখা-প্রশাখা বের হয়ে যায়
পাট ক্ষেতে হলদে মাকড়ের আক্রমণে—
i. কচি পাতা কুঁকড়ে যায়
ii. গাছ হেলে পড়ে
iii. ফুলের পাপড়ি কালচে হয়ে যায়
পাটক্ষেতে মাকড় দমনে —
i. চুন ও গন্ধক পানিতে মিশিয়ে ছিটাতে হবে
ii. কাঁচা নিমপাতার রস পানির সাথে মিশিয়ে ছিটাতে হবে
iii. ইউরিয়া মিশ্রিত পানি ছিটাতে হবে
পাটের শুকনো ক্ষত রোগে—
i. আক্রান্ত স্থান ফেটে যায়
ii. আক্রান্ত অংশ শক্ত হয়
iii. ক্ষতস্থানে জীবাণু সৃষ্টি হয়
সঠিক সময়ে পাট কাটলে—
i. পাটের ফলন কম হয়
ii. পাটের গুণাগুণ ভালো হয়
iii. পাটের ফলন ভালো হয়
পাটে জাগ এমনভাবে দিতে হবে যাতে –
i. জাগের উপর ৩০ সেমি পানি থাকে
ii. জাগের নিচে ৬০ সেমি পানি থাকে
iii. পানিতে কোন স্রোত না থাকে
নিচের কোনটি সঠিক ?
জাগ দেওয়া পাটের উপর ইউরিয়া ছিটিয়ে দিলে—
i. পাট তাড়াতাড়ি পচে
ii. আঁশের রং ভালো হয়
iii. ওজন বেশি হয়
পাট একটি—
i. আঁশ জাতীয় ফসল
ii. অর্থকরী ফসল
iii. তেল জাতীয় ফসল
পাটের গুরুত্ব রয়েছে—
i. কৃষিজাত শিল্পে
ii. ঔষধি শিল্পে
iii. পরিবেশ সংরক্ষণে
তৈল জাতীয় ফসল বীজ হলো—
i. গম
ii. সরিষা
iii. তিল
সরিষা চাষের জন্য উপযোগী -
i. বেলে দোআঁশ মাটি
ii. পলি দোআঁশ মাটি
iii. এঁটেল মাটি