Test Mode Reading Mode Right = 0 Wrong = 0

English

Created: 5 months ago | Updated: 6 days ago
Created: 5 months ago | Updated: 6 days ago
Created: 5 months ago | Updated: 6 days ago
Created: 5 months ago | Updated: 6 days ago
Created: 5 months ago | Updated: 6 days ago
Created: 5 months ago | Updated: 6 days ago
9.

সংস্কৃতি হলো জীবনের ও পরিবেশের উৎকর্ষ সাধনের ও উন্নতিবিাধানের এবং ইচ্ছানুযায়ী ইতিহাসের গতি নির্ধারণের চিন্তা ও চেষ্টা। জীবন ও পরিবেশ অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে যুক্ত । জীবন। পরিবেশ থেকেই উদ্ভ্রিত এবং পরিবেশের সঙ্গে সংলগ্ন ও পরিবেশের উপর নিরর্ভশীল। এ দুইয়ের একটির উন্নতি অন্যটির উন্নতির উপর নির্ভরশীল । উন্নতি আপনিতে ঘটে না, সাধন করতে হয়। উন্নতির প্রক্রিয়ায় মানুষই কর্তা । একমাত্র মানুষেরই সংস্কৃতি আছে, অন্য প্রাণীর নেই। মানুষ সেই জৈবিক সামর্থের অধিকারী যার বলে সে ব্যক্তিগত ও যৌথ প্রয়াসে সংস্কৃতির পরিচয় দিতে পারে। বিবর্তনের যে পর্যায়ে এসে মানুষ সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে তার পূর্ব পর্যন্ত অন্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য ছিল না। জীবনযাত্রার মধ্য দিয়ে মানুষের নিজেকে এবং নিজের সঙ্গে মানুষের পার্থক্য ছিল না। জীবন যাত্রার মধ্য দিয়ে মানুষের নিজেকে এবং নিজের সঙ্গে পরিবেশকে সুন্দর, সমৃদ্ধ ও উন্নত করার যে প্রবণতা , চিন্তা ও চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়, , তারই মধ্যে নিহিত থাকে তার সংস্কৃতি । ব্যক্তির জীবনে যেমন, সমষ্টিক জীবনেও তেমনি সংস্কৃতিচেতনা ও সংস্কৃতি আছে। দর্শন, বিজ্ঞান ও শিল্পকলা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে, উন্নতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা ও জীবনপদ্ধতি প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষ তার সাংস্কৃতিক সামর্থ্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে থাকে। সংস্কৃতি মর্মে আছে উন্নত হওয়ার উন্নত করার এবং সমৃদ্ধ হওয়ার ও সমৃদ্ধ করার প্রবণতা ইচ্ছা, আকাঙক্ষা ও চেষ্টা। সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্ক আছে রুচি,পছন্দ, সমাজবোধ, আহার্য, ব্যবহার্য, পরিপার্শ্ব, বিচারক্ষমতা , গ্রহণ-বর্জন ও প্রয়াস – প্রচেষ্টার।

Created: 5 months ago | Updated: 6 days ago
Created: 5 months ago | Updated: 1 day ago
Created: 5 months ago | Updated: 1 day ago
Created: 5 months ago | Updated: 1 day ago
18.

ব্যক্তি বা সমষ্টির উপযোগ নয়, আয় বা সম্পদ নয়, বরং নানা কাজে, নানা হয়ে ওঠায় তার সক্ষমতার বিকাশই মানুষের আপেক্ষিক অধিকার নির্দেশ করে। মনোজগতের খবর নেওয়ার এতে প্রয়োজন পড়ে না। তার বাস্তব ক্রিয়াকর্মে মূল্যমান- সংযোজনের যোগ্যতার ওপর তা নির্ভর করে। প্রত্যক্ষের তাকে আনা যায়। সব মিলিয়ে সূচকের নির্মাণে কমবেশিও তুলনা করা যায়। তবে সমাজের ন্যায় সবার বেলায় নিরপেক্ষ, এই শর্ত অচল হয়ে পড়ে। অক্ষমকে সক্ষম করে তোলা, অথবা তার সক্ষমতা বাড়ানো অধিকতর গুরুত্ব পায়। কারণ পরিমাণে এতে গোটা সমাজেরই সক্ষমতার মান বাড়ে। মানুষের করা এবং হওয়ার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আসে। তা প্রসারিত হয়। মানুষের এই সমৃদ্ধতর ও ব্যাপকতার বিকাশই উন্নয়ন এবং এই উন্নয়নই তার বস্তুজগতে মুক্তির উপায়। সক্ষমতাকে বস্তুগ্রাহ্য করতে প্রয়োজন গণমানুষের পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য। আরও প্রয়োজন জাত-ধর্ম-বর্ণ- নির্বিশেষে সমতা ও নিরাপত্তা, চাই ক্রিয়াকর্মে সচলতা ও মতপ্রকাশের অধিকার। দারিদ্র্য বা বঞ্চনা, সমাজে নারীর অধিকার- হরণ, নিরক্ষরতা বা কুসংস্কারে আচ্ছন্নতা এগুলো সবই ক্ষমতার পথে অন্তরায়। মানুষের কল্যাণকে তারা বাধাগ্রস্থ করে। আরও বলবার, এসবই প্রত্যক্ষ জগতের বিষয় এবং এদের সংখ্যা গণনায় আনা সম্ভব। কাউকে অখুশি করে বহুজনের উপকার। সামাজিক ন্যায়বিচারের আওতার বাইরে থাকে না। ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির আপেক্ষিক সক্ষমতা এবং সেইসঙ্গে সমাজে ক্রিয়াকর্মে তাদের মূল্য-সংযোজনের সুযোগ সংখ্যায় ও গুণগত মানে বাড়লো, কি বাড়লো না সেটাই মূল বিবেচনা।

Created: 5 months ago | Updated: 6 days ago