সংস্কৃতি হলো জীবনের ও পরিবেশের উৎকর্ষ সাধনের ও উন্নতিবিাধানের এবং ইচ্ছানুযায়ী ইতিহাসের গতি নির্ধারণের চিন্তা ও চেষ্টা। জীবন ও পরিবেশ অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে যুক্ত । জীবন। পরিবেশ থেকেই উদ্ভ্রিত এবং পরিবেশের সঙ্গে সংলগ্ন ও পরিবেশের উপর নিরর্ভশীল। এ দুইয়ের একটির উন্নতি অন্যটির উন্নতির উপর নির্ভরশীল । উন্নতি আপনিতে ঘটে না, সাধন করতে হয়। উন্নতির প্রক্রিয়ায় মানুষই কর্তা । একমাত্র মানুষেরই সংস্কৃতি আছে, অন্য প্রাণীর নেই। মানুষ সেই জৈবিক সামর্থের অধিকারী যার বলে সে ব্যক্তিগত ও যৌথ প্রয়াসে সংস্কৃতির পরিচয় দিতে পারে। বিবর্তনের যে পর্যায়ে এসে মানুষ সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে তার পূর্ব পর্যন্ত অন্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য ছিল না। জীবনযাত্রার মধ্য দিয়ে মানুষের নিজেকে এবং নিজের সঙ্গে মানুষের পার্থক্য ছিল না। জীবন যাত্রার মধ্য দিয়ে মানুষের নিজেকে এবং নিজের সঙ্গে পরিবেশকে সুন্দর, সমৃদ্ধ ও উন্নত করার যে প্রবণতা , চিন্তা ও চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়, , তারই মধ্যে নিহিত থাকে তার সংস্কৃতি । ব্যক্তির জীবনে যেমন, সমষ্টিক জীবনেও তেমনি সংস্কৃতিচেতনা ও সংস্কৃতি আছে। দর্শন, বিজ্ঞান ও শিল্পকলা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে, উন্নতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা ও জীবনপদ্ধতি প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষ তার সাংস্কৃতিক সামর্থ্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে থাকে। সংস্কৃতি মর্মে আছে উন্নত হওয়ার উন্নত করার এবং সমৃদ্ধ হওয়ার ও সমৃদ্ধ করার প্রবণতা ইচ্ছা, আকাঙক্ষা ও চেষ্টা। সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্ক আছে রুচি,পছন্দ, সমাজবোধ, আহার্য, ব্যবহার্য, পরিপার্শ্ব, বিচারক্ষমতা , গ্রহণ-বর্জন ও প্রয়াস – প্রচেষ্টার।