Translate into English:

ব্যক্তি বা সমষ্টির উপযোগ নয়, আয় বা সম্পদ নয়, বরং নানা কাজে, নানা হয়ে ওঠায় তার সক্ষমতার বিকাশই মানুষের আপেক্ষিক অধিকার নির্দেশ করে। মনোজগতের খবর নেওয়ার এতে প্রয়োজন পড়ে না। তার বাস্তব ক্রিয়াকর্মে মূল্যমান- সংযোজনের যোগ্যতার ওপর তা নির্ভর করে। প্রত্যক্ষের তাকে আনা যায়। সব মিলিয়ে সূচকের নির্মাণে কমবেশিও তুলনা করা যায়। তবে সমাজের ন্যায় সবার বেলায় নিরপেক্ষ, এই শর্ত অচল হয়ে পড়ে। অক্ষমকে সক্ষম করে তোলা, অথবা তার সক্ষমতা বাড়ানো অধিকতর গুরুত্ব পায়। কারণ পরিমাণে এতে গোটা সমাজেরই সক্ষমতার মান বাড়ে। মানুষের করা এবং হওয়ার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আসে। তা প্রসারিত হয়। মানুষের এই সমৃদ্ধতর ও ব্যাপকতার বিকাশই উন্নয়ন এবং এই উন্নয়নই তার বস্তুজগতে মুক্তির উপায়। সক্ষমতাকে বস্তুগ্রাহ্য করতে প্রয়োজন গণমানুষের পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য। আরও প্রয়োজন জাত-ধর্ম-বর্ণ- নির্বিশেষে সমতা ও নিরাপত্তা, চাই ক্রিয়াকর্মে সচলতা ও মতপ্রকাশের অধিকার। দারিদ্র্য বা বঞ্চনা, সমাজে নারীর অধিকার- হরণ, নিরক্ষরতা বা কুসংস্কারে আচ্ছন্নতা এগুলো সবই ক্ষমতার পথে অন্তরায়। মানুষের কল্যাণকে তারা বাধাগ্রস্থ করে। আরও বলবার, এসবই প্রত্যক্ষ জগতের বিষয় এবং এদের সংখ্যা গণনায় আনা সম্ভব। কাউকে অখুশি করে বহুজনের উপকার। সামাজিক ন্যায়বিচারের আওতার বাইরে থাকে না। ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির আপেক্ষিক সক্ষমতা এবং সেইসঙ্গে সমাজে ক্রিয়াকর্মে তাদের মূল্য-সংযোজনের সুযোগ সংখ্যায় ও গুণগত মানে বাড়লো, কি বাড়লো না সেটাই মূল বিবেচনা।

Created: 3 weeks ago | Updated: 2 weeks ago

Related Questions