বাংলায় সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ রচনা করুন:
1.

কপ ২৬ সম্মেলন ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

                                                                                                কপ ২৬ সম্মেলন ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব

বহুল আলোচিত কপ-২৬ সম্মেলন শেষ হয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐকমত্য না হওয়ায় সময় একদিন বর্ধিত করা হয়। এছাড়া, পরবর্তী ২০২২ ও ২০২৩ সালের কপ সম্মেলন মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রূপ-২৩ সম্মেলনে জাতিসংঘের প্রধান লক্ষ্য ছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন অর্ধেকে নামিয়ে আনা, যা অর্জন করতে হলে কার্বনের নির্গমন ৪৫% কমাতে হবে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে নির্গমন আনতে হবে শূন্য শতাংশে। এ সম্মেলনে জাতিসংঘের দ্বিতীয় লক্ষ্য ছিল, দরিদ্র। দেশগুলোকে জলবায়ু সংকটে সহায়তা বৃদ্ধি করা, যাতে তারা অভিযোজন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যয় করতে পারে। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাম্প্রতিক দশকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পেতে পেতে বর্তমানে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে ঠেকেছে। বিশ্বব্যাপী বন্যা, জলোচ্ছ্‌বাস, ঘূর্ণিঝড়, দাবানলসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। আর জাতিসংঘ বলেছে, বর্তমানে যে হারে কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়াবে। এ জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি ১০০% দায়ী। জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৬) লিডার সামিটে দেওয়া বক্তব্যে উন্নত বিশ্বের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। পূরণসহ চার দফা দাবি পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের রাশ টানার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগও তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ১২ বিলিয়ন ডলারের। ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাতিল করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে সোচ্চার ক্লাইমেট ভালনারেবল ‘ফোরাম- সিভিএফ' এর সভাপতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের সামনে চারটি দাবি তুলে। ধরেন। প্রথম দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রধান কার্বন নিঃসরণকারীদের অবশ্যই উচ্চাভিলাষী জাতীয় পরিকল্পনা (এনডিসি) দাখিল এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবিতে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত। দেশগুলোকে অভিযোজন এবং প্রশমনে অর্ধেক অর্ধেক (৫০৪৫০) ভিত্তিতে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় দাবিতে বলা হয়, উন্নত দেশগুলোকে স্বল্প খরচে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। চতুর্থ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা ও খরার মতো দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত জলবায়ু। অভিবাসীদের দায়িত্ব নেওয়াসহ জলবায়ু। পরিবর্তন ইস্যুতে ক্ষতি ও ধ্বংস মোকাবেলা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে নগণ্য অবদান রাখলেও বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মোট কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের দায় ০.৪৭ শতাংশের চেয়েও কম। অথচ বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। ধরিত্রীকে বাঁচাতে হবে। রক্ষা করতে হবে মানুষ, প্রণীকুল ও জীব বৈচিত্রকে। সে জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য কপ-২৬ সম্মেলনের চুক্তি ও অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ দায়িত্ব বিশ্বের সব মানুষের ও দেশের। তবে, সর্বাধিক দায়িত্ব ধনীদের। কারণ, বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান দায় তাদের। গরিবদের চেয়ে তাদের কার্বন নির্গমনের পরিমাণ ৩০ গুণ বেশি। তাই কার্বন নির্গমন শূন্য করার দায়িত্ব তাদেরই বেশি ধনীদের। সবুজ বিপ্লব বাস্তবায়নে গরিব ও উন্নয়নশীল ১৩৪টি দেশকে সহায়তা করতে হবে। কারণ, সে সামর্থ্য তাদের নেই। এ ক্ষেত্রে প্রধান দায়িত্ব বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর। নতুবা দেশগুলোর সবুজ বিপ্লবে সফল হবে না। ফলে কার্বন নির্গমনের ক্ষতি অব্যাহত থাকবে। বলা অপেক্ষা রাখে না, শুধুমাত্র ধনীদেশগুলোর উপর নির্ভর করে বসে থাকলে চলবে না। গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোরও সচেষ্ট হতে হবে সাধ্যমত।

১৯-১১-২০২১ 
বরাবর 
গভর্নর 
বাংলাদেশ ব্যাংক 
মতিঝিল, ঢাকা-১১০০ 

বিষয়ঃ গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কিছু উদ্ভাবনী প্রস্তাব প্রসঙ্গে । 

জনাব, 
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী বর্তমানে 'ক' ব্যাংকের ঢাকা ইপিজেড শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছি। ইদানিং ক্রেডিট কার্ডের জালিয়াতির বিষয়ে বেশ কিছু ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রাহকদের আস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। কাজেই নিম্নে ক্রেডিট কার্ডের নিরাপত্তায় কিছু উদ্ভাবনী প্রস্তাব তুলে ধরা হলো। আশা করি এগুলো আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করবে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য চুরি করে ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা চুরির ঘটনায় সারা দেশেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কার্ডের তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি তাই দিনে দিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কার্ডের তথ্য যাতে চুরি না হয়, সে জন্য বেশ কিছু সতর্কতার পরামর্শ তুলে ধরা হলো: 

০১. মূল্য পরিশোধের পর কার্ড ফেরত নেওয়া হয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত হতে হবে। কার্ডে বিল পরিশোধের পর যে রসিদটি পাবেন, সেটি সরাসরি ফেলে না দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে ফেলুন অথবা পুড়িয়ে ফেলুন। অকেজো হয়ে যাওয়া বা নষ্ট কার্ড কখনো সরাসরি আবর্জনার পাত্রে ফেলে দেবেন না। 

০২. কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধে বিলের রসিদ ঠিকমতো পড়ে স্বাক্ষর করুন। ক্রেডিট কার্ডের বিলের কোনো ঘরই ফাঁকা রাখবেন না এবং কোনো অবস্থাতেই ফাঁকা রসিদে স্বাক্ষর করবেন না। 

০৩. ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা এ-সম্পর্কিত স্পর্শকাতর তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। ব্যাংকের অনুমোদিত বা নির্ধারিত ব্যক্তি ছাড়া কার্ডের তথ্য অন্য কেউ চাইলে জিজ্ঞেস করে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হোন। সাধারণত ক্রেডিট কার্ডের তথ্য আদান-প্রদানে ব্যাংকের নির্দিষ্ট ফোন নম্বর থাকে। এর বাইরে কোনো নম্বর থেকে ফোন করে কার্ডের তথ্য চাইলে তা নির্ধারিত ব্যাংকে নিশ্চিত হোন। 

০৪. কার্ড হারিয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। দ্রুত সময়ে কার্ডটি লক হলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়। ক্রেডিট কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবাকেন্দ্র সব সময় সংরক্ষণ করুন অথবা মনে রাখুন, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। 

০৫. প্রতি মাসে কার্ডের মাধ্যমে কত অর্থ খরচ হলো, সেটির হিসাব রাখুন। কোনো লেনদেন, যেটি আপনি করেননি এমন সংশয় থাকলে খোঁজ নিন। আপনার যেকোনো সংশয় বা প্রশ্নের উত্তর দিতে ক্রেডিট কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। আইনত বাধ্য। 

০৬. যে এটিএম ব্যবহার করে আপনি নিয়মিত টাকা তোলেন, চেষ্টা করুন সেসব স্থান থেকেই অর্থ তুলতে। ব্যাংকের ভেতরে বা কাছাকাছি জায়গায় স্থাপিত এটিএমের চাইতে অপরিচিত স্থানের এটিএম থেকে টাকা না তোলাই উত্তম। 

০৭. মূল্য পরিশোধের জন্য অন্য কোনো ব্যক্তির হাতে কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব খেয়াল করার চেষ্টা করুন। অন্যের হাতে কার্ড যত বেশি সময় থাকবে, সেখান থেকে তথ্য চুরি হয়ে অন্যের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ততই বাড়বে। 

অতএব, উপর্যুক্ত বিষয়গুলি ক্রেডিট কার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং বিষয়গুলি প্রতিপালনে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

বিনীত নিবেদক 
প্রণয় তির্কী
ব্যবস্থাপক 
'ক' ব্যাংক লিমিটেড 
ঢাকা ইপিজেড শাখা, ঢাকা।

As the economy is crawling back to normalcy amid the COVID-19 pandemic, the surging prices of building materials are threatening the construction sector. The construction cost in Bangladesh has gone up by 20 per cent in the last year because of the surge in the price of raw materials. Local contractors will be in trouble as procurement entities do not adjust prices for the projects with tenure less than 18 months. Some construction firms are worried about stopping works in fear of bankruptcy. How, the government has already taken this issue seriously and has formed a committee to find ways to adjust the cost of projects.

= দালান-কাঠামো নির্মাণ সামগ্রীর আকাশচুম্বী দাম নির্মাণ খাতের জন্য হুমকিস্বরূপ যখন দেশের অর্থনীতি কোভিড-১৯ মহামারী হতে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে গত বছরে বাংলাদেশে নির্মাণ সামগ্রীর দাম ২০% বেড়ে গেছে। ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৮ মাসের কম সময়ের প্রকল্পগুলিতে খরচের সমন্বয় না করার কারণে স্থানীয় ঠিকাদারগণ সমস্যায় পতিত হবেন। দেউলিয়া হওয়ার ভয়ে অনেক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে আছে। তবে সরকার এই বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছে এবং প্রকল্প খরচ সমন্বয় করার উপায় বের করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে।