জলবায়ু পরিবর্তনে নারীর জীবনসংগ্রাম : বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। জার্মান ওয়াচ গ্লোবাল-এর জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিআরআই-২০২১) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ শীর্ষ দশ দেশের একটি। ঝুঁকি ও ক্ষতিগ্রস্তের বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা, কৃষি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সাধারণ নিয়মেই উপকূলীয় এলাকায় প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের আঘাত নিয়মিত ঘটনা। তার উপর গত কয়েক দশক ধরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল নিমজ্জ্বিত ও লবণাক্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরসাথে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিনিয়তই উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্যগতসহ জীবন-জীবিকাজনিত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যার সম্মুখীন ইচ্ছে বেশি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিতে লবণাক্ততা বাড়ায় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে । নারীরা। বাধ্য হয়ে এ জনপদের মানুষ তার জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে পেশার পরিবর্তন করছে, কর্মসংস্থানের খোঁজে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের জীবন-জীবিকায় জলবায়ুর প্রভাব মারাত্মক। এর ফলে নারীদের কর্মসংস্থানহীনতা বেড়েছে, পরিবর্তন করতে হচ্ছে তাদের জীবন-জীবিকা ও পেশার ধরন। সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পুরুষদের চেয়ে নারীর ওপর বেশি পড়েছে। এমনিতেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নারীরা পুরুষের তুলনায় কম সুযোগ-সুবিধা পায়। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট যে কোনো দুর্যোগ নারীকে আরো বেশি বিপদে ফেলে দেয়। দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে পুরুষেরা জীবিকার কারণে বড় বড় শহরসহ অন্য এলাকায় চলে গেলেও নারীরা বসতবাড়ি পাহারা দেয়। পরিবারের সদস্যদের দেখাশুনা করার জন্য থেকে যেতে হয়। এসবের পাশাপাশি নারীদের অর্থনৈতিক কাজেও অংশগ্রহণ করতে হয়। দেখা গেছে নারীরা আয়বর্ধক এবং কৃষি কাজ- ঘর-গৃস্থালীর কাজও করতে হয় বেশি। হাঁস-মুরগি, গবাদি পশুর লালন পালন আর খাবার পানি সংগ্রহের কাজে দিনের বড় একটি অংশ পার করতে হয়।
জরিপে দেখা গেছে, গত কয়েক দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে দেশের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা। ক্রমাগত জলবায়ু পরিবর্তন সরাসরি প্রভাব ফেলছে উপকূলীয় মানুষের জীবিকায়। এ এলাকার নারী-পুরুষ বাধ্য হচ্ছে যুগ যুগ ধরে করে আসা কৃষি কাজ, বনায়ন, মাছ চাষ ও মাছ ধরার মতো দক্ষ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে। পুরুষেরা পেশা পরিবর্তনের কারণে বাধ্য হচ্ছে নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যেতে। পুরুষেরা বড় বড় শহরে গিয়ে তারা অনানুষ্ঠানিক বা সেবাখাত (হোটেলে কাজ নির্মাণশ্রমিক, যানবাহন পরিবহনের হেলপার, দৈনিক মজুর, ফেরিওয়ালার কাজের মতো বিভিন্ন কাজ করছে। আর নারীরা শহরে গিয়ে বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করছে, রাস্তার ধারের ফেরিওয়ালা, হোটেল-রেস্তোরাঁর শ্রমিক, নয়তো শিল্পকারখানায় (বিশেষ করে গার্মেন্টসে কাজ করছে) শ্রমিকের কাজ করছে। নারীদের একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে তাদের বসতবাড়ি রক্ষাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাহায্য করতে বাধ্য হয়ে থেকে যাচ্ছে বিছিন্ন হয়ে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডব, জোয়ারের তীব্রতা, নদী-ভাঙনের ফলে উপকূলীয় জনগোষ্ঠী কৃষি, বনায়ন ও মৎস্যখাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছে। বহু মানুষ কাজের সন্ধানে শহরের দিকে ছুটছে। কৃষি ও মাছ ধরার মতো দক্ষতা বদলে তারা শহরের শ্রমিকের কাজ বেছে নিয়েছে। কৃষি প্রধান বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে নারী-পুরুষ তাদের কৃষি পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যাচ্ছে। আমাদের দেশের নারীরা কৃষিতে দক্ষ। অথচ তাদের সেই কৃষির দক্ষতাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কৃষি, বনায়ন ও মাছ ধরাই ছিল এই মানুষদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। নারীদের বিকল্প জীবিকা বা আয়ের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ কোনো সুব্যবস্থা এ অঞ্চলে নেই। ফলে নারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীরা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও কৃষিখাত এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে নেই। উপকূলীয় এলাকাগুলোতেও জীবন-জীবিকায় এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে নাই মোটেও। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে পুরুষের চেয়ে এ অঞ্চলের নারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানেও পিছিয়ে পড়ছে। শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ অনুযায়ী কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণকারী মোট জনসংখ্যা ৫৮.২ শতাংশ। এর মধ্যে নারীদের কর্মসংস্থানের হার ৩৬.৩ শতাংশ এবং পুরুষের হার ৮০.৫ শতাংশ। অর্থনৈতিকখাতে নারীদের শতকরা ৬০ শতাংশ কৃষিতে, ১৭ শতাংশ শিল্পে এবং ২৩ শতাংশ সেবা খাতে জড়িত। অপরদিকে, পুরুষদের শতকরা ৩২ শতাংশ কৃষিতে, ২২ শতাংশ শিল্প এবং ৪৬ শতাংশ সেবা খাতে জড়িত। পেশাভিত্তিক হিসেবে দক্ষ কৃষি, বনজ ও মৎস্যখাতে নারী পুরুষের অংশগ্রহণ প্রায় সমান সমান। (নারী-৪৯, পুরুষ -৫১)। (সূত্র : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭)। কিন্তু উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি ও বনজ খাতে নারীদের অংশগ্রহণ আরো বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে একদিকে কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ যেমন দিনে দিনে কমছে অন্যদিকে নারীদের কর্মসংস্থানহীনতাও বেড়েছে। ফলে পরিবর্তন করতে হচ্ছে তাদের জীবন-জীবিকা ও পেশার ধরন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারীর পরিবার এবং নারী নিজে। বাংলাদেশের মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রায় ৮৮ শতাংশ কৃষিখাতের ওপর নির্ভরশীল। জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ১৬ শতাংশ। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষি ওপরই। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নদী, হাওর ও উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষির দিক থেকে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল অত্যন্ত উৎপাদনশীল। অথচ অন্যান্য এলাকার তুলনায় উপকূলীয় এলাকা অনেক বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকির উচ্চমাত্রা এবং স্থানীয় দরিদ্র সম্প্রদায়ের ওপর এ ঝুঁকির আশঙ্কাজনক প্রভাবের কারণে অঞ্চলটি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এবং ঝুঁকির মুখে। কৃষি মৌসুমি অবস্থার যেকোনো পরিবর্তনের সাথে সংবেদনশীল, এমনকি তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, মৌসুমের সময় ও সময়কাল, বরাবর বন্যাসহ মাটি ও পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির সাথে কৃষি উৎপাদন সরাসরি জড়িত। উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি তাদের প্রধান পেশা কৃষি এবং কৃষিকাজের ওপরই নির্ভরশীল। গৃহকর্মের পাশাপাশি কৃষি কাজের সাথেও জড়িত। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। যেহেতু উপকূলীয় এলাকাগুলোতে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণীঝড়, জলোচ্ছ্বাস, উপকূলীয় বন্যা, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ হচ্ছে, সেহেতু কৃষির ওপর সরাসরি এর প্রভাব থাকায় কৃষি উৎপাদন বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে ভীষণভাবে এবং নারীরাও তাই সরাসরি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং কৃষি থেকে অন্যান্য পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। পরিবর্তনের কারণে অদক্ষ নারী শ্রমিকের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে। ফুলে নারীদের কাজের দক্ষতাগুলোও কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কৃষি খাতের দক্ষ নারীরা অন্য কোনো অদক্ষ কাজে নিয়োজিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে সুপেয় পানির পরিমাণও দিনে দিনে কমছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় প্রায় ৭০ লাখের বেশি মানুষ এখন খাওয়ার উপযোগী পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন। ধীরে ধীরে এ সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাবার পানি চরম সংকট দেখা দেওয়ায় এখানকার নারীদের প্রতিদিন প্রায় ৩-৬ ঘণ্টা ব্যয় করে দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কৃষিতে দক্ষ এ সকল নারীরা দিনের একটি বড় অংশ খাবার পানি সংগ্রহে ব্যয় করার ফলে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক কাজে সময় দিতে না পারায় সার্বিক অর্থে দেশে অর্থনৈতিক খাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক সময় পারিবারকে বেশি সময় দেওয়াতে নারীরা পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে নারীরা কৃষি কাজ, চিংড়ি মাছের পোনা ধরা ও মাছের ঘেরে কাজ, বনায়নের মতো অর্থনৈতিক কাজের সাথে সরাসরি জড়িত। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের জীবন-জীবিকা ও কর্মসংস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ প্রভাব থেকে নারীদের জীবন-জীবিকা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে সুব্যবস্থা গ্রহণের সঠিক সময় এখনই। এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার সচেতনতা ও অভিযোজন বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সরকার সরাসরি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের এ কার্যক্রমের কার্যকরী বাস্তবায়নে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সরাসরি অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। যেকোনো কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সচেতনতার ওপর। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ এবং তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের নতুন গণমাধ্যম বা নিউ মিডিয়ার অংশগ্রহণ এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ও ফলপ্রসূ। সচেতনতা বৃদ্ধি ও জনমত গঠনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কমিউনিটি মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা এবং নারীদের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে তাই গণমাধ্যমের পাশাপাশি কমিউনিটি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা উদ্যোগ এবং সচেতনতা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় নারীদের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত সফলতা অনেকেই আনবে।
50 years of Bangladeshi banking Management System: A Critical Evaluation
Banking sector of Bangladesh commenced its journey under the leadership of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman as part of his economic rebuilding movement in the newly independent Bangladesh in a situation of difficult economic and natural shocks. The newly independent nation inherited a fragile banking structure consisting of two Bangladeshi banks with 155 branches, 10 Pakistani banks with 920 branches, and three foreign banks with 14 branches. In such a circumstance, the foundation of the independent banking system of Bangladesh was laid through the establishment of the Bangladesh Bank the central bank of the country by the Presidential Order No. 127 of 1972 that took effect from December 16, 1971.
Bangladeshi banking sector started with six nationalized entities: Sonali, Agrani, Janata, Rupali, Pubali, and Uttara Bank under Bangladesh Bank Nationalisation Order 1972. After that, to ensure adequate credit facilities to the industry and agriculture sector, the then government set up three specialised institutions Bangladesh Shilpo Bank, Bangladesh Shilpo Rin Songstha, and Bangladesh Krishi Bank. Foreign banks, functioning at that time, were also allowed to operate.
Reform initiatives have notable implications for the changes and development of the banking sector of Bangladesh. Initiatives to reform the banking sector in Bangladesh may be traced to the beginning of the 1980s when a few private sector banks were allowed and denationalisation of the Uttara Bank and Pubali Bank took place. Money, Banking, and Credit Commission was constituted in the mid- 1980s to define the scope and modalities of the early phase of the reform. As part of the reform, a new system of loan classification and provisioning was introduced in 1989. Practically, wide- ranging banking reform measures were undertaken under World Bank's Financial Sector Reform Project (FSRP) in the 1990s under which the focus of reforms included gradual deregulations of the interest rate structure, providing market-oriented incentives for priority sector lending, and improvement in the debt recovery environment. After the expiry of FSRP in 1996, the government of Bangladesh formed a Bank Reform Committee (BRC) that gave highest priority to the restructuring of the supervisory and regulatory set up for ensuring strong system of enforceable oversight of banks. While the issue of risk-based supervision and adoption of Basel-I were spelled out in FSRP, it was indeed the reforms in post-2000 that had a de facto focus on risk-based banking supervision. The Central Bank Strengthening Project (CBSP) initiated in 2003 focused on effective regulatory and supervisory systems for the banking sector, particularly strengthening the legal framework, automation, and human resource development and capacity building of the central bank. The Enterprise Growth and Bank Modernisation Project were adopted in 2004 by the World Bank to help the government achieve a competitive private banking system and corporatisation of a substantial shareholding in the public sector banks. After the expiry of BRC/CBSP programme, there were many remarkable regulatory and supervisory initiatives for the consolidation of the banking sector. Regulatory changes have been installed in several areas either to align these with the global standards or to address internal needs and requirements.
Following the privatisation initiatives in the banking industry in 1982, a good number of private commercial banks have been allowed in mid-1993-95, and 2012-13. By the time the banking industry of the country was restructured into a setup with 61 scheduled banks of which 43 are private commercial banks, six state-controlled commercial banks, three specialised banks, and nine foreign bank branches. Of the private commercial banks, nine are Islamic banks, and several other banks are offering Islamic banking services using Islamic banking branches and windows. There are also five more institutions for pursuing special objectives but these are not scheduled banks. Bank branch expansion was very rapid for the government-owned banks in the first decade till 1980 mainly in the rural areas, as the then government was particularly eager to expand banking services in rural Bangladesh. However, over the years the focus shifted from rural to urban banking with the growing market share of private commercial banks. Currently, the proportion of rural bank branches is below half and almost half of the bank branches are owned by the private commercial banks. Private commercial banks have even higher dominance in terms of assets, deposits, and advances. Rural deposits of banks started picking in recent years. Especially, the proportion of rural deposits increased remarkably in this decade. However, nine-tenth of the total outstanding credit has been in urban areas.
There is no doubt that banking sector of the country improved in terms of services, profitability. efficiency, and risk absorption capacity over the years. It is, however, not easy to capture and compare periodical and inter-bank group performance status of the banking activities of the country when their purposes, operational procedures are different. And, the estimation processes of certain indicators in line with the regulatory requirements changed over time. Though private and foreign banks have been consistently focusing on profit motives in their operations as commercial banking entities, the focus and operational processes for state-controlled banks have mainly targeted attainment of national goals and priority sectors. Specialised banks have been designed for supporting priority sectors. However, despite notable improvement, banking sector of Bangladesh has challenges associated with the key indicators of financial health: non-performing loans and corporate governance practices. There is no doubt that the banking industry has been playing a remarkable role in supporting the economic growth of the country over the years. Banks have been engaged in short-term, medium-term, and long-term financing since inception, and have been playing roles of banks, non-bank financial institutions, and capital market single-handedly. Alongside offering payment and credit services in domestic business and economic activities. international trade and foreign exchange activities have increasingly been facilitated by the banking institutions of the country. Improvements in terms of performance indicators are visible and appreciable. However, challenges of the sector must not be ignored for ensuring greater and consistent contribution. Moreover, banking sector now needs to handle Covid-19 situation efficiently for sustainable banking operation in the coming days.
For better future of the banking industry, we need to design multiple pressure elements for addressing willful defaults and undertake measures for supporting defaulters for genuine reasons. The growing number of market players in the financial market should ensure greater competition, efficiency, and innovation. The higher number of banks should ensure greater financial inclusion in a country where still a section of people remains out of the scope of banking services. The country requires an in-depth analysis of the relevant information on the developmental levels of small manufacturing clusters of the country. There should also be initiative and advocacy for setting up of regulatory authority for Warehouse Receipt Systems and a commodity exchange to support agricultural financing further. Platforms like mobile and agent banking have received momentum in recent times in Bangladesh. Covid-19 outbreaks have proven the relevance and importance of these banking ventures. Especially, expansion move of agent banking is inspiring, and sustaining of the model might prove to be a remarkable force for reaching the rural vulnerable at reasonable cost. Alongside adoption of technology and promoting innovations, mapping shadow banking entities and activities based on certain regulatory criteria is the need of the time. Development of other segments of the financial sector is also relevant for the sustainable banking operation of Bangladesh.
Classified loans
Classified loans
Classified loans are loans that are in danger of not being paid back. When classifying loans, there are uniform classification standards, but lenders can be more conservative in the process. A loan doesn't have to be in default to be classified. Generally, if payment is more than 90 days late a loan should be classified, but there are exceptions if the loan is secured by sufficient collateral. Classified loans have three possible designations: substandard, doubtful, and loss.
A start-up agribusiness
A start-up agribusiness
Agribusiness is doing business with agricultural products. Agribusiness is a term that bridges Agriculture and Business. In 1950, the term was first introduced by Harvard Business School (HBS) Professors Ray Goldberg and John Davis. Agribusiness in Bangladesh is a new dimension. Agribusiness is of critical importance to a country under all conditions at each stage in its development. Agribusiness is an intricate venture that integrates agricultural farming, value-added processing, packaging & delivery activities. With the enlargement of global demand for agribusiness products, demand for these agribusiness factors also enhanced for the time being. Leading Agribusiness companies in Bangladesh are ACI Agribusiness, Pran Group. Krishibid Group, Ifat Group, Akij Group. Kaji Group, Square Group, Supreme Seeds, Isphahani Group, etc.
Dhaka elevated expressway
Dhaka elevated expressway
Dhaka Elevated Expressway is Bangladesh's first elevated expressway project, which will connect the Shahjalal airport with Kutubkhali via Mohakhali, Tejgaon and Kamalapur of Dhaka, Bangladesh. It is one of the largest infrastructure projects taken up by the incumbent government to ease traffic congestion in the capital. The 19.73km expressway stretching from Shahjalal International Airport to Kutubkhali on the Dhaka-Chattogram highway, with 27 ramps of around 27km, is expected to help people cross the Dhaka without facing the huge traffic congestion within the city.
Best practice of demographic dividend
Best practice of demographic dividend
Bangladesh has a fairly young population with 34 percent aged 15 and younger and just five percent aged 65 and older. At present, more than 65 percent of our population is of working age, between 15 and 64. When there is such a large percentage of young people in any nation, they are expected to contribute to the country's economy. This opportunity is known as the 'demographic dividend' which refers to the economic growth potential that can result from shifts in a population's age structure, mainly when the share of the working-age population is larger than the non-working- age share of the population," as defined by the United Nations Population Fund. Our policymakers need to realise that for a country where 24.3 percent of the population live below the national poverty line, no matter what the GDP growth rate or per-capita income is, rising income inequality and millions of young people unemployed or underemployed point to a ticking time bomb. Moreover, our population will reach 223.5 million by 2041 and 230-240 million by 2050. As mentioned earlier, this demographic dividend is not guaranteed or automatic-dividend comes of use when jobs are created, and when young people join the workforce. Therefore, if we want to reap the full benefits of the demographic dividend, we need to act fast because demographic dividend is a one-time short-lived phenomenon that usually continues for 30 to 35 years, and by 2045 to 2060, this window of opportunity to accelerate economic growth will start to disappear. So before time runs out, we must act to prepare our young people for the future world of work. Since most new jobs. that will be created in the future will be highly skilled, we need to revamp our weak education system to make it more suitable to the changing times. Alongside that, we must invest much more in education, health and nutrition, infrastructure, and adopt an expansionary economic policy and create a favourable environment for local and foreign investment, so that we can increase production, productivity and consequent employment opportunities for the future workforce. If we succeed, we will ensure the prosperity of our people. And if we fail, our 'demographic dividend' can turn into a 'demographic disaster."
Health Care banking
Health Care banking
The world faces multiple health financing challenges as the global health burden evolves. Countries have set an ambitious health policy agenda for the next 15 years with prioritisation of universal health coverage under the Sustainable Development Goals. The scale of investment needed for equitable access to health services means global health is one of the key economic opportunities for decades to come. New financing partnerships with the private sector are vital. The aim of this study is to unlock additional financing sources, acknowledging the imperative to link financial returns to the providers of capital, and create profitable, sustainable financing structures. The global health investment opportunity exploring intersections of financial and health sector interests, and the role investment in health can play in economic development. Considering increasing demand for impact investments, we should explores responsible financing initiatives and expansion of the global movement for sustainable capital markets. Adding an explicit health component (H) to the Environmental, Social and Governance (ESG) investment criteria, creating the ESG+H initiative, could serve as catalyst for the inclusion of health criteria into mainstream financial actors' business practices and investment objectives. Health considerations directly impact profitability of the firm and therefore should be incorporated into financial analysis, Positive assessment of health impact, at a broad societal or environmental level, as well as for a firm's employees can become a value enhancing competitive advantage. An ESG+H framework could incorporate this into mainstream financial decision-making and into scalable investment products.
Bangladesh's geographical location has been a very important reason for being the member of India Ocean Rim Association. Bangladesh is a littoral of the Bay of Bengal, the region integral to the Indian Ocean and a major maritime trading route.
In formulating the Indo-Pacific strategy, Bangladesh and France foster the same vision for a free, open, peaceful, secure and inclusive Indo-pacific region.
The 1982 United Nations Convention on the Law of the Sea' has been taken into account as this law is the peaceful settlements of all the disputes related to the sea boundary.
As Bangladesh has become the chair of ORA, it has many things to do for it's own interest. As Bangladesh is geo-politically a vital country, it needs to play a crucial role for the future prospects also.
Bangladesh to make clear its position over Indo-pacific.
সাংস্কৃতিক আন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ ধারা। সাতচল্লিশ পরবর্তী সময় থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, সংস্কৃতি ছিল তার প্রাণ। প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মুক্তিসংগ্রামের ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। সেই আদর্শকে সামনে রেখেই গণমানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে। কেবল সার্বভৌম রাষ্ট্রই নয়, স্বাধীন ও সংস্কৃতিবান মানুষও যে স্বাধীনতার পরিচায়ক, সে সময়ের সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও কর্মকান্ডে তার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়।
= Cultural movement is an important part of the liberation war of Bangladesh. Culture was the lifeline of the political movement that started under the leadership of Bangabandhu after 1947. Progressive cultural organizations are formed in the succession of the liberation movement and the practice of free will and the emergence of non-communal consciousness among the common people. Keeping that ideology in mind, the masses participated in the war of liberation. That not only a sovereign state but independent and cultural people are an introductory to independence was observed in cultural movements and activities during that time.
The inauguration of the much-hyped Dhaka Nagar Paribahan Service marks the journey of what is called a bus franchise system. If the rationalization of this particular bus route from Keraniganj's Ghatarchar to Kanchpur can set an example for other bus operators reluctant to join the system, this pilot project will have served its purpose. It has taken as long as six years to convince a few bus companies to join the initiative. Many bus companies still oppose this move. Despite their non- cooperative stand, it was made possible through the joint efforts of the two incumbent city Mayors.
= বহুল আলোচিত ঢাকা নগর পরিবহন সেবার যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো যাকে বাস সেবা ব্যবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই বৃহৎ পরিকল্পনার অনেকটাই কার্যকর হয়ে উঠবে যদি কেরানিগঞ্জের ঘাটারচর থেকে শুরু করে কাঁচপুর পর্যন্ত এই বিশেষ বাস রুট অন্যান্য অনেচ্ছুিক বাস চালকদেরকে এই ব্যবস্থায় যুক্ত করা হয়। এই পরিকল্পনার সাথে কিছু বাস কোম্পানিকে যুক্ত করতে প্রায় ৬ বছরের মতো সময় লেগেছে। অনেক বাস কোম্পানিই এখানো এই পরিবর্তনের বিরোধীতা করছে। তাদের এই অসহযোগিতামূলক মনোভাব সত্ত্বেও দুইজন দায়িত্ববান নগরপিতার যৌথ প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।
There are two crosswise roads just in the middle of a field of length 50m and breadth 40m. The breadth of each road is 1.5m. Find the area covered by two roads.
The angle of elevation of a watch tower at a point on the ground is 60°. If moved back 18m, the angle of elevation becomes 45 degree. What is the height of the watch tower?