Combined 7 Banks and 1 Financial Institution || Senior Officer (General) (14-01-2022) || 2022

All

                                                                                                   জলবায়ু পরিবর্তনে নারীর জীবনসংগ্রাম : বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। জার্মান ওয়াচ গ্লোবাল-এর জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিআরআই-২০২১) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ শীর্ষ দশ দেশের একটি। ঝুঁকি ও ক্ষতিগ্রস্তের বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা, কৃষি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সাধারণ নিয়মেই উপকূলীয় এলাকায় প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের আঘাত নিয়মিত ঘটনা। তার উপর গত কয়েক দশক ধরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল নিমজ্জ্বিত ও লবণাক্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরসাথে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিনিয়তই উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্যগতসহ জীবন-জীবিকাজনিত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যার সম্মুখীন ইচ্ছে বেশি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিতে লবণাক্ততা বাড়ায় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে । নারীরা। বাধ্য হয়ে এ জনপদের মানুষ তার জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে পেশার পরিবর্তন করছে, কর্মসংস্থানের খোঁজে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের জীবন-জীবিকায় জলবায়ুর প্রভাব মারাত্মক। এর ফলে নারীদের কর্মসংস্থানহীনতা বেড়েছে, পরিবর্তন করতে হচ্ছে তাদের জীবন-জীবিকা ও পেশার ধরন। সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পুরুষদের চেয়ে নারীর ওপর বেশি পড়েছে। এমনিতেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নারীরা পুরুষের তুলনায় কম সুযোগ-সুবিধা পায়। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট যে কোনো দুর্যোগ নারীকে আরো বেশি বিপদে ফেলে দেয়। দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে পুরুষেরা জীবিকার কারণে বড় বড় শহরসহ অন্য এলাকায় চলে গেলেও নারীরা বসতবাড়ি পাহারা দেয়। পরিবারের সদস্যদের দেখাশুনা করার জন্য থেকে যেতে হয়। এসবের পাশাপাশি নারীদের অর্থনৈতিক কাজেও অংশগ্রহণ করতে হয়। দেখা গেছে নারীরা আয়বর্ধক এবং কৃষি কাজ- ঘর-গৃস্থালীর কাজও করতে হয় বেশি। হাঁস-মুরগি, গবাদি পশুর লালন পালন আর খাবার পানি সংগ্রহের কাজে দিনের বড় একটি অংশ পার করতে হয়। 

জরিপে দেখা গেছে, গত কয়েক দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে দেশের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা। ক্রমাগত জলবায়ু পরিবর্তন সরাসরি প্রভাব ফেলছে উপকূলীয় মানুষের জীবিকায়। এ এলাকার নারী-পুরুষ বাধ্য হচ্ছে যুগ যুগ ধরে করে আসা কৃষি কাজ, বনায়ন, মাছ চাষ ও মাছ ধরার মতো দক্ষ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে। পুরুষেরা পেশা পরিবর্তনের কারণে বাধ্য হচ্ছে নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যেতে। পুরুষেরা বড় বড় শহরে গিয়ে তারা অনানুষ্ঠানিক বা সেবাখাত (হোটেলে কাজ নির্মাণশ্রমিক, যানবাহন পরিবহনের হেলপার, দৈনিক মজুর, ফেরিওয়ালার কাজের মতো বিভিন্ন কাজ করছে। আর নারীরা শহরে গিয়ে বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করছে, রাস্তার ধারের ফেরিওয়ালা, হোটেল-রেস্তোরাঁর শ্রমিক, নয়তো শিল্পকারখানায় (বিশেষ করে গার্মেন্টসে কাজ করছে) শ্রমিকের কাজ করছে। নারীদের একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে তাদের বসতবাড়ি রক্ষাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাহায্য করতে বাধ্য হয়ে থেকে যাচ্ছে বিছিন্ন হয়ে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডব, জোয়ারের তীব্রতা, নদী-ভাঙনের ফলে উপকূলীয় জনগোষ্ঠী কৃষি, বনায়ন ও মৎস্যখাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছে। বহু মানুষ কাজের সন্ধানে শহরের দিকে ছুটছে। কৃষি ও মাছ ধরার মতো দক্ষতা বদলে তারা শহরের শ্রমিকের কাজ বেছে নিয়েছে। কৃষি প্রধান বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে নারী-পুরুষ তাদের কৃষি পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যাচ্ছে। আমাদের দেশের নারীরা কৃষিতে দক্ষ। অথচ তাদের সেই কৃষির দক্ষতাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কৃষি, বনায়ন ও মাছ ধরাই ছিল এই মানুষদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। নারীদের বিকল্প জীবিকা বা আয়ের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ কোনো সুব্যবস্থা এ অঞ্চলে নেই। ফলে নারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। 

দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীরা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও কৃষিখাত এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে নেই। উপকূলীয় এলাকাগুলোতেও জীবন-জীবিকায় এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে নাই মোটেও। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে পুরুষের চেয়ে এ অঞ্চলের নারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানেও পিছিয়ে পড়ছে। শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ অনুযায়ী কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণকারী মোট জনসংখ্যা ৫৮.২ শতাংশ। এর মধ্যে নারীদের কর্মসংস্থানের হার ৩৬.৩ শতাংশ এবং পুরুষের হার ৮০.৫ শতাংশ। অর্থনৈতিকখাতে নারীদের শতকরা ৬০ শতাংশ কৃষিতে, ১৭ শতাংশ শিল্পে এবং ২৩ শতাংশ সেবা খাতে জড়িত। অপরদিকে, পুরুষদের শতকরা ৩২ শতাংশ কৃষিতে, ২২ শতাংশ শিল্প এবং ৪৬ শতাংশ সেবা খাতে জড়িত। পেশাভিত্তিক হিসেবে দক্ষ কৃষি, বনজ ও মৎস্যখাতে নারী পুরুষের অংশগ্রহণ প্রায় সমান সমান। (নারী-৪৯, পুরুষ -৫১)। (সূত্র : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭)। কিন্তু উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি ও বনজ খাতে নারীদের অংশগ্রহণ আরো বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে একদিকে কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ যেমন দিনে দিনে কমছে অন্যদিকে নারীদের কর্মসংস্থানহীনতাও বেড়েছে। ফলে পরিবর্তন করতে হচ্ছে তাদের জীবন-জীবিকা ও পেশার ধরন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারীর পরিবার এবং নারী নিজে। বাংলাদেশের মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রায় ৮৮ শতাংশ কৃষিখাতের ওপর নির্ভরশীল। জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ১৬ শতাংশ। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষি ওপরই। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নদী, হাওর ও উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষির দিক থেকে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল অত্যন্ত উৎপাদনশীল। অথচ অন্যান্য এলাকার তুলনায় উপকূলীয় এলাকা অনেক বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকির উচ্চমাত্রা এবং স্থানীয় দরিদ্র সম্প্রদায়ের ওপর এ ঝুঁকির আশঙ্কাজনক প্রভাবের কারণে অঞ্চলটি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এবং ঝুঁকির মুখে। কৃষি মৌসুমি অবস্থার যেকোনো পরিবর্তনের সাথে সংবেদনশীল, এমনকি তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, মৌসুমের সময় ও সময়কাল, বরাবর বন্যাসহ মাটি ও পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির সাথে কৃষি উৎপাদন সরাসরি জড়িত। উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি তাদের প্রধান পেশা কৃষি এবং কৃষিকাজের ওপরই নির্ভরশীল। গৃহকর্মের পাশাপাশি কৃষি কাজের সাথেও জড়িত। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। যেহেতু উপকূলীয় এলাকাগুলোতে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণীঝড়, জলোচ্ছ্বাস, উপকূলীয় বন্যা, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ হচ্ছে, সেহেতু কৃষির ওপর সরাসরি এর প্রভাব থাকায় কৃষি উৎপাদন বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে ভীষণভাবে এবং নারীরাও তাই সরাসরি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং কৃষি থেকে অন্যান্য পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। পরিবর্তনের কারণে অদক্ষ নারী শ্রমিকের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে। ফুলে নারীদের কাজের দক্ষতাগুলোও কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কৃষি খাতের দক্ষ নারীরা অন্য কোনো অদক্ষ কাজে নিয়োজিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে সুপেয় পানির পরিমাণও দিনে দিনে কমছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় প্রায় ৭০ লাখের বেশি মানুষ এখন খাওয়ার উপযোগী পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন। ধীরে ধীরে এ সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাবার পানি চরম সংকট দেখা দেওয়ায় এখানকার নারীদের প্রতিদিন প্রায় ৩-৬ ঘণ্টা ব্যয় করে দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কৃষিতে দক্ষ এ সকল নারীরা দিনের একটি বড় অংশ খাবার পানি সংগ্রহে ব্যয় করার ফলে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক কাজে সময় দিতে না পারায় সার্বিক অর্থে দেশে অর্থনৈতিক খাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক সময় পারিবারকে বেশি সময় দেওয়াতে নারীরা পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে নারীরা কৃষি কাজ, চিংড়ি মাছের পোনা ধরা ও মাছের ঘেরে কাজ, বনায়নের মতো অর্থনৈতিক কাজের সাথে সরাসরি জড়িত। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের জীবন-জীবিকা ও কর্মসংস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ প্রভাব থেকে নারীদের জীবন-জীবিকা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে সুব্যবস্থা গ্রহণের সঠিক সময় এখনই। এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার সচেতনতা ও অভিযোজন বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সরকার সরাসরি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের এ কার্যক্রমের কার্যকরী বাস্তবায়নে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সরাসরি অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। যেকোনো কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সচেতনতার ওপর। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ এবং তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের নতুন গণমাধ্যম বা নিউ মিডিয়ার অংশগ্রহণ এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ও ফলপ্রসূ। সচেতনতা বৃদ্ধি ও জনমত গঠনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কমিউনিটি মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা এবং নারীদের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে তাই গণমাধ্যমের পাশাপাশি কমিউনিটি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা উদ্যোগ এবং সচেতনতা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় নারীদের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত সফলতা অনেকেই আনবে।