স্বরধ্বনিঃ যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও কোনো প্রকার বাধা পায় না, তাদেরকে বলা হয় স্বরধ্বনি বা Vowel sound. যেমনঃ অ, আ, ই, উ ইত্যাদি।
ব্যাঞ্জনধ্বনিঃ যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস-তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও না কোথাও কোনো প্রকার বাধা পায় কিংবা ঘর্ষণ লাগে, তাদেরকে বলা হয় ব্যঞ্জনধ্বনি বা Consonant sound. যেমনঃ ক, চ, ট, ত, প ইত্যাদি। মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি। এগুলো হলোঃ অ, আ, ই, উ, এ, অ্যা, ও। উল্লেখ্য, যৌগিক স্বরধ্বনি ২টি (ঐ, ঔ)।
স্বার্থ(অর্থ লিখুন)
'স্বার্থ' অর্থ 'নিজ প্রয়োজনে, নিজের উদ্দেশ্য, নিজের অর্থ, স্বীয় ধনসম্পদ'।
চন্দ্র ( দুটি সমার্থক শব্দ লিখুন)
চন্দ্ৰ এর দুটি সমার্থক শব্দ চাঁদ এবং সুধাংশু ।
সিংহাসন, পুরস্কার ( সন্ধি বিচ্ছেদ করুন)
সিংহ + আসন = সিংহাসন।
পুরঃ + কার = পুরস্কার।
রূপালি , অযথা ( পদ নির্দেশ লিখুন)
'রূপালি' হলো বিশেষণ পদ। ‘অথবা’ হলো অব্যয় পদ।
অমৃত , সার্থক ( বিপরীতার্থক শব্দ লিখুন)
‘অমৃত' এর বিপরীত শব্দ ‘গরল'। ‘সার্থক’ এর বিপরীত শব্দ ‘ব্যর্থ’।
সমুদ্রের মধ্যে হাজার হাজার প্রবাল আপন দেহের আবরণ মোচন করতে করতে কখন এক সময়ে দ্বীপ বানিয়ে তোলে, তেমনি বহুসংখ্যক মন আপনার অংশ দিয়ে গড়ে তুলেছে আপনার ভাষা - দ্বীপ। এভাবে এক এক ভৌগোলিক ভূখন্ডে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর ব্যবহৃত ভাষা থেকে বিভিন্ন ভাষার উদ্ভব। যেমন- জাপান ভূখন্ডে বসবাস করে যে জনগোষ্ঠী, তাদের ভাষা জাপানি । ফ্রান্সের অধিবাসীদের ভাষা ফরাসি। বাংলাদেশের অধিবাসীদের ভাষা বাংলা ।
একটা উদাহরণ দিলে স্পষ্ট হবে। কারো মুখ থেকে “না” শুনলেই আমরা বুঝি যে লোকটা কথা বলছে বাংলায়, কেননা “না” ধ্বনি বাংলা ভাষার শব্দ; লোকটি যদি “নো” বলতো তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই ধরা যেত যে কথাটা ইংরেজি, কেননা বাংলায় “নো” বলে কোনো শব্দ নেই। আবার ফরাসি ভাষায় ওই কথাটা বুঝতে চাইলে বলতে হবে “ন”। অথচ না, নো, পঁ- এই তিনটি ধ্বনির মধ্যে পার্থক্য তো খুব বেশি নেই, আর অর্থ তো তিনটিরই এক। তবু বাংলা ভাষীরা বলে বলেই ওই ‘না’ ধ্বনি বা শব্দটা বাংলা ভাষার শব্দ। আমরা বাঙালিরা যে ভাষায় কথা বলি, স্বপ্ন দেখি, মনের ভাব প্রকাশ করি তার নাম বাংলা ভাষা । বাংলা ভাষা সম্পর্কে প্রদত্ত সংজ্ঞার্থ হলোঃ ‘মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনির দ্বারা সম্পাদিত বা নিষ্পন্ন, বাঙালি সমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত, তথা বাক্যে প্রযুক্ত শব্দসমষ্টির নাম বাংলা ভাষা।' বাংলা ভাষা বাংলাদেশের বাইরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, আসামে, ত্রিপুরায় এবং আরো কিছু জায়গায় প্রচলিত আছে। আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর পশ্চিমের দেশ সিয়েরালিওন-এর অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলা। পৃথিবীর প্রায় ত্রিশ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। ভাষা ব্যবহারকারী জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাকে বিশ্বে চতুর্থ স্থানীয় ভাষা বলে অনুমান করা হয়। ২০৫০ সাল নাগাদ কেবল ১৪-২৫ বছর বয়স্ক বাংলাভাষীর সংখ্যাই ৩১ কোটি ৬০ লক্ষে দাঁড়াবে বলে পরিসংখ্যানবিদদের অনুমান। ভাষার সংখ্যার বিচারে বাংলা এখন পৃথিবীর সপ্তম ভাষা। এর স্থান কেবল চীনা, ইংরেজি, হিন্দি-উর্দু, স্প্যানিশ, আরবি ও পর্তুগিজের পরে। আর বাংলাই সম্ববত পৃথিবীর একমাত্র ভাষা, যার প্রতি ভালোবাসা ও মর্যাদাবোধ থেকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম। বাংলদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা । বাঙালি জাতির মাতৃভাষাও বাংলা। UNESCO এক ঘোষণায় বলেছেঃ ‘বাংলা পৃথিবীর মধুরতম ভাষা এবং স্প্যানিশ দ্বিতীয় ও ডাচ তৃতীয় মধুর ভাষা । ভাব প্রকাশে বাংলার মতো এমন মধুর এবং উপযুক্ত ও সুন্দর ভাষা আর নেই ।