সাধারণ বীমা কর্পোরেশন || উচ্চমান সহকারী (19-07-2019) || 2019

All

সকল বিষয়

প্রচলিত অর্থে তারল্য (Liquidity) বলতে গ্রাহকের অর্থ চাহিবামাত্র পরিশোধের ক্ষমতাকে বুঝানো হয়। আর তারল্য সংকট (Liquidity crisis) হলো কোনো কারণে গ্রাহক যদি ব্যাংকের নিকট (তার সঞ্চিত অর্থ কিংবা বিনিয়োগের জন্য ঋণের টাকা) চেয়ে না পান তখন যে অবস্থার সৃষ্টি হয় সেই অবস্থা। অর্থাৎ গ্রাহকের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর মতো টাকা ব্যাংকে জমা না থাকার মত অবস্থাকে তারল্য সংকট বলে। অর্থনীতিবিদদের মতে তারল্য সংকট বলতে এমন একটি অবস্থাকে বুঝায় যখন বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের স্বল্পতা (Scarcity) পরিলক্ষিত হয়।

তারল্য সংকট বর্তমানে আমাদের দেশে প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। এই অবস্থা বেশি দিন থাকলে ব্যাংকের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা পুরোপুরি উঠে যাবে। বেশ কিছু কারণে ব্যাংকিংখাতে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে । দু-একটি ব্যাংক ছাড়া সব ব্যাংকই গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক অর্থ দিতে পারছে।

তারল্য সংকটের কারণঃ

০১. ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ করায় তাদের সাময়িক ঋণদানের ক্ষমতা কমে গেছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে ।. 

০২. বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ঋণ আমানত অনুপাত কমিয়ে দিয়েছে, যা আগে ছিল সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য ৮৫ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ছিল ৯০ শতাংশ। নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ছিল ৮৯ শতাংশ। প্রথম সার্কুলারে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে ঋণ আমানত অনুপাত সমন্বয় করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে তা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে ।

০৩. আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার কিনে ফলে টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চলে যায় । অর্থাৎ ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে নগদ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক নেওয়ার কারণে তারল্য সংকট দেখা দেয়।

০৪. বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ কমে যাওয়া। বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে আমাদের দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে । বিদেশ থেকে কর্মী ফেরত ও কর্মী না নেয়াসহ বিভিন্ন কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে। ফলে তারল্য সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে ।

০৫. একটি বেসরকারি ব্যাংকের কারণে বাজারে প্যানিক তৈরি হয়েছে, যার ফলে তারল্য সংকটের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সরকারি সংস্থা বেসরকারি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছে এবং নিচ্ছে।

তারল্য সংকটের প্রতিকারঃ

০১. সরকারের অতিমাত্রায় ঋণ গ্রহণ বন্ধ করতে হবেঃ সরকারকে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ব্যাংক থেকে অতিমাত্রায় ঋণ গ্রহণ বন্ধ করতে হবে। ফলে ব্যাংকগুলি তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। এতে তারল্য সংকট অনেক তা কমে আসবে।

০২. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণঃ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের কাজেই সরকারকে এর প্রয়োজনীয় সময় উপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে।

০৩. শেয়ার মার্কেটের লুট করা টাকা উদ্ধার করে শেয়ার মার্কেটকে সচল করাঃ সরকার মার্কেটের দোষীদের থেকে লুট করা টাকা উদ্ধার করে পুনরায় শেয়ার মার্কেটে প্রদানের মাধ্যমে পুরো মার্কেটকে সচল করা। ফলে তারল্য সংকট থেকে কিছুটা মুক্তি মিলবে।

০৪. দেশের বাহিরে টাকা পাচার বন্ধ করাঃ অনেক সময় আমাদের দেশে কিছু অসৎ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা দেশের বাহিরে পাচার করে থাকেন। এতে বড় ধরনের একটা অঙ্ক দেশের বাহিরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে এর প্রভাব তারল্য সংকট হয়ে পুরো দেশের উপর পড়ছে।

১৯.০৭.২০১৯
সম্পাদক
দৈনিক আশার আলো
৪০ কারওরান বাজার, ঢাকা ১২১৫

বিষয়ঃ সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচলিত স্বনামধন্য ‘দৈনিক আশার আলো' পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে প্রকাশের জন্য 'যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধের উপায়' শিরোনামে একটি চিঠি পাঠালাম। সমকালীন সমাজ প্রেক্ষাপটে চিঠিটির গুরুত্ব বিবেচনা করে অনুগ্রহ করে প্রকাশের ব্যবস্থা করলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

বিনীত
মোঃ শফিকুল ইসলাম
শিবালয়, মানিকগঞ্জ

যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

সামাজিক মূল্যবোধ (Social Values) যথা সততা, কর্তব্যপরায়ণতা, নিষ্ঠা, ধৈর্য্য, উদারতা, শিষ্ঠাচার, সৌজন্যবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, নান্দনিক সৃজনশীলতা, দেশপ্রেম, কল্যাণবোধ, পারস্পরিক মমত্ববোধ ইত্যাদি নৈতিক গুণাবলি বিনষ্ট হয়ে যাওয়াকে সামাজিক অবক্ষয় বলে। নৈতিকতার অনুপস্থিতির কারণে সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন বেড়েই চলছে। আর এই নৈতিক অধঃপতনের মূল স্থানটি হল যুব সমাজ। এই যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধের উপায়গুলি নিচে তুলে ধরা হলোঃ

০১. ধর্মীয় মূল্যবোধঃ বর্তমানে আমরা যে মোরালিটির কথা বলি তার মূল উৎস হলো ধর্ম। ধর্মের মধ্যেই জীবন আচরণের সকল আদর্শিক বিষয়গুলোর উল্লেখ রয়েছে। ধর্মকে পুরোপুরিভাবে চর্চার মাধ্যমেই জীবনে উৎকর্ষ সাধন সম্ভব। ভুল ও সঠিকের মানদণ্ড কেবল ধর্মই নির্ধারণ করতে পারে। ধর্মীয় বিধি-বিধানের মধ্যেই রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা । তাই আজ অধঃপতিত যুব সমাজকে নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা আবশ্যক ।

০২. রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনঃ রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ যুব সমাজকে তার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে রক্ষা করতে পারে। যেদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল, বিচারহীনতার সংস্কৃতি নেই, সেদেশের যুব সমাজের মধ্যে নৈতিক অধঃপতনের হার অনেক কম। কিন্তু রাজনৈতিক দেওলিয়াপনা সমগ্রজাতিকে অস্থিরতার দিকে টেনে নিয়ে যায়। আবার একটি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী একটি দেশ যেদেশে বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি, জিডিপি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচকগুলো একটি সুস্থির অবস্থায় আছে, ঐসকল দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে হতাশা কম কাজ করে। এজন্য বেকারত্ব হ্রাস করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়ন সম্ভব। ফলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ একটি উন্নত যুব সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।

০৩. মাদকের নির্মূলঃ বর্তমানে যুব সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো মাদক। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা না করলে এবং মাদকের নির্মূল না করা পর্যন্ত এই যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত হতে টেনে তোলা সম্ভব নয়। সর্বগ্রাসী মাদক আজ পৌছে গিয়েছে গ্রামেও। মাদক যুব সমাজের কর্মশক্তি ও স্পৃহাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই মাদকের সর্বগ্রাসী ছোবলে পারিবারিক ও সামাজিক অশান্তি বেড়ে যাচ্ছে এবং জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্যকে এই মাদকের বিস্তার রোধে এগিয়ে আসতে হবে।

০৪. আদর্শ ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধিঃ সমাজে সম্মানী ও আদর্শবান ব্যক্তির মর্যাদা দিলে যুব সমাজ এতে খুবই অনুপ্রাণিত হয়। ভালো কাজের মর্যাদা ও তার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ এবং মন্দ কাজের তিরস্কারের সংস্কৃতি যুব সমাজের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায় । কাজেই সমাজে যুব সমাজকে মোটিভেট করতে এই সম্মান প্রদর্শনের সংস্কৃতি চালু করতে হবে।

০৫. অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রোধঃ নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে এই যুব সমাজকে রক্ষা করতে চাইলে অসুস্থ সংস্কৃতির ব্যাপকতা রোধ করতে হবে। পাশাপাশি সুস্থ বিনোদন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। আজ থেকে দশ বছর পূর্বেও হত্যাও ধর্ষণের মাত্রার এত ব্যাপকতা ছিল না। বিদেশী সংস্কৃতির আমদানি ও বিদেশী বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলের প্রচলনে যুব সমাজ আজ বুদ হয়ে রয়েছে এসবে। এই সকল চ্যানেলগুলো যে সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটায়-তা আমাদের নৈতিকতার সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। যুব সমাজ এই সংস্কৃতির সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে যা খুবই বিপদের কথা। এই অসুস্থ বিনোদন ব্যবস্থা বন্ধ করে সুস্থ বিনোদন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

০৬.কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাঃ যেদেশে বেকারের সংখ্যা যত বেশি সে দেশে যুব সমাজ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ এর সংখ্যা তত বেশি। বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারলে অনেক লাভ। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লাভ দুটি। ১. কর্মে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জিডিপি বাড়বে। ২. কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুবসমাজকে পুনর্বাসন করে নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। কাজেই বেকারত্বের অভিশাপ হতে যুব সমাজকে মুক্তি দিয়ে আলোর পথে আহ্বান জানাতে হবে। তাহলেই কেবল নৈতিকার অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব।

এছাড়া সমাজকল্যাণমূলক কাজের যুব সমাজকে উৎসাহিতকরণ এবং পারিবারিক ভাঙন রোধ করে যুব সমাজকে পরিবর্তন করা সম্ভব।

Bangladesh: A Rising Economy

Bangladesh is going to cross the first phase of development. The second phase of development will be started. The second phase of development will end after implementing the vision 2021 which would transform Bangladesh into a middle income country. 73% of people lived below the poverty line in 1970. But in the recently published report of World Bank, it has been declared that Bangladesh has transformed into lower middle income country from the status of lower income country. According to the “Economic Review 2015” letting 2005-06 as base year, the real per capita GNI (Gross National Income) is $1314 from this statistics, World Bank announces Bangladesh including Tajikistan, Myanmar and Kenya as lower middle income country.

The growth rate of export in the current financial year has been increased rapidly. The destination of 76% of the total exports goes to USA and Europe. As markets of these two destinations are getting hale and hearty, the demand of Bangladeshi products is also soaring up. Besides new destinations of our apparel products are also creating huge possibilities. In this time the value of money is strengthening against dollars as the foreign currency reserve surpassing 25 billion which is also a milestone in the history of Bangladesh.

Now Bangladesh is following the seven fifth year plan which emphasizes on reducing income discrimination and regional disparity. Under this fifth year plan, the General Economic Division (GED) is working to formulate a concept paper which includes electricity, fuel and human development resources These are all factors working hard to achieve the status of middle income country.

To achieve the status of the middle income country, one country needs to allocate a huge amount of budget for the Annual Development Programme (ADP) as plans solely cannot lead the country to attain such status. According to the 'Economic Review 2015' of Bangladesh government in the 45th national budget, the finance ministry allocated 97,000 cores taka for the ADP which is 5.65% of GDP.

To strengthen the development path of a country foreign direct investment is a driving force. FDI accelerates the employment creating huge scopes for unemployed people. It also directs country in a smooth way as there's need a big infrastructural development. To attract FDI, sufficient gas and electricity, water supply is must, the communication system is also crucial. If one country meets these requirements, then foreign investors come to invest in one country. Finally the country turns into a developing country. The amount of FDI is going up.

Only before three decades, Bangladesh's development remained in stagnant. Half of the total people were in great hardship as there was meager employment opportunity. But after 1980s, Bangladeshi economy had been evolving very swiftly on account of apparel sector. About 1 crore people directly works in this sector and most of them are female. These worker's untiring effort to make the country developed cannot be vain.

Translate the following sentences into Bangla:
4.

I prefer reading to writing.

Created: 4 weeks ago | Updated: 4 days ago

I prefer reading to writing.

= আমি লেখার চাইতে পড়তে পছন্দ করি।

Translate the following sentences into Bangla:
5.

Investor should not pay heed to rumor.

Created: 4 weeks ago | Updated: 5 days ago

Investor should not pay heed to rumor.

= বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান দেয়া উচিৎ নয়।

Translate the following sentences into Bangla:
6.

It is now three minutes to four.

Created: 4 weeks ago | Updated: 4 days ago

It is now three minutes to four.

=এখন ৪টা বাজতে তিন মিনিট বাকি ।

Translate the following sentences into Bangla:
7.

Would that I could own a car.

Created: 4 weeks ago | Updated: 1 week ago

Would that I could own a car.

= যদি আমি একটি গাড়ির মালিক হতাম।

Translate the following sentences into Bangla:
8.

One should not speak ill of others in absence.

Created: 4 weeks ago | Updated: 5 days ago

One should not speak ill of others in absence.

= কারো অনুপস্থিতিতে তার সম্পর্কে কটূক্তি করা উচিৎ নয় ৷

Translate the following sentences into Bangla:
9.

Honesty and justice should be the guiding principle of our life.

Created: 4 weeks ago | Updated: 1 week ago

Honesty and justice should be the guiding principle of our life.

= সততা এবং ন্যায়পরায়ণতা আমাদের জীবনের পথ নির্দেশনার মূলনীতি হওয়া উচিৎ।

Translate the following sentences into Bangla:
10.

As you sow so shall you reap.

Created: 4 weeks ago | Updated: 5 days ago

As you sow so shall you reap.

= যেমন কর্ম তেমন ফল ।

Translate the following sentences into Bangla:
11.

He did nothing but sleep.

Created: 4 weeks ago | Updated: 5 days ago

He did nothing but sleep.

= সে কেবল ঘুমিয়েছিল।

Translate the following sentences into Bangla:
12.

I took him to be a man of taste.

Created: 4 weeks ago | Updated: 4 days ago

I took him to be a man of taste.

= আমি তাকে রুচিশীল ভেবেছিলাম ।

Translate the following sentences into Bangla:
13.

I could not help laughing.

Created: 4 weeks ago | Updated: 4 days ago

I could not help laughing.

= আমি না হেসে পারলাম না ৷

শুধু ইংরেজিতে পাশ করেছে = ৮০% - ৭৫% = ৫%

শুধু গণিতে পাশ করেছে = ৮৫% - ৭৫% = ১০%

∴ শুধু এক বা উভয় বিষয়ে মোট পাশ করেছে = ৫% + ১০ % + ৭৫% = ৯০%

অতএব, উভয় বিষয়ে ফেল করেছে = ১০০% - ৯০% = ১০%

এখন, ১০ জন উভয় বিষয়ে ফেল করে মোট পরীক্ষার্থী = ১০০ জনে

∴ ৪০ জন উভয় বিষয়ে ফেল করে মোট পরীক্ষার্থী =  × = ৪০০ জনে

  % ক্ষতিতে বিক্রয়মূল্য হয় =  -  =  টাকা

১০% কমে ক্রয়মূল্য = (১০০ - ১০) = ৯০ টাকা

এবং ২০% লাভে বিক্রয়মূল্য = +  ×  = ১০৮ টাকা

বেশি বিক্রয়মূল্য =  -  টাকা = টাকা

টাকা বেশি বিক্রয়মূল্য হলে ক্রয়মূল্য ১০০ টাকা

৩১ টাকা বেশি বিক্রয়মূল্য হলে ক্রয়মূল্য  ×  ×  = ২০০ টাকা

Created: 4 weeks ago | Updated: 4 days ago

৩০০ টাকার ৪ বছরের সুদ = ( × ) টাকা

বা, ১২০০ টাকার ১ বছরের সুদ

৫০০ টাকার ৫ বছরের সুদ = ( × ) টাকা

বা, ২৫০০ টাকার ১ বছরের সুদ

∴ ১২০০ + ২৫০০ = ৩৭০০ টাকা

৩৭০০ টাকার ১ বছরের সুদ = ২২২ টাকা

∴ ১০০ টাকার ১ বছরের সুদ =  ×  = ৬ টাকা

30 জনে 24 দিনে করে = 1 টি কাজ

∴ 30 জনে 1 দিনে করে = 124 অংশ কাজ

∴ 30 জনে 12 দিনে করে  = 1224 = 12অংশ কাজ

∴ বাকি কাজ থাকে = 1 - 12 = 12অংশ কাজ

এখন, 30 জন লোক 1 টি কাজ করে = 24 দিনে

∴  1 জন লোক 1 টি কাজ করে = 24  ×  30 দিনে

∴ 15 জন লোক 12টি কাজ করে = 24 × 30 × 115 × 2 = 24 দিনে

Created: 4 weeks ago | Updated: 4 days ago

ক, খ ও গ এর মূলধনের অনুপাত = ৩২০ : ৪০০ : ৪৮০ = ৩২ : ৪০ : ৪৮ = ৪ : ৫ : ৬

অনুপাতের যোগফল = ৪ + ৫ + ৬ = ১৫

গ পাবে =      = ১২০ টাকা

ক পাবে =      = ৮০ টাকা

∴ গ অপেক্ষা ক কম পাবে = ১২০ - ৮০ = ৪০ টাকা

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
19.

মূলধন বাজার-Capital Market

Created: 4 weeks ago | Updated: 3 days ago

মূলধন বাজার (Capital Market)
যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নিয়ে কারবার করে তাদের সমষ্টিকে মূলধন বাজার বলে। অর্থাৎ মূলধন বাজার বলতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের বাজারকে বোঝায়। মূলধন বাজারে শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের আদান-প্রদান হয়। মূলধন বাজারে যৌথ মূলধনী কোম্পানি, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেশনসমূহ শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ছেড়ে মূলধন সংগ্রহ করে। যৌথ মূলধন কোম্পানিগুলো মূলধন বাজারে শেয়ার বিক্রি করে তাদের কারবারে মূলধন বা ইকুইটি সংগ্রহ করে। মূলধন বাজারের অধীনে বিভিন্ন স্থানে স্টক এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হয় এবং এ সমস্ত স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বণ্ড ইত্যাদির আদান-প্রদান হয়। বাংলাদেশের বর্তমানে দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে। এদের একটি হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং অপরটি হলো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জঃ পাকিস্তান আমলেই ঢাকায় স্টক এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হয়। ১৯৫৪ সালে ঢাকায় 'পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ এসোসিয়েশন লিমিটেড' নিবন্ধিত হয় এবং পরবর্তীতে এর ‘ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ' নামকরণ করা হয়। ১৯৫৬ সালে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ব্যাংক ও বীমা কোম্পানিসহ দেশের সকল বৃহদায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত হওয়ার ফলে স্বাভাবিক কারণেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশের অর্থনৈতিক দর্শনেরও পরিবর্তন ঘটে ও দেশের শিল্প-বাণিজ্য খাতের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া আরম্ভ হয় এবং ক্রমে তা প্রসারিত হতে থাকে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ১৯৭৬ সালে মাত্র ১৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হয়। 

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
20.

অবমূল্যায়ন-Devaluation

Created: 4 weeks ago | Updated: 3 days ago

অবমূল্যায়ন (Devaluation)

সরকার স্বেচ্ছায় বিদেশী মুদ্রায় দেশীয় মুদ্রার বিনিময় মূল্য কমিয়ে দিলে তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলে। মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হলে স্বর্ণ অথবা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে পূর্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণে দেশীয় মুদ্রা পাওয়া যায় অর্থাৎ মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে দেশীয় মুদ্রার বিনিময় হারের পরিবর্তন ঘটে এবং বিদেশী মুদ্রায় দেশীয় মুদ্রার বিনিময় হার হ্রাস পায় এবং দেশীয় মুদ্রায় বিদেশী মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্বদেশে বিদেশী দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় এবং বিদেশে স্বদেশী দ্রব্যের দাম হ্রাস পায়।

যত কতিপয় উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অবমূল্যায়নের আশ্রয় নেয়া হয় এবং এই উদ্দেশ্যগুলো সাধিত হলেই অবমূল্যায়ন সমর্থন করা যায়। অবমূল্যায়নের উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপঃ


১. যখন কোন দেশ তার আন্তর্জাতিক লেনদেনের উদ্বৃত্তে ক্রমাগত প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হয় তখন তার পক্ষে মুদ্রার অবমূল্যায়ন সমর্থনযোগ্য। আন্তর্জাতিক অর্থ-তহবিলের নিয়ম অনুসারে কোন দেশের আন্তর্জাতিক লেনদেনের উদ্বৃত্তে মৌলিক তাসামাহীনতা দেখা দিলে সে দেশ মুদ্রার অবমূল্যায়ন করতে পারে।

২. অনেক সময় ক্ষণমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মুদ্রামান হ্রাস করা হয়। ১৯৪৯ সালে যখন স্টার্লিং অবমূল্যায়ন করা হয় তখন স্টার্লিং অঞ্চলে রপ্তানি অক্ষুন্ন রাখার জন্য ভারতকে বাধ্য হয়ে তার মুদ্রামান হ্রাস করতে হয়েছিল।

৩. দেশের কর্মহীনতা দূরীকরণের জন্যও অনেক সময় অবমূল্যায়নের আশ্রয় নেয়া হয়। তবে এখানে একটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যদি দেখা যায় যে, স্বপ্নতর নিয়োগের সাহায্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে এবং পূর্ণ নিয়োগ প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থনীতি সম্প্রসারণ করতে গেলে লেনদেনের উদ্বৃত্তে ঘাটতি দেখা দেবে তাহলে পূর্ণ নিয়োগস্তরে লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অবমূল্যায়ন সমর্থনযোগ্য। কিন্তু স্বল্পতর নিয়োগস্তরে লেনদেনের অনুকূল উদ্বৃত্ত থাকলে এবং পূর্ণ নিয়োগস্তরে এই অনুকূল উদ্বৃত্ত বজায় রাখার উদ্দেশ্যে অবমূল্যায়নের সাহায্য নেয়া হলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ এটি প্রতিবেশীকে বঞ্চনার নীতি ছাড়া কিছুই নয়।

৪. অনেক সময় আমদানি-রপ্তানির সরকারি নিয়ন্ত্রণ কিংবা আমদানি শুল্কের সাহায্যে লেনদেনের উদ্বৃত্তে ভারসাম্য বজার রাখা হয়। এই সমস্ত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলে লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতি দেখা দেয়। এমতাবস্থায় রাখা হয়।

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
21.

ই-কমার্স - E-Commerce

Created: 4 weeks ago | Updated: 3 days ago

ই-কমার্স (E-Commerce)
ই-কমার্স মানে ইলেক্ট্রনিক কমার্স। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনা, বেচা বা অন্যান্য সেবা ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়াই ই-কমার্স হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে ইন্টারনেট চালুর পর থেকেই তথ্য প্রযুক্তি তথা যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বর্তমানে মানুষ ঘরে বসেই ব্যবসা পরিচালনা, কেনাকাটা এবং অন্যান্য সেবা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে ই-কমার্সের যে আকার; ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। ই-কমার্সের কল্যাণে এখন আমরা ঘরে বসেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল পরিশোধ, মানি-ট্রান্সফার, ব্যাংক থেকে টাকা তোলা; এককথায় যাবতীয় কর্মকাণ্ড খুব সহজেই করতে পারি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইন এবং ২০১৩ সালে অন্যান্য ব্যাংক অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন দেয়। যার ফলে ই-কমার্সের প্রসার আরও বেড়ে যায়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ই-কমার্সের মাধ্যমে লেনদেন আমাদের দেশের থেকে অনেক বেশি। ই-কমার্সের মাধ্যমে আমরা সময় ও খরচ দুটোই সাশ্রয় করতে পারি।

ই-কমার্সের প্রকারঃ ই-কমার্স বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যথা ব্যবসা বনাম ব্যবসা (B2B), ব্যবসা বনাম ভোক্তা (B2C), ব্যবসা বনাম সরকার (B2G), ভোক্তা বনাম ভোক্তা (C2C), ব্যবসা বনাম চাকরিজীবী (B2E) ইত্যাদি ।

জনপ্রিয় সাইটঃ ই-কমার্সের জনপ্রিয় সাইটগুলোর মধ্যে Bikroy.com, CellBazaar.com, Akhoni.com, Rokomari.com, Clickld.com, BoiMela.com, Ajkerdeal.com, Charkri.com, Priyoshop.com, Sindabad.com, JobsA1.com, Amikinee.com, Bagdoom.com ইত্যাদি।

ই-কমার্সের সুবিধাঃ সুবিধাগুলো হলো- ক) খরচ সাশ্রয় হয় (খ) সময় কম লাগে (গ) লোকবল কম লাগে, এতে পরিবহন ব্যয়ও কমে যায় এবং (ঘ) অভিজ্ঞলোক ই-কমার্সের সাথে জড়িত বলে কাজে-কর্মে গতি আসে ।

ই-কমার্সের অসুবিধাঃ ক) লোকবল বা কর্মী কম লাগে বিধায় বেকারত্ব বাড়ে (খ) অনলাইনে অনেক সময় হ্যাকাররা তথ্য হ্যাক করে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে । (গ) অশিক্ষিত লোক ই-কমার্সের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না ।

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
22.

রাজস্ব নীতি-Fiscal Policy

Created: 4 weeks ago | Updated: 5 days ago

রাজস্ব নীতি (Fiscal Policy)

সরকারি আয়, ব্যয় ও ঋণ সংক্রান্ত নীতিসমূহের একত্র সমাবেশকে রাজস্বনীতি বলে। দেশের অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য রাজস্বনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। সাধারণত নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে রাজস্বনীতি ব্যবহৃত হয়ঃ (১) উৎপাদনের উপাদানসমূহের কাম্য বিলিবণ্টন। (২) আয় ও সম্পদের বণ্টন। (৩) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। সরকারের রাজস্বনীতিকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্থায়িত্বের কাজে ব্যবহার করা যায়। এই উদ্দেশ্য দুটি পরস্পরের পরিপূরক। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা যেমন অপরিহার্য, তেমনি স্থিতিশীল অর্থনীতি ছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতিও সম্ভব নয়।

সরকারের রাজস্বনীতির উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত তা দেশের অর্থনীতির গতি ও প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। তাই সকল দেশের রাজস্বনীতির লক্ষ্য একরূপ নয়। যা হোক, রাজস্বনীতির সাধারণ লক্ষ্যসমূহ নিম্নে বর্ণিত হলঃ

১. দাম ও আয়স্তরের স্থিরতা রক্ষাঃ উৎপাদনকারী ও ভোগকারী উভয়ের স্বার্থেই দামস্তর স্থিতিশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়। সরকার তার রাজস্বনীতির মাধ্যমে দামস্তরের অবাঞ্ছিত উঠানামা রোধ করতে পারে। তদুপরি, অনেক সময় অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে দেশের ভোগ-ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন হয় । সরকার রাজস্বনীতির সাহায্যে ব্যক্তি ও পরিবারের ভোগ-ব্যয় সুনিশ্চিত ও স্থিতিশীল করতে পারে। কোন দ্রব্যের ভোগ কমাতে হলে তার উপর সরকার অধিক হারে কর আরোপ করে। অন্যদিকে, কোন দ্রব্যের ভোগ বাড়াতে হলে সরকার তাকে ভর্তুকি দিতে পারে ।

২. পূর্ণ কর্মংস্থান অর্জনঃ উৎপাদনের উপাদানসমূহের পূর্ণ নিয়োগ লাভ করা সরকারের রাজস্বনীতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। মন্দা দূর করে নিয়োগ বৃদ্ধি করতে হলে সমাজের কার্যকর চাহিদার পরিমাণ বাড়াতে হয়। সরকার তার রাজস্বনীতি পরিবর্তন করে সমাজের কার্যকর চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারে। মন্দার সময় করভার হ্রাস করা হলে মানুষের হাতে ব্যবহারযোগ্য আয় বৃদ্ধি পায়। ফলে তাদের ভোগ-ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এতে সমাজের মোট চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং তখন বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত হয়। এতে কর্মসংস্থানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং সমাজ পূর্ণ নিয়োগস্তরে উপনীত হয় ।

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
23.

মধ্যম আয়ের দেশ- Middle Income Country

Created: 4 weeks ago | Updated: 2 weeks ago

মধ্যম আয়ের দেশ (Middle Income Country)

স্বাধীনতা লাভের ৪৭ বছর পর স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) শ্রেণি থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এলডিসি থেকে উত্তরণ বিষয়ে এক ঘোষণায় বাংলাদেশের এ যোগ্যতা অর্জনের তথ্য প্রকাশিত হয়। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলে একটি দেশকে কয়েকটি সূচকে ভালো করতে হয়। সেগুলো হলোঃ মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকি । বাংলাদেশ এই তিনটিতেই ভালো করায় দেশটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে ।

২০১৮ সালের ১৫ মার্চ প্রকাশিত ওই তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই যোগ্যতা অর্জন করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ হবে বাংলাদেশ। তবে তার জন্য দুই মেয়াদে (২০১৮ এবং ২০২১ সালে) এই অর্জন ধরে রাখতে হবে ।

বাংলাদেশের সঙ্গে লাওস, মিয়ানমারও একই যোগ্যতা অর্জন করেছে। ভুটান, সাওতোমে ও প্রিনসিপে এবং সলোমান দ্বীপপুঞ্জ দ্বিতীয়বারের মতো যোগ্যতা অর্জন করায় তাদের এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) উন্নয়ন নীতিবিষয়ক কমিটি (সিডিপি)।

২০১৮ সালের পর্যালোচনায় এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা হিসেবে মাথাপিছু আয়ের মানদণ্ড ১২৩০ ডলার বা তার বেশি। কিন্তু গত তিন বছরে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১২৭২ ডলার। নিয়ম অনুযায়ী ৩ বছরে পরপর দুইবার এটা অর্জন করলেই চূড়ান্তভাবে একটা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আমাদেরকে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং ২০২১ সালে আবারও তা নিশ্চিত করতে হবে একই সূচকগুলো অর্জনের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ এর আগে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়। মাথাপিছু আয়ের বিবেচনায় এ শ্রেণীকরণ করে বিশ্বব্যাংক। জাতিসংঘ তার সদস্য দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি), উন্নয়নশীল এবং উন্নত এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করে। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সাল থেকে এলডিসিতে ছিলো। জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এই তিনটি সূচকের দুটিতে উত্তীর্ণ হলে কোনো দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।