সাধারণ বীমা কর্পোরেশন || উচ্চমান সহকারী (19-07-2019) || 2019

All

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
1.

মূলধন বাজার-Capital Market

Created: 4 weeks ago | Updated: 9 hours ago

মূলধন বাজার (Capital Market)
যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নিয়ে কারবার করে তাদের সমষ্টিকে মূলধন বাজার বলে। অর্থাৎ মূলধন বাজার বলতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের বাজারকে বোঝায়। মূলধন বাজারে শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের আদান-প্রদান হয়। মূলধন বাজারে যৌথ মূলধনী কোম্পানি, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেশনসমূহ শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ছেড়ে মূলধন সংগ্রহ করে। যৌথ মূলধন কোম্পানিগুলো মূলধন বাজারে শেয়ার বিক্রি করে তাদের কারবারে মূলধন বা ইকুইটি সংগ্রহ করে। মূলধন বাজারের অধীনে বিভিন্ন স্থানে স্টক এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হয় এবং এ সমস্ত স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বণ্ড ইত্যাদির আদান-প্রদান হয়। বাংলাদেশের বর্তমানে দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে। এদের একটি হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং অপরটি হলো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জঃ পাকিস্তান আমলেই ঢাকায় স্টক এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হয়। ১৯৫৪ সালে ঢাকায় 'পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ এসোসিয়েশন লিমিটেড' নিবন্ধিত হয় এবং পরবর্তীতে এর ‘ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ' নামকরণ করা হয়। ১৯৫৬ সালে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ব্যাংক ও বীমা কোম্পানিসহ দেশের সকল বৃহদায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত হওয়ার ফলে স্বাভাবিক কারণেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশের অর্থনৈতিক দর্শনেরও পরিবর্তন ঘটে ও দেশের শিল্প-বাণিজ্য খাতের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া আরম্ভ হয় এবং ক্রমে তা প্রসারিত হতে থাকে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ১৯৭৬ সালে মাত্র ১৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হয়। 

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
2.

অবমূল্যায়ন-Devaluation

Created: 4 weeks ago | Updated: 9 hours ago

অবমূল্যায়ন (Devaluation)

সরকার স্বেচ্ছায় বিদেশী মুদ্রায় দেশীয় মুদ্রার বিনিময় মূল্য কমিয়ে দিলে তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলে। মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হলে স্বর্ণ অথবা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে পূর্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণে দেশীয় মুদ্রা পাওয়া যায় অর্থাৎ মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে দেশীয় মুদ্রার বিনিময় হারের পরিবর্তন ঘটে এবং বিদেশী মুদ্রায় দেশীয় মুদ্রার বিনিময় হার হ্রাস পায় এবং দেশীয় মুদ্রায় বিদেশী মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্বদেশে বিদেশী দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় এবং বিদেশে স্বদেশী দ্রব্যের দাম হ্রাস পায়।

যত কতিপয় উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অবমূল্যায়নের আশ্রয় নেয়া হয় এবং এই উদ্দেশ্যগুলো সাধিত হলেই অবমূল্যায়ন সমর্থন করা যায়। অবমূল্যায়নের উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপঃ


১. যখন কোন দেশ তার আন্তর্জাতিক লেনদেনের উদ্বৃত্তে ক্রমাগত প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হয় তখন তার পক্ষে মুদ্রার অবমূল্যায়ন সমর্থনযোগ্য। আন্তর্জাতিক অর্থ-তহবিলের নিয়ম অনুসারে কোন দেশের আন্তর্জাতিক লেনদেনের উদ্বৃত্তে মৌলিক তাসামাহীনতা দেখা দিলে সে দেশ মুদ্রার অবমূল্যায়ন করতে পারে।

২. অনেক সময় ক্ষণমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মুদ্রামান হ্রাস করা হয়। ১৯৪৯ সালে যখন স্টার্লিং অবমূল্যায়ন করা হয় তখন স্টার্লিং অঞ্চলে রপ্তানি অক্ষুন্ন রাখার জন্য ভারতকে বাধ্য হয়ে তার মুদ্রামান হ্রাস করতে হয়েছিল।

৩. দেশের কর্মহীনতা দূরীকরণের জন্যও অনেক সময় অবমূল্যায়নের আশ্রয় নেয়া হয়। তবে এখানে একটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যদি দেখা যায় যে, স্বপ্নতর নিয়োগের সাহায্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে এবং পূর্ণ নিয়োগ প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থনীতি সম্প্রসারণ করতে গেলে লেনদেনের উদ্বৃত্তে ঘাটতি দেখা দেবে তাহলে পূর্ণ নিয়োগস্তরে লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অবমূল্যায়ন সমর্থনযোগ্য। কিন্তু স্বল্পতর নিয়োগস্তরে লেনদেনের অনুকূল উদ্বৃত্ত থাকলে এবং পূর্ণ নিয়োগস্তরে এই অনুকূল উদ্বৃত্ত বজায় রাখার উদ্দেশ্যে অবমূল্যায়নের সাহায্য নেয়া হলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ এটি প্রতিবেশীকে বঞ্চনার নীতি ছাড়া কিছুই নয়।

৪. অনেক সময় আমদানি-রপ্তানির সরকারি নিয়ন্ত্রণ কিংবা আমদানি শুল্কের সাহায্যে লেনদেনের উদ্বৃত্তে ভারসাম্য বজার রাখা হয়। এই সমস্ত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলে লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতি দেখা দেয়। এমতাবস্থায় রাখা হয়।

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
3.

ই-কমার্স - E-Commerce

Created: 4 weeks ago | Updated: 9 hours ago

ই-কমার্স (E-Commerce)
ই-কমার্স মানে ইলেক্ট্রনিক কমার্স। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনা, বেচা বা অন্যান্য সেবা ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়াই ই-কমার্স হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে ইন্টারনেট চালুর পর থেকেই তথ্য প্রযুক্তি তথা যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বর্তমানে মানুষ ঘরে বসেই ব্যবসা পরিচালনা, কেনাকাটা এবং অন্যান্য সেবা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে ই-কমার্সের যে আকার; ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। ই-কমার্সের কল্যাণে এখন আমরা ঘরে বসেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল পরিশোধ, মানি-ট্রান্সফার, ব্যাংক থেকে টাকা তোলা; এককথায় যাবতীয় কর্মকাণ্ড খুব সহজেই করতে পারি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইন এবং ২০১৩ সালে অন্যান্য ব্যাংক অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন দেয়। যার ফলে ই-কমার্সের প্রসার আরও বেড়ে যায়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ই-কমার্সের মাধ্যমে লেনদেন আমাদের দেশের থেকে অনেক বেশি। ই-কমার্সের মাধ্যমে আমরা সময় ও খরচ দুটোই সাশ্রয় করতে পারি।

ই-কমার্সের প্রকারঃ ই-কমার্স বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যথা ব্যবসা বনাম ব্যবসা (B2B), ব্যবসা বনাম ভোক্তা (B2C), ব্যবসা বনাম সরকার (B2G), ভোক্তা বনাম ভোক্তা (C2C), ব্যবসা বনাম চাকরিজীবী (B2E) ইত্যাদি ।

জনপ্রিয় সাইটঃ ই-কমার্সের জনপ্রিয় সাইটগুলোর মধ্যে Bikroy.com, CellBazaar.com, Akhoni.com, Rokomari.com, Clickld.com, BoiMela.com, Ajkerdeal.com, Charkri.com, Priyoshop.com, Sindabad.com, JobsA1.com, Amikinee.com, Bagdoom.com ইত্যাদি।

ই-কমার্সের সুবিধাঃ সুবিধাগুলো হলো- ক) খরচ সাশ্রয় হয় (খ) সময় কম লাগে (গ) লোকবল কম লাগে, এতে পরিবহন ব্যয়ও কমে যায় এবং (ঘ) অভিজ্ঞলোক ই-কমার্সের সাথে জড়িত বলে কাজে-কর্মে গতি আসে ।

ই-কমার্সের অসুবিধাঃ ক) লোকবল বা কর্মী কম লাগে বিধায় বেকারত্ব বাড়ে (খ) অনলাইনে অনেক সময় হ্যাকাররা তথ্য হ্যাক করে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে । (গ) অশিক্ষিত লোক ই-কমার্সের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না ।

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
4.

রাজস্ব নীতি-Fiscal Policy

Created: 4 weeks ago | Updated: 9 hours ago

রাজস্ব নীতি (Fiscal Policy)

সরকারি আয়, ব্যয় ও ঋণ সংক্রান্ত নীতিসমূহের একত্র সমাবেশকে রাজস্বনীতি বলে। দেশের অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য রাজস্বনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। সাধারণত নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে রাজস্বনীতি ব্যবহৃত হয়ঃ (১) উৎপাদনের উপাদানসমূহের কাম্য বিলিবণ্টন। (২) আয় ও সম্পদের বণ্টন। (৩) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। সরকারের রাজস্বনীতিকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্থায়িত্বের কাজে ব্যবহার করা যায়। এই উদ্দেশ্য দুটি পরস্পরের পরিপূরক। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা যেমন অপরিহার্য, তেমনি স্থিতিশীল অর্থনীতি ছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতিও সম্ভব নয়।

সরকারের রাজস্বনীতির উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত তা দেশের অর্থনীতির গতি ও প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। তাই সকল দেশের রাজস্বনীতির লক্ষ্য একরূপ নয়। যা হোক, রাজস্বনীতির সাধারণ লক্ষ্যসমূহ নিম্নে বর্ণিত হলঃ

১. দাম ও আয়স্তরের স্থিরতা রক্ষাঃ উৎপাদনকারী ও ভোগকারী উভয়ের স্বার্থেই দামস্তর স্থিতিশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়। সরকার তার রাজস্বনীতির মাধ্যমে দামস্তরের অবাঞ্ছিত উঠানামা রোধ করতে পারে। তদুপরি, অনেক সময় অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে দেশের ভোগ-ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন হয় । সরকার রাজস্বনীতির সাহায্যে ব্যক্তি ও পরিবারের ভোগ-ব্যয় সুনিশ্চিত ও স্থিতিশীল করতে পারে। কোন দ্রব্যের ভোগ কমাতে হলে তার উপর সরকার অধিক হারে কর আরোপ করে। অন্যদিকে, কোন দ্রব্যের ভোগ বাড়াতে হলে সরকার তাকে ভর্তুকি দিতে পারে ।

২. পূর্ণ কর্মংস্থান অর্জনঃ উৎপাদনের উপাদানসমূহের পূর্ণ নিয়োগ লাভ করা সরকারের রাজস্বনীতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। মন্দা দূর করে নিয়োগ বৃদ্ধি করতে হলে সমাজের কার্যকর চাহিদার পরিমাণ বাড়াতে হয়। সরকার তার রাজস্বনীতি পরিবর্তন করে সমাজের কার্যকর চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারে। মন্দার সময় করভার হ্রাস করা হলে মানুষের হাতে ব্যবহারযোগ্য আয় বৃদ্ধি পায়। ফলে তাদের ভোগ-ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এতে সমাজের মোট চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং তখন বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত হয়। এতে কর্মসংস্থানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং সমাজ পূর্ণ নিয়োগস্তরে উপনীত হয় ।

নিচের বিষয়াবলীর উপর সংক্ষিপ্ত টিকা লিখুনঃ
5.

মধ্যম আয়ের দেশ- Middle Income Country

Created: 4 weeks ago | Updated: 9 hours ago

মধ্যম আয়ের দেশ (Middle Income Country)

স্বাধীনতা লাভের ৪৭ বছর পর স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) শ্রেণি থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এলডিসি থেকে উত্তরণ বিষয়ে এক ঘোষণায় বাংলাদেশের এ যোগ্যতা অর্জনের তথ্য প্রকাশিত হয়। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলে একটি দেশকে কয়েকটি সূচকে ভালো করতে হয়। সেগুলো হলোঃ মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকি । বাংলাদেশ এই তিনটিতেই ভালো করায় দেশটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে ।

২০১৮ সালের ১৫ মার্চ প্রকাশিত ওই তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই যোগ্যতা অর্জন করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ হবে বাংলাদেশ। তবে তার জন্য দুই মেয়াদে (২০১৮ এবং ২০২১ সালে) এই অর্জন ধরে রাখতে হবে ।

বাংলাদেশের সঙ্গে লাওস, মিয়ানমারও একই যোগ্যতা অর্জন করেছে। ভুটান, সাওতোমে ও প্রিনসিপে এবং সলোমান দ্বীপপুঞ্জ দ্বিতীয়বারের মতো যোগ্যতা অর্জন করায় তাদের এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) উন্নয়ন নীতিবিষয়ক কমিটি (সিডিপি)।

২০১৮ সালের পর্যালোচনায় এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা হিসেবে মাথাপিছু আয়ের মানদণ্ড ১২৩০ ডলার বা তার বেশি। কিন্তু গত তিন বছরে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১২৭২ ডলার। নিয়ম অনুযায়ী ৩ বছরে পরপর দুইবার এটা অর্জন করলেই চূড়ান্তভাবে একটা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আমাদেরকে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং ২০২১ সালে আবারও তা নিশ্চিত করতে হবে একই সূচকগুলো অর্জনের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ এর আগে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়। মাথাপিছু আয়ের বিবেচনায় এ শ্রেণীকরণ করে বিশ্বব্যাংক। জাতিসংঘ তার সদস্য দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি), উন্নয়নশীল এবং উন্নত এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করে। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সাল থেকে এলডিসিতে ছিলো। জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এই তিনটি সূচকের দুটিতে উত্তীর্ণ হলে কোনো দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।