যে আবর্তনে আশ্রয়বাক্যের ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ ভিন্ন বা আলাদা থাকে তাকে কোন আবর্তনে চিহ্নিত করা হয়?
সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন জীব, অতএব সকল বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন জীব হয় মানুষ। উপরিউক্ত দৃষ্টান্তটিতে লক্ষণীয়-
i. আবর্তনীয় এবং আবর্তিত উভয়ই A-যুক্তিবাক্য
ii. উদ্দেশ্য ও বিধেয় একই যুক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করে
iii. উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
সকল ঘোড়া হয় চতুষ্পদ জীব অতএব সকল চতুষ্পদ জীব হয় ঘোড়া। উপরিউক্ত দৃষ্টান্তটি –
i. সরল আবর্তন
ii. উভয় A-যুক্তিবাক্য
iii. অবৈধ সরল আবর্তন
কোন বাক্যকে আবর্তন করা যায় না?
কিছু মানুষ নয় ডাক্তার কিছু ডাক্তার নয় মানুষ উপরিউক্ত দৃষ্টান্তটি –
i. একটি অবৈধ অবর্তন
ii. O-বাক্যের অবৈধ আবর্তনজনিত অনুপত্তি ঘটেছে
iii. আবর্তনের নিয়ম বিরোধী
যে অমাধ্যম অবরোহ অনুমানে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য পদকে অপরিবর্তিত রেখে গুণগত পরিবর্তন করে আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধে পদ যে সিদ্ধান্তের বিধেয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাকে কী বলে?
প্রতিবর্তনের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়-
i. সদর্থক যুক্তিবাক্যের নঞর্থক করা হয়
ii. নঞর্থক যুক্তিবাক্যকে সদর্থক করা হয়
iii. সদর্থক যুক্তিবাক্যের সদর্থকরূপ বহাল রাখা হয়
প্রতিবর্তনের আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তকে বলা হয়-
i. আবর্তনীয়
ii. প্রতিবর্তনীয়
iii. প্রতিবর্তিত
সকল মানুষ হয় মরণশীল, অতএব কোনো মানুষ নয় অমরণশীল উপরিউক্ত দৃষ্টান্তটিকে প্রতিবর্তন বলে। কারণ-
i . এটি একটি অমাধ্যম অনুমান
ii. অনুমানে আশ্রয়বাক্যের গুণ পরিবর্তন করা হয়েছে
iii. অনুমানের অর্থ অপরিবর্তিত রেখে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়েছে
“প্রতিবর্তন হচ্ছে অমাধ্যম অনুমানের একটি প্রক্রিয়া যাতে অনুমিত যুক্তিবাক্যে মূল উদ্দেশ্য ঠিক থাকে এবং বিধেয় হিসেবে মূল যুক্তিবাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদ ব্যবহৃত হয়।"- উক্তিটি কে করেছেন?
উদ্দীপকের উদাহরণটি একটি -
i. অমাধ্যম অনুমান
ii. মাধ্যম অনুমান
iii. প্রতিবর্তন
রবি যখন কোনো বিষয় নিয়ে গবেষণা করে, তখন সে গবেষণার বিষয়ে বিভিন্ন পদের সংজ্ঞায় দুটি বিষয় অবশ্যই একই সাথে উল্লেখ করে। বিষয় দুটি কী?
নিমি কোনো পদের সংজ্ঞায়ের সময় ঐ পদের উপলক্ষণকে উল্লেখ করে। ফলে কোন অনুপপত্তির সৃষ্টি হয়?
শ্রুতি বইতে পড়ে, দুই পা না থাকলে মানুষকে মানুষ বলা যাবে না, এমন নয়। অর্থাৎ পা ছাড়াও মানুষ মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে পারে।- এখানে 'মানুষ' পদের কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?
মানুষের সংজ্ঞায় যদি বলা হয় "মানুষ হয় প্রাণী", অহলে কোন অনুপপত্তি ঘটে
সরদার ফজলুল সাহেব তার যুক্তিবিদ্যা বইয়ে উল্লেখ করেন যে, একটি পদের সংজ্ঞেয় ও সংজ্ঞার্থকে পরস্পর বিনিময়যোগ্য হতে হবে।- ফজলুল সাহেবের সাথে কার মিল রয়েছে?
মানুষের সংজ্ঞার ক্ষেত্রে বলা যায়, "মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী।"- এখানে মানুষের ব্যক্তর্থ ও বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণীর ব্যক্তর্থ কীরূপ?
যুক্তিবিদ জোসেফের মতে, "কোনো পদের সংজ্ঞাদানের ক্ষেত্রে সেই পদের সংজ্ঞেয় ও সংজ্ঞার্থের ব্যব্রুর্থ সমপরিমাণ হবে।"- এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে কয়টি অনুপপত্তি ঘটে?
যুক্তিবিদ রোমেল ও বিশাখা সংজ্ঞেয় ও সংজ্ঞার্থ পদের ব্যক্তর্থ সম্পর্কে ভিন্ন মত দিলেও উভয়ের বক্তব্যের মধ্যে অর্থগত কোনোরূপ পার্থক্য নেই। কাদের সাথে তাদের মিল রয়েছে?
যদি বলা হয়, মানুষ হয় মনুষ্যজাতীয় প্রাণী। এ ক্ষেত্রে কোনটির প্রয়োগ লক্ষ করা যায়?