সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি আরো যে একটি খাতে ঈর্ষান্বিত সাফল্য অর্জন করেছে, সেই খাতটির নাম ক্রীড়াঙ্গন। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ করে ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খ্যাতি ও পরিচিতি বিশ্বময় এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেট পরাশক্তিদের সাথে সিরিজ জয় করে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। পাশাপাশি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল, অনুর্ধ্ব ১৪/১৬ ফুটবল দল, বধির ক্রিকেট দল, স্পেশাল উইনটার অলিম্পিক টিম, মহিলা ও পুরুষ তীরন্দাজ দল, রোলার স্কেটিং দল, মহিলা ও পুরুষ হ্যান্ডবল দল, সাতারু দল, হকি দল, শ্যুটিং দল, ভারোত্তোলক দল, ভলিবল দল ও জুনিয়র মহিলা ব্যাডমিন্টন দলের খেলোয়ারেরা বিরামহীনভাবে দেশ ও জনগণের জন্য সুনাম বয়ে আনছে।
প্রথমে আসা যাক ক্রিকেটের কথায়। বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে যে এখন আর বিশ্বের কোন দলের হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই, গত কয়েক বছরে তারা তা একটু একটু করে বুঝিয়ে দিয়েছে। বাংলদেশ ক্রিকেটের যাত্রাটা ৩০ বছরের। আমাদের স্বাধীনতার চেয়েও অনেক কম বয়সি আমাদের ক্রিকেট। ১৯৮৬ সালের ৩১শে মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০০০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের অভিষেক হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ এবং বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের ম্যাচ গুলোতে বাংলাদেশের ধারাবহিক জয় এই সাফল্যের অংশীদার। ক্রিকেটে বাংলাদেশ আরো উন্নতি করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলতে না পারলেও ঘরোয়া মাঠে ফুটবলে বাংলাদেশ অনেক ভালো করছে। বাংলাদেশের মেয়েরা একের পর এক জয় এনে বাংলাদেশের জন্য সুনাম এনে দিচ্ছে। এএফসি অনুর্ধ্ব-১৫ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বে পাকিস্তানকে ১৪-০ এবং নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কিশোরী ফুটবলাররা। সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দলটি সম্প্রতি হংকংয়ে আমন্ত্রণমূলক হকি কাপেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিনটি আসরে মোট ৯টি ম্যাচ খেলেছিল দলটি। এই ৯টি ম্যাচে তারা প্রতিপক্ষের জালে গোল দিয়েছে ৫৪টি। আর গোল হজম করেছে ২টি।
এভাবে ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিটি অঙ্গনেই বাংলাদেশের পদচারণা সাফল্যমন্ডিত হয়ে উঠছে।
২৮.০৪.২০১৮
বরাবর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
প্রধান শাখা, মতিঝিল কর্পোরেট এলাকা
ঢাকা ।
বিষয়ঃ গ্রাহক অধিকার সংরক্ষণে বাংলা ভাষায় ব্যাংকিং চালুর জন্য আবেদন ।
জনাব,
যাথাবিহতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, স্বনামধন্য রূপালী ব্যাংক বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় মোট ৫৭০টি শাখা নিয়ে খুব দক্ষতার সাথে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। মোট ৫৭০ টি শাখার প্রায় ৮৫% শাখা-ই ঢাকা শহরের বাইরে অবস্থিত। বিপুল পরিমাণ গ্রাহক দৈনিক এই ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে থাকে। এদের অনেকেই ইংরেজিতে লিখতে ও পড়তে পারে না। এর ফলে প্রতিনিয়ত সম্মানিত এই গ্রাহক সকল বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এছাড়া বাংলা ও ইংরেজিতে টাকার সংখ্যা লিখা নিয়ে প্রায়ই আমাদের শাখাসহ অন্যান্য শাখায় বাক বিতণ্ডার সৃষ্টি হয় যা কাম্য নয়। কিন্তু আমাদের সফটওয়ারে বাংলায় লেখা ও পড়ার সুবিধা থাকলে আমাদের ব্যাংকিংয়ে একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হত।
অতএব, জনাবের কাছে আকুল আবেদন এই যে উপরিউক্ত বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমাদের ব্যাংকিং সেবায় গ্রাহকদের অধিকার সংরক্ষণের নিমিত্তে বাংলা ভাষার প্রচলন করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
দিদারুল আলম
সিনিয়র অফিসার
রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
সাভার শাখা।