মোবাইল ব্যাংকিং অত্যন্ত সহজ এবং স্বল্প খরচবাহী ক্যাশ মুদ্রা ট্রান্সফার পদ্ধতি। এর মাধ্যমে একবারে ১০ হাজার টাকা এবং বছরে একক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রেরণ করা যায়। প্রতি হাজার টাকা প্রেরণ করতে ব্যয় হয় মাত্র ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। অন্য কোনো মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো এত সহজে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা প্রেরণ করা যায় না। এটা সহজে পরিচালনাযোগ্য একটি পদ্ধতি। অন্য কোনো পদ্ধতিতে টাকা লেনদেন করার চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা কম ঝুঁকিপূর্ণ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সাহায্যে আর্থিক লেনদেন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনে বিল, ফিস এবং চার্জ প্রদান করা যায়। যেমনঃ টেলিফোন বিল, গ্যাস বিল, বিদ্যু বিল, পানির বিল ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদানের সুযোগ রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টগণ এসব বিল মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সাহায্যে প্রদান করছে। তাই দিন দিন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে সারা দেশের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে।
মোবাইল লেনদেনে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন এর মাধ্যমে প্রেরিত টাকা ভুল নম্বরে গেলে সেই টাকা উদ্ধার করা বেশ কঠিন। এছাড়া সন্ত্রাসীরা তাদের আর্থিক দুর্বৃত্তায়নের কাজে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আশ্রয় নিতে পারে। যে কোনো ধরনের অবৈধ আর্থিক লেনদেন মোবাইল ব্যাংকিং এ সম্পাদিত হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতার অবলম্বন করলে এই ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব। মোবাইল ব্যাংকিংএ ব্যবহৃত পিন নম্বরটি অত্যন্ত গোপনীয়। এটি কাউকে জানানো যাবে না। এছাড়া একজনের মোবাইল নম্বর দিয়ে অন্য জন টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে পিন নম্বরটি জেনে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অন্য জনকে নিজের মোবাইল দিয়ে লেনদেন না করতে দেয়াই উত্তম। সংশ্লিষ্ট মোবাইল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে। যেমনঃ ভুল করে কোনো নম্বরে টাকা গেলে সেখান থেকে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে সেই টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া থাকতে হবে। ভুল বা বন্ধ নম্বরে টাকা যাওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে হবে। হ্যাকাররা যেন কোনভাবেই মোবইল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য চুরি করতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। তাহলেই কেবল মোবাইল লেনদেনে আসবে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা ।