টেকসই উন্নয়ন ও বাংলাদেশের অর্জন
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ
দেশপ্রেম
দেশপ্রেম
নিজ দেশ ও জন্মভূমির প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসাই দেশপ্রেম। স্বদেশের প্রকৃতি ও ধূলিকণা আমাদের নিকট অধি প্রিয় ও পবিত্র। শিশুকাল থেকেই মানুষ দেশের মাটিতে বেড়ে ওঠে। মায়ের বুক যেমন সন্তানের নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত আহয়, স্বদেশের কোলে মানুষ তেমনি নিরাপদ ও নিশ্চিত আশ্রয় লাভ করে। স্বদেশকে ভালোবাসার মাঝেই মানব জীবনের চরম সার্থকতা নিহিত। তাই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন-
"সার্থক জন্ম আমার জন্মেছি এই দেশে।
সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালোবেসে।"
দেশপ্রেম মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ও সহজাত প্রবৃত্তি। মানুষ যে দেশে জন্মগ্রহণ করে সেটিই তার জন্মভূমি। জন্মভূমির প্রতি, মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও গভীর শ্রদ্ধাবোধই দেশপ্রেম। দেশপ্রেমীর নিজ দেশের প্রতি রয়েছে সীমাহীন ভালোবাসা ও আনুগত্য। বিশ্বের উন্নত জাতিগুলো স্বদেশের জন্য আত্মত্যাং করেই উন্নতির স্বর্ণশিখরে আরোহণ করেছে। স্বদেশপ্রেম না থাকলে দেশ ও জাতির উন্নতি আশা করা যায় না। মানুষ সমগ্র বিশ্বের বাসিন্দা হলেও একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে সে বেড়ে উঠে। একটি বিশেষ দেশের অধিবাসী হিসেবে সে পরিচয় লাভ করে। এ দেশই তার জন্মভূমি, তার স্বদেশ। মানুষ স্বদেশে জন্মগ্রহণ করে ও স্বদেশের ভালোবাসায় লালিত-পালিত হয়। নিজেকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সকল উপাদান সে স্বদেশ থেকে পায়। ফলে স্বদেশের প্রতি প্রবল মমত্ববোধ সৃষ্টি হয়। এ জন্য মানুষ স্বদেশের গৌরবে গৌরবান্বিত হয় এবং স্বদেশের অপমানে অপমাণিত হয়। স্বদেশের স্বাধীনতা ও মান-মর্যাদা রক্ষার জন্য নিজের প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকে। কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ভাই লিখেছেন-
"মিহা মনিমুক্তা হেম স্বদেশের প্রিয় প্রেম
তার চেয়ে রত্ন নাই আর।"
স্বদেশপ্রেম মানব হৃদয়ে লালিত হয়। আর স্বদেশপ্রেম প্রকাশ পায় জাতীয় জীবনের দুঃসময়ে মানুষের কর্মের মাধ্যমে। স্বদেশের স্বাধীনতা রক্ষায়, স্বদেশের মানুষের কল্যাণ সাধনে মানুষের মনে স্বদেশপ্রেম জেগে ওঠে। যাঁরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাদের নাম ও কীর্তি চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁদের সে প্রেম ও আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে চিরকাল। স্বদেশের তরে জীবন উৎসর্গকারীরা সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে হয়-
ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা।
তোমাতে বিশ্বময়ীর তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা।
কেবল দেশকে ভালোবাসার মধ্যে দেশপ্রেম সীমাবদ্ধ নয়। দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে নেওয়া যেমন শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজনীতি প্রভৃতির ক্ষেত্রে অবদান রাখাও দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সম্প্রতি ২৬ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাইতে ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন মানুষের একত্রিত হওয়া দেশপ্রেমরই বহিঃপ্রকাশ। দেশের কল্যাণ ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখে বিশ্বসভ্যতায় গৌরব বাড়ানো যায়। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, ড. মুহাম্মদ ইউনুস, সাকিব আল হাসান প্রমুখের গৌরবময় অবদানের জন্য বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। দেশপ্রেমের উজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ আমরা নবী করীম (স.) এর মধ্যে দেখতে পাই, দেশকে ভালোবেসে তিনি বলেছিলেন “হে মাতৃভূমি তোমার লোকেরা যদি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করত তবে আমি কখনই তোমাকে ছেড়ে যেতাম না।"
স্বদেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে বিশ্বকে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। স্বদেশপ্রেম কখনও বিশ্বপ্রেমের বাধা হয় না। দেশপ্রেম যদি বিশ্ববন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ত্বের সহায়ক না হয় তবে তা প্রকৃত দেশপ্রেম হতে পারে না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই দেশপ্রেমের চেতনায় উৎসাহিত হতে হবে। যে নিজের দেশকে ভালোবাসে না সে অন্য দেশ, ভাষা, গোষ্ঠী তথা মানুষকে ভালোবাসতে পারবে না। তাই দেশপ্রেমের মধ্যেই বিশ্বপ্রেমের প্রকাশ ঘটে।
সাহিত্যের আয়নায় দেশপ্রেম। বিভিন্ন কবি সাহিত্যিক তাদের কবিতা, কাব্য, নাটক, গান, উপন্যাস প্রভৃতি লেখনির মাধ্যমে তাদের দেশপ্রেমকে ফুটিয়ে তুলেছেন। আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যে দেশপ্রেমের বিকাশ ঘটে ব্রিটিশ আমল থেকেই। নীলদর্পণ, আনন্দমঠ, মেঘনাদ বধ প্রভৃতি গ্রন্থে দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটেছে।
এছাড়া নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখের সাহিত্যে দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটেছে। ছাত্রজীবনে স্বদেশ প্রেমের শিক্ষা: স্বদেশপ্রেম মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হলেও এ গুণটি তাকে অর্জন করতে হয়। তাই ছাত্রজীবন থেকেই দেশপ্রেমের দীক্ষা গ্রহণ করতে হয়। দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে হবে। ছাত্রজীবনে যে দেশপ্রেম মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় তা মনে আজন্ম লালিত হয়। আজকের ছাত্ররাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যতে দেশের ভালো- মন্দ তাদের উপর অর্পিত হবে। সবার আগে দেশের বিপদে-আপদে ও প্রয়োজনে ছাত্রদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে ছাত্রদেরকে জীবন উৎসর্গ করতে হবে। যেমনটি ছাত্ররা করেছিল ১৯৫২ সালের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অকাতরে প্রাণ উৎসর্গ করে।
দেশেপ্রেমের মহৎ চেতনায় মানব চরিত্রের সৎ গুণাবলি বিকশিত হয়। মানুষের মন থেকে সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতা দূর হয়। স্বদেশপ্রেম মানুষকে উদার ও মহৎ করে, পরার্থে জীবন উৎসর্গ করতে প্রেরণা দেয়। স্বদেশপ্রেমের কারণেই মানুষ আত্মপুৰ ত্যাগ করে দেশ ও জাতির কল্যাণ করে, দেশবাসীকে ভালোবাসে।
যুগে যুগে অসংখ্য মনীষী দেশের কল্যাণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ উপমহাদেশে মহাত্মা গান্ধী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং নাম না জানা লক্ষ লক্ষ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য জীবন দিয়ে অমর হয়েছেন। বিশ্ব আসনে দেশপ্রেমের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত রেখেছেন চীনের মাওসেতুং, রাশিয়ার লেলিন ও স্ট্যালিন, আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন প্রমুখ ব্যক্তি। দেশেপ্রেমের জন্যেই তাদের সকলের নাম বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
জন্মভূমি সকলেরই প্রিয়, তা রক্ষার দায়িত্বও সকলের। তবে মনে রাখতে হবে নিজের দেশকে রক্ষার নামে অপরকে আক্রমণ করা মানবতাবিরোধী। স্বদেশপ্রেমের মতো পবিত্র গুণ আর নেই। তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের উচিত স্বদেশকে ভালোবাসা। প্রকৃত দেশপ্রেমী মানুষ সকলের কাছে পরম পূজনীয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মত্যাগকারী ব্যক্তিই বিশ্ববরেণ্য।
আমার প্রিয় লেখক
মাদকাসক্তির কুফল: প্রতিরোধে করণীয়
মাদকাসক্তির কুফল: প্রতিরোধে করণীয়
বর্তমান বিশ্ব সভ্যতা যে কয়টি মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন তার মধ্যে মাদকাসক্তি অন্যতম। বিশ্ব জুড়ে আজ মাদকাসক্তি একটি জটিল সামাজিক ব্যাধিরূপে বিস্তার লাভ করেছে। আমাদের সমাজে এই দূরারোগ্য ব্যাধির তীব্রতা আরো বেশি প্রবল। এর শিকার হয়ে প্রতিটি দেশের যুব সমাজ তাদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। দিন যত যাচ্ছে এর ভয়াবহতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এখনই উচিত মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে দৃঢ় অঙ্গিকারবদ্ধ হওয়া।
মাদকদ্রব্য হচ্ছে সেসব দ্রব্য বা বস্তু যা গ্রহণের ফলে মানুষের স্বাভাবিক আচরণের পরিবর্তন ঘটে। শুধু তাই নয় এসব দ্রব্যের প্রতি তাদের এক ধরণের নেশার সৃষ্টি হয়। এই সকল মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে নেশা সৃষ্টি করাকে মাদকাসক্তি বলে। মাদকদ্রব্যের এই নেশা সম্পর্কে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন 'নেশা জাতীয় যে কোনো দ্রব্যই মদ, আর যাবতীয় মদই হারাম।' সকল প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্য হারাম হওয়া সত্ত্বেও এসব দ্রব্যসামগ্রীর প্রতি মানুষের আকর্ষণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে 'মাদকাসক্তি হচ্ছে চিকিৎসা গ্রহণযোগ্য নয় এমন দ্রব্য অতিরিক্ত পরিমাণে ক্রমাগত বিক্ষিপ্তভাবে গ্রহণ করা এবং এসব দ্রব্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া।
আধুনিক বিশ্বে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য লক্ষ্য করা যায়। সভ্যতার বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মাদকদ্রব্যেরও যথেষ্ট পরিমাণে উন্নতি হয়েছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে যেসব মাদকদ্রব্যের সেবন সর্বাধিক বেশি সেগুলো হলোঃ গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা, রেকটিফাইড স্পিরিট, মদ, বিয়ার, তাড়ি, পড়ুই, কোকেন, আফিম, মারিজুয়ানা, ভাং, ক্যানাবিস, হাসিস, ঘুমের ওষুধ, প্যাথেড্রিন ইনজেকশন ইত্যাদি।
আধুনিক বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কম-বেশি মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। কোনো দেশে কম আবার কোনো দেশে অনেক বেশি। যেমন, গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল (লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড), গোল্ডেন ক্রিসেন্ট (গানিস্তান, ान ) ওয়েজ-এ তিন স্থানে পপি উৎপাদিত হয়। এই পপি ফুলের নির্যাস থেকে এ সর্বনাশা হেরোইন তৈরি হয়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, জ্যামাইকা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, খানা, ইয়া কেনিয়া, ক্ষ আফ্রিকা ও থাইল্যান্ডসহ ১১টি দেশে মারিজুয়ানা উৎপন্ন হচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকার পেরু, কলা, দেশ কোকেন উৎপাদনে বিখ্যাত। তাছাড়া এশিয়া মহাদেশের প্রায় অনেক দেশেই আফিম, হেরোইন ও হাসিস উৎপন্ন হয়। মাদকাসক্তির বহুবিধ কারণ রয়েছে। আমাদের সমাজে বিভিন্ন কারণে মাদকাসক্তির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এ পর্যন্ত বিজ্ঞানী, গবেষক ও চিকিৎসকরা মাদকাসক্তির অন্তরালে বিভিন্ন কারণের কথা বলেছেন। নিম্নে তা বর্ণনা করা হলো-
মাদকাসক্তির অন্যতম প্রধান একটি কারণ হলো হতাশা। এই হতাশার করণেই ব্যক্তি তার নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। যার ফলে সাময়িকভাবে আত্মমুক্তির জন্য সর্বনাশা মাদকাসক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে।
মাদকাসক্তির জন্য সঙ্গদোষ আরেকটি মারাত্মক কারণ । নেশাগ্রস্থ বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে এটি বিস্তার লাভ করে। কৌতূহল মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ। অনেকেই মাদকাসক্তির ভয়াবহতা জেনেও কৌতূহলবশত মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে। অনেক সময় মানুষ মাদককে আনন্দ লাভের সহজ উপায় হিসাবে মাদকগ্রহণ করে এবং ধীরে ধীরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
তরুণদের মধ্যে মাদক গ্রহণের জন্য এটি অন্যতম কারণ। পরীক্ষায় ফেল, পারিবারিক কলহ, প্রেমে ব্যর্থতা, বেকারত্ব ইত্যাদি কারণে তারা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষকে সচেতন করে তোলে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ধর্মীয় মূল্যবোধের বিচ্যুতি হওয়ার ফলে মাদকাসক্তির বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় পরিবারে পিতা-মাতার নেশার অভ্যাস থাকে। ফলে তাদের সন্তান সহজেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
সুতরাং, সামগ্রিকভাবে হতাশা, আদর্শহীনতা, বিভ্রান্তি, বেকারত্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ অবক্ষয় ইত্যাদি কারণে মাদকাসক্তির সংখ্যা দিন দিন বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদকাসক্তি এক ধরণের মরণ নেশা। মৃত্যুই তার একমাত্র গন্তব্যস্থল। মাদক গ্রহণ ধীরে ধীরে স্নায়ুকে দুর্বল করে তোলে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা আস্তে আস্তে নিঃশেষ করে দেয়। তাছাড়া ক্ষুধা ও যৌন অনুভূতি হ্রাস ঘটায়। মাদক গ্রহণে শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে আসে। হৃদস্পন্দন দ্রুত হয় এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। রাগান্বিতভাব, নিদ্রাহীনতা, উগ্রমেজাজ, ওজন হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ফলে স্বাভাবিক প্রজনন ক্ষমতায় ক্ষতিকর প্রভাবসহ মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করলে এইচআইভি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এক কথায় মাদকাসক্ত মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। সারাবিশ্বে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও চোরাচালানের মাধ্যমে এর ব্যাপক প্রসার ঘটায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি এক মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। মাদকের নিষ্ঠুর ছোবলে অকালে ঝরে পড়ছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ। অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে বহু তরুণের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাদকাসক্তির ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হলো- মাদকদ্রব্যের অবৈধ পাচার আমাদের দেশের যুব সমাজের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করছে। যার ফলে যুব সমাজের বিরাট একটা অংশ অবচেতন ও অকর্মণ্য হয়ে পরছে।
মাদকাসক্তরা মাঝে মাঝে মাদকগ্রহণের জন্য চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ইত্যাদি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে। যার ফলে মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে তারা মারাত্মকভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবার ও সমাজে তারা বিভিন্ন সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।
মাদকদ্রব্য ও মাদকাসক্তির প্রভাবে আমাদের সমাজে পারিবারিক দ্বন্দ্ব-কলহ এবং এ সম্পর্কিত হতাশা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। পরিবারিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নষ্ট হয়। অস্বাভাবিক আচরণ করে।
মাদকদ্রব্য গ্রহণের ফলে ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের বাহ্যিক আচরণ প্রকাশ পায়। যেকোনো ব্যাপারে তখন ব্যক্তির মধ্যে চরম নৈতিক অধপতন লক্ষ্য করা যায়। উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ জীবনকে নষ্ট করছে। তাই দেখা যায় মাদকাসক্তি সমস্যা আমাদের দেশের শিক্ষার ওপর মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করছে।
মাদকদ্রব্যের এই সর্বনাশা ব্যবহার বর্তমান বিশ্বে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অপরিহার হয়ে পড়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা বাঞ্চনীয়-
→ মাদকদ্রব্য উৎপাদন ও আমদানি রোধ করার জন্য প্রতিরোধ কর্মসূচি আরো জোরদার করা।
→ মাদক চোরাচালান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা। সমাজের প্রত্যেক মানুষকেই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করা।
→ বেকারত্ব হ্রাস করা এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা।
→ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ে মাদকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা।
→ আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যকরী ভূমিকা পালন করা।
→ সরকারি উদ্যোগ বন্ধি করা।
→ সভা, সমিতি, সেমিনার ও আলোচনার মাধ্যমে মাদক প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা।
→ মানক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়ন করা।
মাদকাসক্তির প্রতিকার আন্দোলনে বাংলাদেশের ভূমিকা দিন দিন তরান্বিত হচ্ছে। আধুনিক (আমরা ধূমপান নিবারণ করি) সংস্থাটি মাদক নিরাময় আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ইত্যাদি গণমাধ্যমগুলোও সব সময় মাদক নিরাময়ে কাজ করছে। তারা সব সময় মাদকাসক্তির ভয়ানক পরিণাম নিয়ে বিভিন্ন নাটক প্রচার করে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করছে। এছাড়া বাংলাদেশে বর্তমানে Narcotics Control Act ১৯৯০ চালু আছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ ও প্রতিবছর ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের পাচার, অপব্যবহার বিরোধী দিবস পালন করে আসছে।
সভ্যতার এই আধুনিক যুগে মাদকাসক্তি হিংস্র রূপ ধারণ করেছে। এর ছোবলে হারিয়ে যাচ্ছে অজস্র তরুণ-তরুণীর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। এর প্রভাব বাংলাদেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা না করলে মাদকের অতল গর্ভে হারিয়ে যাবে আমাদের দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। তাই মাদক প্রতিরোধের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সামাজিক প্রতিরোধ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা উচিত।
নিজ জন্মের ওপর মানুষের কোনো হাত নেই। সে সমাজের একেবারে নিম্ন স্তরে জনগ্রহণ করতে পারে আবার সমাজের উঁচু স্তরেও জন্ম গ্রহণ করতে পারে। তেমনি ভাঙ্গা প্রাচীরের গায়ে এক অখ্যাত ফুল ফুটেছে যার আকার ছোট, রঙের কোনো বাহার নেই, নেই কোনো গন্ধ, নেই শোভা। তার স্বজাতি ফুলগুলোও তাকে পরিচয় দিতে নারাজ। এমন কি সে ছোট বলে তার কোনো নাম নেই বলে তাকে ধিক্কার জানাতে দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু সেই অবহেলিত ফুলকে সূর্য প্রতিদিন সম্মান জানিয়ে মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছে। আমাদের সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা ধন সম্পদের অঢেল মালিক, তাদেরকে সবাই শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে। অথচ তারাই সমাজের নিরীহ ও গরিবদের মানুষ হিসেবে মনে করে না। তাদেরকে সবসময় এড়িয়ে চলে। এমনকী প্রয়োজনে ঘৃণা করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। সমাজে সাধারণ মানুষের অর্থ, প্রতিপত্তি না থাকায় সমাজ থেকে তারা কখনো সম্মান পায় না। সকলেই তাদের আড় চোখে দেখে, ঘৃণা করে, তিরস্কার করে। কিন্তু তারা ভাবে না যে সমাজের সে স্তর থেকেও যে তারা বড় কিছু হতে পারে। তারপরও সমাজে সব মানুষ সমান নয়। যারা প্রকৃত মহৎ এবং উদার তাদের মন সবসময় সুন্দরের আলোয় আলোকিত। তাদের চোখে সমাজে ছোট বড় বলে কিছুই নেই। সকলকেই তারা সমানভাবে মূল্যায়ন করে। সূর্যের মতোই তাঁরা মহৎ এবং উদার। সূর্য যেমন অখ্যাত ফুলকে সবসময় কুশল জানায় তেমনি। সমাজের মহৎ ব্যক্তিবর্গ নিরীহ ও গরিবদের পাশে থাকে। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে মহৎ ব্যক্তিগণ এগিয়ে আসেন। এই উদারতার আলোকেই তারা সমাজের সবাইকে সমানভাবে মর্যাদা দিয়ে থাকেন।
সমাজে যাঁরা প্রকৃত উদার মনের অধিকারী তারা ধনী-গরিব সবাইকে সমানভাবে মূল্যায়ন করেন। কোনো ব্যক্তি রা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে তারা বিরত থাকে ।
‘ফেসবুক ‘ ব্যবহারের সুফল ও কুফল জানিয়ে আপনার ছোট ভাইকে একটি পত্র লিখুন।
১৫.০২.২০২৩
ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর
স্নেহের শাওন,
আমার সালাম গ্রহণ করো। বাবা-মাকে আমার সালাম জানিও। ফারজানা ও ছোট ভাই রিয়ালের প্রতি রইলো অশেষ স্নেহ। পত্র মারফত জানতে পারলাম সাম্প্রতিক সময়ে তুমি ফেসবুক ব্যবহার করা আরম্ভ করেছো। এজন্য তোমাকে এ বিষয়ে কিছু জানানো প্রয়োজন মনে করছি। বর্তমান সময়ে বিশ্বের তুমুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসবুকের উত্তর হয়েছে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগন ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুক ব্যবহার কারীদের মধ্যে দেশের রাজনীতিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, নাট্যকারসহ বিভিন্ন পেশা ও স্তরের মানুষ রয়েছে। ফেসবুকের বদৌলতে সহজেই বন্ধুত্ব হচ্ছে, প্রেম হচ্ছে এমনকি বিবাহও হচ্ছে। ফেসবুকের কল্যানে আমরা বিভিন্ন রকমের সাহায্য পেতে পারি। বিভিন্ন সময়ে রক্তের অনুসন্ধান, পুলিশি সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আমরা ফেসবুকের সাহায্য পেয়ে থাকি।
ফেসবুক বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বকে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার কারনে এর কতিপয় কুফলও রয়েছে। বর্তমানে ফেসবুক আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করছে। বিভিন্ন রকমের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ জিনিস ফেসবুকের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করছে। অনেকে এর মাধ্যমে মিথ্যা ব্যবসা করে সাধারণ মানুষকে যৌন হয়রানি করছে। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় অবমাননা করও রাষ্ট্রবিরোধী কথাবার্তা প্রচার করা হয়ে থাকে।
ফেসবুক ব্যবহারে তোমাকে অবশ্যই কৌশলী হতে হবে এবং এর কুফল হতে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। আজ আর বিশেষ কিছু লিখবো না। নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিও।
ইতি
সোহাগ
ট্রাফিক আইন মেনে সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ দিয়ে সংবাদ পত্রের প্রকাশের জন্য একটি পত্র লিখুন।
তারিখঃ ১৭.০৮.২০১৮
সম্পাদক
দৈনিক জনকণ্ঠ
৪০, কাওরান বাজার, ঢাকা ১২১৫।
বিষয়ঃ সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত, দৈনিক জনকণ্ঠ' পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে নিম্নলিখিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
মোঃ ফাইদ ইসলাম
জাহাঙ্গীরনগর হাউজিং সোসাইটি, সাভার, ঢাকা।
ট্রাফিক আইন মেনে সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ।
সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের একটি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিদিন খবরের কাগজের পৃষ্ঠা উল্টালেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য গাড়ির চালক, পথচারী এবং গাড়ির মালিকদের পাশাপাশি জনসাধারণ যদি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো মেনে চলে তাহলে এই দুর্ঘটনার হার অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
যদি মালিক হউন
বিনীত
মোঃ ফাইদ ইসলাম
জাহাঙ্গীরনগর হাউজিং সোসাইটি, সাভার, ঢাকা ।
ভালোবাসা সমস্ত গুণাবলির মুকুটস্বরূপ। এটা একজনকে সমস্ত গুণাবলির দ্বারা অলঙ্কৃত করে। ভালোবাসাই আমাদের নম্রতাকে শক্তিশালী করে। স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসাই পরমোৎকর্ষ গুণ ।
গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী?
যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বলে। গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা:
১. সরল বাক্য ২. মিশ্র বা জটিল বাক্য ৩. যৌগিক বাক্য।
১. সরল বাক্য: যে বাক্যে একটি মাত্র কর্তা ও একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া তাকে সরল বাক্য বলে।
২. মিশ্র বা জটিল বাক্য: যে বাক্যে একটি প্রধান বাক্য এবং একাধিক খণ্ড বাক্য বা আশ্রিত বাক্য থাকে তাকে মিশ্র বাক্য। বলে।
৩. যৌগিক বাক্য: পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলে যৌগিক বাক্য গঠিত হয়।
বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানো পাঁচটি নিয়ম লিখুন।
১. তৎসম শব্দে ঋ, ও, ষ এর পরে মূর্ধণ্য-ণ হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, বর্ণ , বর্ণনা, কারণ, ব্যাকরণ, বিকিরণ, মরণ, সমীরণ, ভীষণ, ভাষণ ইত্যাদি।
২. ট-বর্গীয় ট, ঠ, ড, ঢ) ধ্বনির আগে দস্তা-ন ব্যবহৃত হয়ে যুক্ত ব্যঞ্জন গঠিত হলে, সব সময় মূর্ধণ্য হয়। যেমন: লন্ঠন, কান্ড, কণ্টক, দণ্ড ইত্যাদি।
৩. ঋ, র, ষ এর পরে স্বরধ্বনি য য়, ব, হ এবং ক বর্গীয় ও প-বর্গীয় পরর্তী - - কপণ ( কারের পরে প, তার পরে ণ), হরিণ (ও এর পরে ই এবং তার পরে গ) অর্পণ, , প্রণয়ন, রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ ।
৪. অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র এর পরের 'য' প্রত্যয়ের 'স' থাকলে তা 'খ' হয়। যেমন: মুমূর্ষু, ভবিষ্যৎ, চিকীর্ষা, নিষুতি, চক্ষুষ্মান ইত্যাদি।
৫. ই-কারান্ত এ উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে 'য' হয়। যেমন: বিসম > বিষম, সুসমা > সুদমা, অভিসেক > অভিষেক, সুসুপ্ত > সুষুপ্ত, অনুসঙ্গ > অনুষঙ্গ, অনুস্থান > অনুষ্ঠান, প্রতিসেধক > প্রতিষেধক, প্রতিস্থান > প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি ।
নাগরীক
নাগরীক = নাগরিক
উপকারীতা
উপকারীতা = উপকারিতা
পীপিলিকা
পীপিলিকা = পিপীলিকা
মন্ত্রীসভা
মন্ত্রীসভা = মন্ত্রিসভা
গিতাঞ্জলি
গিতাগুলি = গীতাঞ্জলি
অনশন
অনশন = ন অশন = নঞ তৎপুরুষ সমাস
সপ্তর্ষি
সপ্তর্ষি = সপ্ত ঋষির সমাহার = দ্বিগু সমাস
পরানপাখি
পরানপাখি = পরান রূপ পাখি = রূপক কর্মধারয় সমাস
হাটবাজার
হাটবাজার = হাট ও বাজার = দ্বন্দ্ব সমাস
আয়কর
আয়কর = আয়ের উপর কর = মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
বর্তমান
বর্তমান = ভবিষ্যৎ
তন্দ্রা
তন্দ্রা = জাগরণ
বিন্দু
বিন্দু = রাশি
অশনি
অশনি = আশীর্বাদ
হরদম
হরদম = কালে ভাদ্র