বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি?
স্বরধ্বনি হচ্ছে এমন কিছু ধ্বনি অন্য কোনো ধ্বনির সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে। আন্তর্জাতিকভাবে এধরনের বর্ণের মৌলিক সংখ্যা ৭টি - ই, এ, এ্যা, আ, অ, ও ও উ ৷ বাংলা বর্ণমালায় স্বরধ্বনির প্রচলিত সংখ্যা ১১টি ।
'কুমার' শব্দের স্ত্রী লিঙ্গ কি?
'কুমার' শব্দের স্ত্রী লিঙ্গ ‘কুমারনী'।
সমাস নির্ণয় করুনঃ ‘গরুর গাড়ি'।
‘গরুর গাড়ি' = মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস ।
‘Lyric: শব্দের প্রতিশব্দ কি?
‘Lyric: শব্দের প্রতিশব্দ গীতিকবিতা
'সূর্য' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
'সূর্য' শব্দের সমার্থক শব্দ রবি, ভানু, আফতাব, ভাস্কর, আদিত্য, দিবাকর, তপন।
কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করুনঃ ‘চেষ্টায় সব হয়'
‘চেষ্টায় সব হয়' = করণে ৭মী।
‘চকোলেট' শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে কোন ভাষা থেকে?
‘চকোলেট' শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে মেক্সিকান ভাষা থেকে।
বিভক্তিহীন নাম শব্দকে কী বলে?
বিভক্তিহীন নাম শব্দকে প্রাতিপাদিক বলে।
‘উপমহাদেশ’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
‘উপমহাদেশ’ উপন্যাসের রচয়িতা আল মাহমুদ ৷
‘পরশুরাম' ছদ্মনামে লিখতেন কে?
‘পরশুরাম' ছদ্মনামে লিখতেন রাজশেখর বসু।
গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু
জীবন বহমান। নিশ্চলতায় এর সমাপ্তি। জীবনকে স্থির করলেই মৃত্যু ঘটে প্রাণের। শরীরের অবসান না হলেও পার্থিব জীবনে তার বেঁচে থাকার মধ্যে কোনো সার্থকতা পাওয়া যায় না। কাজেই বহমান জীবনের চাঞ্চল্য নিরন্তর।
কর্মে বৈচিত্র থাকলে জীবন হয়ে উঠে মহিমান্বিত্ব। আর এই মহিমান্বিত্ব জীবন কখনো স্থির হয় না। কর্মেই সে প্রেরণা খুঁজে পায় । অপরের উপকারে নিজের জীবনকে সর্বদা নিয়োজিত রাখলে তা কেবল গতিশীলই হবে স্থিরতা তাকে খুঁজে পাবে না। নিশ্চল জীবনে নেই কোন আশা, পরিবর্তন, স্বপ্ন ও সুখ। পরিবর্তনে ও নতুনত্বেই তারুণ্যের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। নিশ্চল জীবন তো মরণের শামিল। জীবনে ভালো কোনো কাজের শেষ নেই, অর্থাৎ কর্মের সমাপ্তি নেই। জীবনকে থামিয়ে। দিলে কর্মেরও সমাপ্তি ঘটে। আর কর্মের সমাপ্তির মাধ্যমেই জীবনাবসান ঘটে। কর্মের সমাপ্তি হলো কিন্তু জীবনাবসান ঘটলে না তাহলে সেই জীবনে স্থিরতা চলে আসে যা মৃত্যুরই নামান্তর । কাজেই নশ্বর এই পৃথিবীতে অবিনশ্বর কিছু করে যেতে হলে অবশ্যই জীবনকে গতিশীল রাখতে হবে, কর্মে থাকতে হবে ক্লান্তিহীন। জীবনকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হলে সবচেয়ে বেশি যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সেটা হলো স্বপ্ন। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের অনুপ্রেরণাই জীবনকে গতিশীল করে তুলবে ।
প্রাণের স্পন্দন প্রাণে না থাকলে জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। তাই এই দুর্বিষহ জীবনকে বয়ে বেড়ানোর কোনোই অর্থ হয় না। বরং জীবনকে অর্থবহ করে স্বপ্ন ও সফলতাকে ছাড়িয়ে যাওয়াই ব্রত হওয়া উচিৎ।