National Bank Ltd Recruitment Test for Probationary Officer Examination Held On : 18.12.2017 || 2017

All

১৯৪৮ সালে তৎকালীন বার্মা স্বাধীন হলেও রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে এ স্বাধীনতা নিয়ে আসে নিদারুণ অভিশাপ, যা এখন গোটা ক্ষমতা দখল করে উন্মুক্ত। এরপর ১৯৮২ সালে সেনা অভ্যূত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জেনালের নে উইন। তখন থেকে শুরু হয় মিয়ানমারে রহিঙ্গা মুসলমানদের বঞ্চনা, লাঞ্ছনা, অত্যাচার ও নির্যাতনের এক নতুন অধ্যায় ১৫ই অক্টোবর ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নাগরিকত্ব আইন প্রকাশ করে। এই আইনে মিয়ানমারে ১৩৫টি গোত্রভুক্ত মানুষই মিয়ানমারের পূর্ণাঙ্গ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয়। রোহিঙ্গদের গোত্র হিসেবে অস্বীকার করে সামরিক সরকার। এরপর বিভিন্ন সময়ে তারের চলাচলের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। ফলে তারা হয়ে যায় নিজভূমে পরবাসী। বিশ্বের জানু নো রাষ্ট্রবিহীন সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী। 

১৯৭০ সালের পর থেকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সনদ বন্ধ করা হয়। ১৯৭৪ সালে কেড়ে নেয়া হয় ভোটাধিকার। আর ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু হয় রোহিঙ্গা নিধন ও বিতাড়ন, যা ধারাবাহিকভাবে বর্তমান পর্যন্ত চলছে। এরপর থেকে সর্বশেষ ঢলের মতো আসা শরণার্থীসহ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর বর্তমানে মোট সংখ্যা ১০ লক্ষাধিক। রোহিঙ্গাদের মূল বাসভূমি রাখাইনের চেয়েও এ সংখ্যা বেশি।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইহার প্রভাব

০১. বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছোট হওয়ার কারণে এই বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে বাংলাদেশ সরকার খুবই অস্বস্তিকর মধ্যে আছে। জিডিপি'র একটি বড় অংশই চলে যাবেরোহিঙ্গাদের আবাসন সংকট নিরসনে। বাইরের দেশেগুলো সাহায্য আসলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। 

০২. প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি ভূমিকা রাখবে। কারণ, উৎপাদন বাড়বে না কিন্তু দ্রব্যর চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এর মূল্য বৃদ্ধি পাবে এভাবে মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি হবে। ফলে আমাদের দেশে গরিব জনগোষ্ঠী এর কুফল ভোগ করবে।

০৩. প্রচুর পরিমাণ পাহাড় কেটে তাদের আবসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই পাহাড়ে বসবাসরত চাকমা, মারমা, গারো ইত্যাদি উপজাতিদের আয়ের উৎস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জুম চাষ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। 

৪. গোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এদেরকে কোনভাবেই উৎপাদন কাজের সাথে জড়ানো সম্ভব নয়। অর্থাৎ একটি বিশাল অনুৎপাদনশীল থেকে যাচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতিতে উৎপাদন কমবে। খাদ্যমূল্য হুরহুর করে বেড়ে যাচ্ছে। ফলে অচিরেই অর্থনীতিতে এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। 

৫. চট্টগ্রাম সহ এর পাশ্ববর্তী জেলা সমূহ রোহিঙ্গাদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় অপরাধ এবং সন্তাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলগুলোতে মাদকদ্রব্য সয়লাব হয়ে যাচ্ছে।