”ডিজিটাল বাংলাদেশ”
রূপকল্প ২০২১ : 'রূপকল্প ২০২১' হচ্ছে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের ও প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার চূড়ান্ত সময়কাল। এগারো বছর মেয়াদি (২০১০-২০২১) একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (Perspective plan) এবং এর ওপর ভিত্তি করে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত এ রূপকল্প অর্জিত হবে।
- রূপকল্পের ডিজিটাল বাংলাদেশ: ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, দুর্নীতি, দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মূখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। একটি উন্নত দেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, একটি ডিজিটাল যুগের প্রতিচ্ছবি। ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে দেশ থেকে দারিদ্র ও বৈষম্য দূর করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অঙ্গীকার।
- ডিজিটাল অগ্রযাত্রার রূপচিত্র:
- মোবাইল মানি অর্ডার: এক ঘণ্টার মধ্যে টাকা পৌঁছানোর এ মোবাইল মানি অর্ডার সার্ভিসটি ৯ মে ২০০৯ ডাক বিভাগ চালু করে।
- অনলাইন টেন্ডার: সরকারি ক্ষেত্রে প্রথম ভূমি প্রশাসনে চালু হয় ৪ অক্টোবর ২০০৯।
- ই-ফাইল বা ডিজিটাল ফাইল: ডিজিটাল প্রশাসনের প্রথম ধাপ হিসেবে ৩ জানুয়ারি ২০১০ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ডিজিটাল নথি নম্বর চালু করে।
- প্রাথমিক পাঠ্যবইয়ের ওয়েব: চালু হয় ৪ জানুয়ারী ২০১০ ।
- ৬৪টি জেলার ওয়েব পোর্টাল: (www.dc (zilla name) gov.bd) চালু হয় ৬ জানুয়ারি ২০১০।
- আইসিটি মোবাইল ল্যাব: প্রথমবারের মতো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে এটি চালু হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট: ১ মে ২০১০ ইস্যু করা হয়।
- অনলাইন জিডি : ঢাকা মেট্রোলিটন পুলিশের থানা গুলোতে ৫ মে ২০১০ এ কার্যক্রম শুরু হয়।
- ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম): ১৭ জুন ২০১০, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সীমিত পরিসরে কার্যকর হয়।
- অন্যান্য কার্যক্রম:
- SMS-এর মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম পর্বের ভর্তি প্রক্রিয়া উদ্বোধন ।
- ১২৮ টি উপজেলায় আইসিটি রিসোর্স সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ ।
- ঢাকার কারওয়ান বাজারে আইসিটি ইনকিউবেটর সেন্টার স্থাপন।
- দ্রুতগতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রদানের জন্য ২ টি WiMAX লাইসেন্স প্রদান
- সারাদেশে এককোটি ল্যান্ডফোন সংযোগ প্রদান ।
- দেশের ৮ হাজার গ্রামীণ ডাকঘরকে পর্যায়ক্রমে কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টারে রূপান্তরের গৃহীত প্রক্রিয়া।
- ২০১১ সালে প্রাথমিক স্তরে ও ২০১৩ সালে মাধ্যমিক স্তরে আইটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
- ২০১২ সালের মধ্যে ই-কমার্সের জন্য ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রবর্তনের নিমিত্তে প্রত্রেয়নকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রকের (Controller of Certifying Authority, CCA) কার্যক্রম শুরু।
- কারা, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সকল দপ্তরে 'ডিজিটাল পদ্ধতির নথি ব্যবস্থাপনা' চালু।
- পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণা পরিচালনার জন্য বঙ্গবন্ধু ফেলোপ পুনঃপ্রবর্তন।
- ই-গভর্ন্যান্সে উত্তরণ।
- ৪ হাজার কম্পিউটার প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী তৈরীর লক্ষ্যে দেশের ১৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সলের আওতা ICT Capacity Development Company নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা (প্রক্রিয়াধীন)
- 'হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা' ও ঢাকার মহাখালীতে 'আইসিটি ভিলেজ' স্থাপনের পদক্ষেপ।
- দেশের ১৩৩টি উপজেলায় 'কমিউনিটি ই-সেন্টার' স্থাপন।
- উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার লক্ষ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে Connectivity প্রতিষ্ঠাকল্পে South Asian Sub-regional Economic Cooperation (SASEC) Information Highway প্রকল্প গ্রহণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে দেশের পার্বত্য জেলাগুলোসহ সকল উপজেলায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসাসহ ইন্টারনেট সুবিধা গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ। দেশব্যাপী ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য প্রতিশ্রুত অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য New Generation Network (NGN) ভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন্স ব্যবস্থা প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০টি উপজেলাকে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় এনে ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণসহ সরকারের নানাবিধ যুগান্তকারী পরিকল্পনা, কর্মসূচি এবং প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ধারায় রূপকল্পের ডিজিটাল বাংলাদশের পথে এগিয়ে চলেছে দেশ ।