সড়ক দুর্ঘটনা ও এর প্রতিকার
সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের একটি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিদিন খবরের কাগজের পৃষ্ঠা উল্টালেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য গাড়ির চালক, পথচারী এবং গাডির মালিকদের পাশাপাশি জনসাধারণ যদি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো মেনে চলে তাহলে এই দুর্ঘটনার হার অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
সড়ক দুর্ঘটনা ও এর প্রতিকার
- ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাবেন না।
- রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস, রোড পার্মিট ও ইন্সুরেন্স সাথে নিয়ে বের হবেন।
- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়ে মাথায় হেলমেট পরিধান করবেন।
- ডানে বামে দিক পরিবর্তনে সংকেত দিবেন।
- যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করবেন না।
- নেশা বা মদ্য পান অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না।
- ধৈর্য্য ও মনোযোগের সাথে গাড়ি চালাবেন।
- হাইড্রোলিক হর্ণ বর্জন করুন। গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইলে কথা বলা হতে বিরত থাকুন।
- অতিরিক্ত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাবেন না। টার্নিং-এ ওভারটেকিং করবেন।
- সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
- চোখে ঘুম নিয়ে অথবা অসুস্থ্য, ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না।
- একটানা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাবেন না ।
সড়ক দুর্ঘটনা ও এর প্রতিকার
- অন্যমনস্ক হয়ে বা মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তায় হাঁটা বা রাস্তা অতিক্রম করবেন না।
- রাস্তা পারাপার কিংবা গাড়িতে উঠা অবস্থায় অথবা নামার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই গাড়িতে কিংবা গাড়ির ছাদে ভ্রমণ করবেন না।
আপনি যদি মালিক হউন
- ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ দিবেন না।
- এক চালক দিয়ে একটানা ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাবেন না।
- যাত্রীবাহী গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখুন।
- রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস, রোড পার্মিট ও ইন্সুরেন্স বিহীন গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না।