Test Mode Reading Mode Right = 0 Wrong = 0

বাংলা সাহিত্য

সৃষ্টিকর্তাকে
মানুষকে
মোল্লা সাহেবকে
মুসাফিরকে
মানুষে মানুষে ধনী গরিব আছে বলে
মানুষে মানুষে পৃথক সত্তা আছে বলে
মানুষে মানুষে সবাই সমান বলে
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একই পথে চলে
প্রতিবাদের
বিচারকের
কল্যাপের
ধ্বংসের
পরিজাননী
সেইদিন এই মাঠ
মানুষ
কপোতাক্ষ নদ
সাত বার
দশ বার
এগারো বার
সতেরো বার
অহংকার
ধর্মীয় ভন্ডামি
ধর্মভীরুতা
ক্ষোভ
মুসাফিরকে ঘৃণা করে বলে
মুসাফির নামাজ পড়ে না বলে
তিনি নিজে ক্ষুধার্ত বলে
তিনি স্বার্থপর বলে
সহসা বন্ধ হলো মন্দির, ভূখারি ফিরিয়া চলে
আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু
ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নমাজ পড়িস বেটা?
ক্ষুধার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হলো
তৃষ্ণায়
রোগে
ভয়ে
ক্ষুধায়
ভুখারি ফিরিয়া চলে
মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে
গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা
সহসা বন্ধ হলো মন্দির
হিংসা
বিদ্বেষ
ঘৃণা
প্রতিবাদ
দুঃখ-কষ্টের চিহ্ন
ছেঁড়া কাপড়
আহাজারির চিহ্ন
আঁচড়ের দাগ
ভিখারি ক্ষুধার্ত বলে
পূজারি মন্দিরের সেবক বলে
ভিখারি কাঙ্ক্ষিত জিনিস পায়নি বলে
পূজারি মন্দিরের দ্বার খোলা রেখেছে বলে
প্রভুর
পূজারির
ভিখারির
সৃষ্টিরূপ মানুষের
ধর্ম পালনের জন্য
নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য
ইমানদারদেরকে সাহায্য করার জন্য
মুসাফির নামাজ পড়ে না বলে
ভূখার
হীরার
ক্ষুধার
মুক্তার