যেকোন দেশের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন একটি সুকঠিন কাজ। এই পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কণ্টকাকীর্ণ। স্বাধীনতা অর্জনকরতে হলে প্রয়োজন হয় রক্তের। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত তা রক্ষায় আরো সতর্ক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হয়। স্বাধীনতা অর্জন করা যেকোন পরাধীন রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত কঠিন কাজ। এটি অর্জন করতে শক্তি সাহস ও সম্মিলিত প্রচেষ্ট এবং বহু মানুষের রক্তদানের প্রয়োজন পড়ে। এর কারণ হলো স্বৈরশাসক ও নিপীড়ক শাসকগোষ্ঠী পদানত জাতিকে কখনই সহজে স্বাধীনতা ও মুক্তি দিতে চায় না। এই স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে হয়। কিন্তু দীর্ঘ সংগ্রামের পর এই অর্জিত স্বাধীনতা সর্বদা চিরস্থায়ী হয় না। এজন্য স্বাধীনতা অর্জনই মূল লক্ষ্য নয়। বরং সতর্ক ও সার্বক্ষণিক পাহাড়ার মাধ্যমে তা রক্ষাই পবিত্র দায়িত্ব। একে সমুন্নত রাখাই মুখ্য উদ্দেশ্য। এজন্য স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বেশি সংগ্রাম ও রক্তের প্রয়োজন হয়। এছাড়া প্রযুক্তি, কৌশল, ঐকা ও ন্যায়বোধ স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে একান্ত প্রয়োজন। সকল দেশের হিংসাত্মক দৃষ্টি থেকে দেশকে হেফাজত রাখা দেশের মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ, যেকোন দেশের ভেতরে ও বাইরে শত্রু থাকবে - এটাই স্বাভাবিক। এই শ্রেণী অদৃশ্যভাবে দেশের ক্ষতিতে ব্যস্ত থাকে। তাই অনেক অপকৌশল ও আক্রমণ হতে দেশের স্বাধীনতার সূর্যকে আগলে রাখতে সম্মিলিত কর্মপ্রেরণা, চিন্তাধারা ও ঐক্যবোধকে কাজে লাগাতে হবে। পরাধীনতার গ্লানি মোচন করতে যেমন অনেক ত্যাগ ও আত্মদানের প্রয়োজন পড়ে তেমনি স্বাধীনতা রক্ষা করতে জ্ঞান, বুদ্ধি, শিক্ষা ও সৎ বিবেচনাকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য যথেষ্ট সচেতন ও সংঘবদ্ধ না হলে এই অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করা যন না। এই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য তাকে মর্যাদা দিতে হবে এবং থাকতে হবে সদা সতর্ক। স্বাধীনতা অর্জন করতে যেমন অস্ত্র হাতে নির্ভীক যোদ্ধা হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়, দীর্ঘ ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্মত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়, তেমনি এই স্বাধীনতা অর্জন হয়ে গেলে তা রক্ষা করতে শিক্ষা, অর্জিত জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং ঐক্য কাজে লাগিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কাজেই স্বাধীনতার মর্ম উপলব্ধি করে একে রক্ষা করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য মনে করা উচিৎ।
নদ্যম্বু
নদ্যম্বু = নদী + অম্বু
কুজ্ঝটিকা
কুজ্ঝটিকা = কুৎ + ঝটিকা
ক্ষুন্নিবৃত্তি
ক্ষুন্নিবৃত্তি = ক্ষুধ + নিবৃত্তি
স্বখাত সলিল
স্বখাত সলিল (স্বীয় কৃতকর্মের ফল) = লোকটি স্বখাত সলিলে ডুবে মরলো ।
কাঠের পুতুল
কাঠের পুতুল (নির্জীব, অসার) = রাজা কাঠের পুতুলের মতো সিংহাসনে বসেছিলেন, মন্ত্রীই দেশ শাসন করতেন।
বর্ণচোরা আম
বর্ণচোরা আম (কপট ব্যক্তি) = লোকটি বর্ণচোরা আম, তার আসল রূপ ধরা যায় না।
খুব ঠকা খেয়েছি।
খুব ঠকা খেয়েছি = কর্মে শূণ্য বিভক্তি।
হৃদয় আমার নাচিরে আজিকে।
হৃদয় আমার নাচিরে আজিকে = অধিকরণে ২য়া বিভক্তি।
রকিব অঙ্কে কাঁচা।
রকিব অঙ্কে কাঁচা = অধিকরণে ৭মী বিভক্তি।
চেষ্টায় সব হয়।
চেষ্টায় সব হয় = করণে সপ্তমী বিভক্তি।