২৪-০৬-২০২২
সম্পাদক
দৈনিক আশার আলো
৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা ১২১৫
বিষয়ঃ সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন আবেদন।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচলিত স্বনামধন্য দৈনিক আশার আলো' পত্রিকায় আমার নিম্নলিখিত জনগুরুত্বপূর্ণ আবেদনটি ছাপালে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
বিনীত
প্রণয় তির্কী,
সিংড়া, নাটোর ।
বরাবর
সচিব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ।
বিষয়ঃ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধের জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ। কিন্তু এই দেশের শতকরা ২০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এখনও দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে। এদের অনেকেই পেশা হিসেবে রিক্সা, গার্মেন্টস কিংবা অন্যান্য উদীয়মান শিল্পকে বেছে নিয়েছে। প্রত্যেক বছর বাজেট ঘোষণার পর সীমিত আয়ের এই মানুষগুলোর উপর যেন মূল্যবৃদ্ধির খড়গ নেমে আসে। কারণ, প্রতি বছর বাজেট ঘোষণার পরপরই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়। ফলে নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলো তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খায়। আপনি জানেন যে, মূল্যস্ফীতি মানুষের উপর এক ধরনের করের মতো। জিনিস পত্রের দাম বাড়লে তা বেশি দামে কিনতে হয়। কিন্তু এই ব্যক্তির আয় না বাড়লে বাড়তি দামে জিনিসপত্র কিনতে তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। যদি ১ বছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ হয়, তাতে ঐ ব্যক্তির আয় না বাড়লেও একই ধরনের পণ্য ও সেবা কিনতে ৫ শতাংশ খরচ বেড়ে যায়। বিবিএস এর হিসেব অনুযায়ী, খাদ্য পণ্য কিনতে এই দেশের মানুষ অর্ধেকের বেশি টাকা খরচ করে। খাদ্য পণ্যের মধ্যে চাল কেনায় বেশি টাকা খরচ করে সীমিত আয়ের গরিব মানুষ। তাই চালের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বাড়ে। বিবিএসের মূল্যস্ফীতির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, গত অর্থ বছরে সবচেয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল মে মাসে, ৫.৬৩ শতাংশ। এর ফলে সীমিত আয়ের গরিব মানুষ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ে। কারণ এর ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাল, ডাল, তেল, লবণ ইত্যাদির দাম বৃদ্ধি পায়।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্টত প্রতীয়মান যে, মূল্যস্ফীতি বাড়লে সীমিত আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই আপনার কাছে বিশেষ আবেদন এই যে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন বাড়িয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য আপনার একান্ত মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
প্রণয় তির্কী
সিংড়া, নাটোর।