Joint Recruitment for 4 Banks || Officer (General) (21-06-2019) || 2019

All

তারিখঃ ২১.০৬.২০১৯
 
বরাবর, 
সচিব 
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় 
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা 

বিষয়ঃ সড়ক দুর্ঘটনার কারণ। 

জনাব, 
বিনীতি নিবেদন এই যে, আমি আপনার আদেশক্রমে ০১/০১/২০১৯ হতে ২১/০৬/২০১১ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে সকাল সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কারণ আপনার জ্ঞাতার্থে উল্লেখ করছি। নিচে পয়েন্ট আকারে সড়ক দুর্গটার কারণগুলো উল্লেখ করা হলো। 

                                                                                                                           সড়ক দুর্ঘটনার কারণ 

সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের একটি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিদিন খবরের কাগজের পৃষ্ঠা উল্টালেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য গাড়ির চালক, পথচারী এবং গাড়ির মালিকদের পাশাপাশি জনসাধারণ যদি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো মেনে চলে তাহলে এই দুর্ঘটনা হার অনেকাংশে কমানো সম্ভব। 

  • অতিরিক্ত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। টার্নিং-এ ওভারটেকিং করা। 
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো। অর্থাৎ লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানো । 
  • রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস, রোড পার্মিট ও ইন্সুরেন্স না থাকা। 
  • মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়ে মাথায় হেলমেট পরিধান না করা। 
  • ডানে বামে দিক পরিবর্তনের সময় সংকেত না দেয়া। 
  • যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করা। 
  • নেশা বা মদ্য পান অবস্থায় গাড়ি চালানো। 
  • গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইলে কথা বলা । 
  • সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রাখা। 
  • চোখে ঘুম নিয়ে অথবা অসুস্থ্য, ক্লান্ত অবপস্থায় গাড়ি চালানো। 
  • একটানা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো। 


নিম্ন বর্ণিত কারণে যাত্রী সাধারণ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেনঃ 

  • অন্যমনস্ক হয়ে বা মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তায় হাঁটা বা রাস্তা অতিক্রম করা। 
  • রাস্তা পারাপার কিংবা গাড়িতে উঠা অবস্থায় অথবা নামাজের সময় সতর্কতা অবলম্বন না করা। 
  • অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই গাড়িতে কিংবা গাড়ির ছাদে ভ্রমণ করা।
প্রতিবেদকের স্বাক্ষর:

প্রতিবেদনের বিষয়: সড়ক দুঘর্টনার কারণ
সময়: সকাল ১১ টা।

তারিখ: ২১-০৬-২০১৯
স্থান: বাংলাদেশ সচিবালয়

প্রতিবেদকের নাম: প্রণয় তির্কী

                                                                                                                  বাংলাদেশের ভূমিকম্পঃ বিপর্যয় ও ব্যবস্থাপনা

ভূ- অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁদে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প (Earthquake) ব বাংলাদেশের ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যে কোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের দুই দিকের গঠনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়েছে। একটা হচ্ছে উত্তরপূর্ব কোণে সিলেট অঞ্চলে ডাইকি ফন্টে, আরেকটা হলে পূর্বে চিটাগাং ত্রিপুরা বেল্টে পাহাড়ি অঞ্চলে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের খুব কাছে ডাউকি ফল্ট এবং ইউরেশি ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলের অবস্থান হওয়ায় এ অঞ্চল ভূমিকম্পের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্পের তীব্রতা বা ক্ষয়ক্ষি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দালানকোঠার নির্মাণ, গঠন, উপাদান, উচ্চতা ইত্যাদির ভূমিকা রয়েছে। অনেক সময় ভূকম্পনের দোলনের ফলে বাড়ি ভেঙ্গে পড়তে পারে। ভূমিকম্পের সাবধানতা অবলম্বনে ভূমিকম্পের আগে, ভূমিকম্পকালে এবং ভূমিকম্পের পর কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় এবং করণীয় পালন করতে হয়। 

১. বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রের ভেতরে ও বাইরে নিরাপদ স্থানগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এবং লক্ষ্য রাখতে হবে আশপাশে কোন ফার্নিচার বা মেশিনপত্র গায়ে পড়ার মত জিনিস না থাকে। 

২. অন্ধকারে দেখার জন্য হাতের কাছে টর্চ রাখতে হবে। গ্যাস ও বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি নিরাপদে রাখতে হবে এবং এগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং গ্যাস সংযোগে কোন প্রকার ত্রুটি না থাকে। 

৪. দেয়ালের ঝুলানো আয়না, ছবি ও সামগ্রি বিছানা থেকে দুরে রাখতে হবে। 

৫. গ্যাস, বিদ্যুৎ যাবতীয় সংযোগ এর চাবি কিভাবে বন্ধ করতে হবে তার প্রশিক্ষণ নিয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

৬. প্রাথমিক চিকিৎসার সামগ্রী হাতের নিকটে প্রস্তুত রাখতে হবে। 

৭. ভূমিকম্প হওয়ার সময় ড্রপ, কাভার ও হোল্ড অন পদ্ধতিতে মেঝেতে বসে পড়তে হবে এবং মজবুত আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিতে হবে এবং হেলমেট পরে বা হাত দিয়ে মাথাকে আঘাত থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করতে হবে। 

৮. বহুতল ভবনের ওপরের দিকে অবস্থান করলে ভূমিকম্পের সময় দৌড়াদৌড়ি না করে ভূমিকম্প থামা পর্যন্ত ঘরের ভেতরে থাকাই ভালো এবং ভূকম্পন থেকে গেলে সিঁড়ি দিয়ে ধিরে নামতে হবে। কোন ভাবেই লিফট ব্যবহার করা যাবে না। 

৯. ভূমিকম্পের সময় বাইরে থাকলে খোলা যায়গায় আশ্রয় নিতে হবে এবং বহুতল ভবন, পাহাড়-পর্বত থেকে দূরে অবস্থান করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে ব্রিজ এবং ফ্লাইওভারে যাতে না থামা হয়। 

১০. ভূমিকম্পের পরে নিজে আহত কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে এবং অপরকে সাহায্য করতে হবে। গ্যাস এর গন্ধ বের হলে চেষ্টা করতে হবে জানালা দিয়ে অথবা সুরক্ষিত পথ দিয়ে তারাতারি বের হয়ে যেতে এবং বিদ্যুৎ স্পর্কিত হলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে। এবং অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেতে হাতমোজা, জুতা, ফুলশার্ট এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদিসহ নামতে হবে যাতে কোন প্রকার আঘাত না লাগে এবং শরীরে যাতে আগুন না লাগে সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

১১. ভূমিকম্পের পরে কোন ভাবেই আগুন জ্বালানো যাবে না। বেশি বিপদে থাকলে বের হতে না পারলে উদ্ধারের অপেক্ষায়। থাকুন এবং বাঁচার আশা ত্যাগ করা যাবে না। 

১২. ভূমিকম্প হলে যাবতীয় করণীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখতে হবে। এবং পর্যাপ্ত উদ্ধারতৎপরতা অব্যাহত রাখার। মনোমানসিকতা থাকতে হবে। 

১৩. ফায়ার সার্ভিসের ফোন নম্বর এবং বিভিন্ন সংগঠনের যাবতীয় যোগাযোগের ব্যবস্থা এবং ফোন নাম্বার রাখতে হবে।