সাধু রীতিঃ ১. বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। ২. এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল। ৩. সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী। ৪. এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে ।
চলিত রীতিঃ ১. চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। একশ বছর আগে যে চলিত রীতি সে যুগের শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথিত ভাষা বা মুখের বুলি হিসেবে প্রচলিত ছিল, কালের প্রবাহে বর্তমানে তা অনেকটা পরিবর্তিত রূপ লাভ করেছে। ২. এ রীতি তদ্ভব শব্দবহুল। ৩. চলিত রীতি ও সহজবোধ্য এবং বক্তৃতা, আলোচনা ও নাট্যসংলাপের জন্য বেশি উপযোগী। ৪. সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। বহু বিশেষ্য ও বিশেষণের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটে ।

পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না

নদী তার জলধারা দিয়ে বৃক্ষলতা ও প্রাণীকুলের জীবনীশক্তি সঞ্চার করে তাদের বাঁচিয়ে রাখে। তরুলতা ছায়া দিয়ে অন্যকে তাপ ও আলো থেকে রক্ষা করে এবং মানুষের রন্ধন কাজে সহযোগিতা করে। পাখি তার গান দিয়ে অপরের মনের অবসাদ দূর করে। গাভী তার নিজ দুগ্ধ দিয়ে পরের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে। প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি একমাত্র অপরের জন্য অবারিত করে রাখে। বৃক্ষ তার ফল কখনো নিজে ভক্ষণ করে না কিংবা গাভী দুগ্ধ নিজে কখনো পান করে না। অপরের মনোতুষ্টিই যেন এদের ব্রত। ঠিক তেমনি পুষ্প তার অপার সৌন্দর্য শুধু মানুষের কাছেই মেলে ধরে। এভাবে বিশ্বজগতে প্রতিটি প্রাণিই যেন তার নিজের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য পৃথিবীতে আসেনি। এ জগতে বহু মহৎ মানুষ আছেন যারা পরের মঙ্গল সাধনের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দেন। মহাপুরুষরা পরহিতব্রতে নিজেদের উৎসর্গ করেন। পরের উপকারে আসাই যেন তাদের জীবনের স্বার্থকতা। প্রকৃতপক্ষে জীবনের অর্থ খুঁজতে গেলেও মানুষের মনে এর উদাহরণটি প্রভাবিত হবে। শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবার জন্য, নিজের দুঃখ, কষ্ট লাঘব করার জন্যই মানবকে এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়নি। বরং অপরের দুঃখ কষ্টে, বিপদে নিজের শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে আসাটাই জীবনের স্বার্থকতা হিসেবে বিবেচিত হয়। স্বার্থপরতা, আমিত্বকে এই জগত কখনো মনে রাখে না। পরহিতব্রতী বা পরোপকারীদেরই পৃথিবী মনে রাখে। পৃথিবীর ইতিহাস অন্তত তাই বলে। পৃথিবীতে যেহেতু কোনোভাবে ৫০-৬০ বছর কিংবা ১০০ বছর বেঁচে যাবার মধ্যে কোনো স্বার্থকতা নেই। তাই নিজের জীবনকে (মহাপুরুষদের মতো করে না হলেও) অপরের জন্য বিলিয়ে দেওয়াই মানবজীবনের সবচেয়ে বিরাট প্রাপ্তি বলে বিবেচিত হবে।

১৪.০৭.২০১৭
সম্পাদক
দৈনিক আশার আলো
-- ৪০ কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫ 

জনাব,
আপনার বহুল প্রচলিত স্বনামধন্য ‘দৈনিক আশার আলো' পত্রিকায় আমার নিম্নলিখিত জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনটি ছাপালে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
বিনীত
মোঃ শফিকুল ইসলাম
শিবালয়, মানিকগঞ্জ

মশার উপদ্রবের প্রতিকার চাই

সম্প্রতি কখনও গরম ও কখনও বৃষ্টির কারণে পরিবেশ এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এরই সাথে যুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি অনুষঙ্গ । মশার উপদ্রব তার মধ্যে একটি। বসত-বাড়ির চারপাশে মশার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নগর ও শহর জীবন হয়ে উঠেছে অসহ্য। দিন ও রাতে মশার কামড়ে শিবালয়বাসী অতিষ্ঠ। বিষয়টি এরকম যেন দিনেও মশারী টানিয়ে থাকতে হচ্ছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ নানবিধ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষজন। জন জীবন হয়ে উঠেছে বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু জ্বর ও চিকুনগুনিয়ায় ভুগে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া এখন প্রায় মহামারী রূপ ধারণ করেছে। অতএব, এটা এখনই বন্ধ করতে না পারলে তা আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে স্থানীয় লোকজন বিশ্বাস করে। এ লক্ষ্যে কতিপয় বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে:
ক. ডোবা-নালা, ঝোঁপ-ঝাড়ে বদ্ধ পানি বের করার ব্যবস্থা নিতে হবে। 
খ. বাড়ির মেঝে পরিস্কার রাখতে হবে ।
গ. বসত বাড়ির আশ পাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।
ঘ. মশারী টানিয়ে ঘুমাতে হবে এবং মশা নিরোধক Chemical ব্যবহার করতে হবে।
ঙ. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
চ. স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে ।
উপরিউক্ত পদক্ষেপ ছাড়াও অন্যান্য সহায়ক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিনীত
মোঃ শফিকুল ইসলাম
শিবালয়, মানিকগঞ্জ ।

Related Sub Categories