জগদ্দল পাথর
জগদ্দল পাথর (গুরুভার): অনেক কুসংস্কার সমাজের বুকে জগদ্দল পাথরের মতে চেপে আছে ।
সাক্ষী গোপাল
সাক্ষী গোপাল (নিষ্ক্রিয় দর্শক): তোমাদের এই পারিবারিক কলহে আমার সাক্ষী গোপাল হওয়া ছাড়া উপায় নেই ।
মণিকাঞ্চন যোগ
মণিকাঞ্চন যোগ (উপযুক্ত মিলন): যেমন পাত্র তেমনি পাত্রী- একেবারে মণিকাঞ্চন যোগ ।
চাঁদের হাট
চাঁদের হাট (ধনেজনে পরিপূর্ণ সংসার): ছেলে-মেয়েরা সবাই প্রতিষ্ঠিত, বিবাহিত-এখন তোমার সংসার তো চাঁদের হাট
সুখের পায়রা
সুখের পায়রা (সুসময়ের বন্ধু): সুদিনে সুখের পায়রার অভাব হয় না কিন্তু দুর্দিনে একজনও মিলে না ।
কোথাও উঁচু কোথাও নীচু
কোথাও উঁচু কোথাও নীচু = বন্ধুর ।
ক্রমাগত দুলছে এমন
ক্রমাগত দুলছে এমন = দোদুল্যমান ।
গোপন করতে ইচ্ছুক
গোপন করতে ইচ্ছুক = জুগুপ্সা ।
মিথ্যা ধারণা
মিথ্যা ধারণা = ভ্রান্তি ।
বক্রভাবে গমন করে যে
বক্রভাবে গমন করে যে = ভুজগ ।
অভিপ্সা
অভিপ্সা = অভি + ঈপ্সা
উপর্যুপুরি
উপর্যুপুরি = উপরি + উপরি ।
প্রত্যুপকার
প্রত্যুপকার = প্রতি + উপকার ।
প্রত্যহ
প্রত্যহ = প্রতি + অহ ।
শ্রবণ
শ্রবণ = শ্রু + অন ।
বর্তমান সরকারের অন্যতম সাফল্য পদ্মা সেতু। এই সেতু নির্মাণ নিয়ে নানা রকম জটিলতা জল্পনা-কল্পনার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকারই আজকের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে নতুন এক মাত্রা যোগ করবে। যা শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরই নয়, সারাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে এরই মধ্যে নানা ধরনের অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ চলছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার (১৭,০০০ বর্গ মাইল) বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯% অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। এই সেতুর মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য সমৃদ্ধ হবে, পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচন হবে এবং উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত হবে। দেশের বৃহত্তম এই সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে রাজধানীসহ অন্যান্য অংশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। দেশের ওই অঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব গড়ে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত কমবে। স্বপ্নের এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলার গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহন করে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে রফতানি ও আমদানি করতে উৎসাহিত হবেন। দেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিমায়িত মৎস্য ও পাটশিল্প যার অধিকাংশ খুলনা থেকে রফতানির মাধ্যমে আয় হয়ে থাকে। পদ্মা সেতু হলে এই আয় আরও বাড়বে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, বেনাপোল, দর্শনা ও ভোমরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের ব্যবসা-বাণিজ্যে অর্থনীতির গতি সৃষ্টি হয়েছে। নদীপথে দেশি ও বিদেশি পণ্যের অভ্যন্তরীণ রফতানিতে যশোরের শিল্পশহর নওয়াপাড়ায় অন্যতম বৃহত্তম নদীবন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি খনন ও সংস্কার চলছে। পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পের কাজ চলছে জোরেশোরে। যশোরে দুটি ইপিজেড স্থাপনের তোড়জোড় চলছে। এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, এটি দেশের আঞ্চলিক ও জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে লক্ষণীয় অগ্রগতি সাধন করবে। এই সেতু চালু হলে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে, যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানী ও আমদানি ব্যয় হ্রাস পাবে। এই সেতুর মাধ্যমে শিল্পায়ন ও বাণিজ্যিক কর্মকান্ড প্রসারের লক্ষ্যে পুঁজির প্রবাহ বাড়বে, পাশাপাশি স্থানীয় জনগনের জন্য অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়াও স্থানীয় জনগণ উন্নততর স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের জন্য খুব সহজেই রাজধানী ঢাকা যেতে পারবেন। দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি উপকূলীয় জেলার সাথে রাজধানী ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ শক্তিশালী হবে বা অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে। ফলে ঐ অঞ্চলের কৃষি, যোগাযোগ, শিল্পায়ন, নগরায়ন, জীবনমান বৃদ্ধি পাবে যা দেশের সার্বিক উন্নয়ন ঘটাবে। পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে গড়ে উঠবে বিশ্বমানের শহর। কলকারখানায় ভরে উঠবে এ এলাকা । শ্রমজীবী মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে ।