স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় || ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (23-06-2022) || 2022

All

                                                                                                                        উন্নত দেশের জন্য চাই সোনার মানুষ

আমরা অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা উন্নত হয়েছি। কিন্তু আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ, দেশ ও মানুষের সহমর্মিতা, সমবণ্টন এ পর্যায়ে এখনও আসেনি। জনগণের সমান অধিকার, সকল সুযোগ-সুবিধা, ন্যায্য বিচার আমরা এখনও দিতে পারিনি। এ জন্য আরও সোনার মানুষ দরকার। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সোনার দেশ গড়তে হলে সোনার মানুষ দরকার, আমরা সেই সোনার মানুষ চাই।' আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। বিশ্বে আমাদের পরিচিতি বেড়েছে, আমরা অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা উন্নতও হয়েছি। কিন্তু আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ, দেশ ও মানুষের সহমর্মিতা, সমবণ্টন এ পর্যায়ে এখনও আসেনি। এ জন্য আরও সোনার মানুষ প্রয়োজন। আর সেই সোনার মানুষের বা সুনাগরিকের কিছু কতব্য হলোঃ নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করা। অর্থাৎ রাষ্ট্রের নির্দেশ মেনে চলা। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার জন্য প্রত্যেক নাগরিককে সর্বদা সজাগ এবং চরম ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। 

রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন এবং সংবিধান মেনে চলা এবং আইনের প্রতি সম্মান দেখানো নাগরিকদের অন্যতম দায়িত্ব। কেউ আইন অমান্য করলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। স্বাভাবিক জীবনের ব্যাঘাত ঘটে। তাই সুষ্ঠু জীবনযাপন, শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিককে আইন মেনে চলতে হবে। সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর ফলে যোগ্য ও উপযুক্ত প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবে। অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে ভোটদানে বিরত থাকা উচিত। রাষ্ট্রীয় আয়ের প্রধান উৎস নাগরিকদের প্রদেয় কর ও খাজনা, রাষ্ট্রের প্রশাসনিক, প্রতিরক্ষা এবং উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। নাগরিকদের যথাসময়ে কর প্রদান করে রাষ্ট্রীয় কাজে সহযোগিতা করতে হবে। রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা নাগরিকের কর্তব্য। সরকারের গৃহীত কোনো কাজ মানে হলো জনগণের কাজ। সরকারি কর্মকর্তা তদুপরি নাগরিকদের সততা ও কাজে একাগ্রতা ও নিষ্ঠার উপর সরকারের সফলতা, উন্নতি ও অগ্রগতি নির্ভর করে। 

প্রতিটি শিশুই রাষ্ট্রের নাগরিক। পিতামাতা তার অভিভাবক হিসেবে কাজ করেন। তাই সন্তানদের জীবনরক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রতিষেধক টীকাদান, সুস্থসবল রাখা এবং নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে পাঠানো পিতামাতার দায়িত্ব। এতে করে সন্তান সুশিক্ষিত হয়ে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে এবং পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অবদান রাখবে। 

প্রত্যেক নাগরিককেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকতে হবে। নিজস্ব সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় অর্জন ও সফলতা এবং সবসময় দেশের মঙ্গল কামনা করা নাগরিকদের কর্তব্য। জাতীয় সংগীত, জাতীয় ইতিহাস, জাতীয় বীর ও মনীষীদের অবদানকে স্মরণ করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিককে একে অপরকে সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ভিন্নমতকে মূল্যায়ন করা এবং সম্মান করার মধ্য দিয়ে জাতীয় সংহতি অর্জন করা সম্ভব। এটা প্রত্যেককেই বিশ্বাস করতে হবে যে বৈচিত্র্যের মধ্যেই সৌন্দর্য নিহিত। প্রত্যেক নাগরিককেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এমনকি রাষ্ট্রের বেআইনী কোন কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে কোনক্রমেই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। তাহলেই সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে। আর এভাবেই সোনার মানুষের মাধ্যমে দেশ উন্নত দেশের কাতারে প্রতিষ্ঠিত হবে।

কোনো সভ্য জাতিকে অসভ্য করার ইচ্ছে যদি তোমার থাকে, তাহলে তাদের সব বই ধ্বংস কর 
এবং সে দেশের সব পণ্ডিতকে হত্যা কর। তোমার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে। পণ্ডিতরাই জাতির আত্মা। 
এই আত্মাকে যারা অবহেলা করে, তারা বাঁচে না। দেশ ও জাতিকে উন্নত করতে ইচ্ছে করলে 
জ্ঞানের সাহায্যেই তা করতে হবে। মানব মঙ্গলের জন্য যত অনুষ্ঠান আছে, তার মধ্যে এটাই প্রধান ও সম্পূর্ণ। 
জাতির ভেতর সাহিত্যের ধারা সৃষ্টি করে, জ্ঞানের ধারার প্রবাহ বাড়াও- আর কিছুর আবশ্যকতা নেই। 

= কোনো সভ্য জাতির উন্নয়নের প্রধান মাপকাঠি হলো, তাদের সাহিত্য অনুশীলন ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। কারণ, বুদ্ধিজীবীগণই জাতির প্রাণ। তাই জাতির কল্যাণের জন্য উন্নত সাহিত্যের ধারা সৃষ্টি করতে হবে।

সিংড়া, নাটোর
২৩-০৬-২০২২

প্রিয় বন্ধু প্রণতী
আমার শুভেচ্ছা নিও। তুমি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নারীর অবদান সম্পর্কে জানতে চেয়েছো। তাই আজ আমি সেই বিষয়ে তোমাকে লিখবো। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধেও তেমনি নারীর রয়েছে বীরত্বপূর্ণ অবদান। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরুষদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও নারীদের ভূমিকা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকাও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। নারী তার সব সামর্থ্য প্রয়োগ করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরিতে। তারা মুক্তিযুদ্ধে অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলাযুদ্ধ থেকে শুরু করে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। নারীরা কখনো সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নিয়েছেন আবার কখনো যুদ্ধক্ষেত্রের আড়ালে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা। করেছেন। দুঃসাহসী নারীরা যে যেভাবে পেরেছেন সেভাবে কাজ করেছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য। বহু নারী আছেন যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছেন, প্রেরণা জুগিয়েছেন, সেবা করেছেন, অনাহারী-অর্ধাহারী ক্ষুধার্ত মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কখনও মমতাময়ী মায়ের মতো, কখনও বোনের মতো। 

নিজে না খেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটিতে খাবার রান্না করে পাঠিয়েছেন, যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারের হাত থেকে রক্ষা করতে নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। তারা ক্যাম্পে ক্যাম্পে কাজ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ক্যাম্পে রান্নার কাজ করেছেন যারা, তারা অস্ত্রশিক্ষা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রহরী হিসেবেও কাজ করেছেন। আবার শত্রুদের বিষয়ে, জানসেনা ও রাজাকারদের অবস্থান সম্পর্কে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে খবরও দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময়। বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখা, অস্ত্র এগিয়ে দেয়া অথবা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা ও চিকিৎসা করা, তাদের জন্য ওষুধ, খাবার ও কাপড় সংগ্রহ করা রক্ত ঝরা একাত্তরে নারীদের এই সক্রিয় কর্মকাণ্ডই ছিল তাদের মুক্তিযুদ্ধ। 

আজ এই পর্যন্তই, ভালো থেকো। মা-বাবাকে সালাম দিও। 

নিঝুম
ধানমন্ডি, ঢাকা

Bees are an example of industry. They are even more industrious than the ants: They work from morning till evening. They gather honey from flowers to flowers. Their living is very surprising. Their sense of discipline is very firm. 

= মৌমাছিরা পরিশ্রমী প্রাণিদের উদাহরণ। এমনকি তারা পিঁপড়াদের চেয়েও পরিশ্রমী। তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে। এক ফুল থেকে আরেক ফুলে তারা মধু সংগ্রহ করে বেড়ায়। তাদের বসবাস আরো আশ্চর্যজনক। তাদের শৃঙ্খলা জ্ঞান খুবই দৃঢ়।

বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের ৫টি নিয়ম ( তৎসম শব্দের)ঃ ক. যেসব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ উ উভয় শুদ্ধ কেবল সেসব শব্দে ই বা উ এবং তার ই-কার বা উ-কার চিহ্ন হবে। যেমনঃ কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিৎকার ইত্যাদি। খ. রেফের পরে ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমনঃ অর্জন, পর্বত, কর্ম, কার্য ইত্যাদি। গ. সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পূর্ব পদের অন্তস্থিত ম্ স্থলে অনুস্বার (ঃ) হবে। যেমনঃ অহম্ + কার = অহংকার এভাবে- ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর। সন্ধিবদ্ধ না হলে ও স্থলে ং হবে না। যেমনঃ অঙ্ক, অঙ্গ, আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি। ঘ. সংস্কৃত ইন্‌-প্রত্যায়ন্ত শব্দের দীর্ঘ ঈ-কারান্ত রূপ সমাসবদ্ধ হলে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী সেগুলিতে হ্রস্ব-ই কার হয়। যেমনঃ গুণী > গুণিজন, প্রাণী > প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রী > মন্ত্রিপরিষদ। তবে এগুলোর সমাসবদ্ধরূপে ঈ-কারের ব্যবহারও চলতে পারে। যেমনঃ গুণী > গুণীজন, প্রাণী > প্রাণীবিদ্যা। ইন্- প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে - ত্ব ও -তা প্রত্যয় যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন: কৃতী > কৃতিত্ব, দায়ী > দায়িত্ব। ঙ. বিসর্গ (ঃ) শব্দের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকবে না। যেমন: ইতস্তত, কার্যত, প্রথমত, প্রায়শ।

'কি' পদটি একটি অব্যয় পদ। এটি একটি প্রশ্নবাচক অব্যয়। এটি অনেক সময় সংশয়সূচক অব্যয় হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। 'কি' এর ব্যবহার প্রশ্নসূচক অব্যয় হিসেবেঃ তুমি কি যাবে? সে কি আজ আসবে? তোমরা কি এখন পড়াশোনা করবে। না? সংশয়-সূচক অবায় হিসেবেঃ সে কি আর কখনও ফিরবে! ওইটুকু ছেলে কি একা একা এতটা পথ যেতে পারবে অবজ্ঞার ভাব বোঝাতে অব্যয় হিসেবেঃ সাধে কি তোকে গাধা বলি! জানলে কি আর বলতাম না।

'কী' পদটি একটি সর্বনাম পদ । এটি একটি প্রশ্নসূচক সর্বনাম। তবে বিস্ময়বোধক অনায় হিসেবেও এর ব্যবহার আছে। প্রশ্নবোধক সর্বনাম হিসেবে: তুমি কী খেয়েছো? (উঃ- ভাত বা অন্য কিছু) আমার জন্য কী এনেছো? বিস্ময়সূচক অব্যয় হিসেবে: কী ভয়ানক দৃশ্য! কী! তুমি এই কাজ করতে পারলে?

প্রদত্ত বানানগুলো ভুল থাকলে শুদ্ধ করুন; শুদ্ধ থাকলে উল্লেখ করুন:
7.

বুদ্ধিজীবী

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

বুদ্ধিজীবী = বুদ্ধিজীবী

প্রদত্ত বানানগুলো ভুল থাকলে শুদ্ধ করুন; শুদ্ধ থাকলে উল্লেখ করুন:
8.

প্রশিকখন

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

প্রশিকখন = প্রশিক্ষণ

প্রদত্ত বানানগুলো ভুল থাকলে শুদ্ধ করুন; শুদ্ধ থাকলে উল্লেখ করুন:
9.

দীগন্ত

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

দীগন্ত = দিগন্ত

প্রদত্ত বানানগুলো ভুল থাকলে শুদ্ধ করুন; শুদ্ধ থাকলে উল্লেখ করুন:
10.

সত্ত্বাধিকারী

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

সত্ত্বাধিকারী = স্বত্ত্বাধিকারী

প্রদত্ত বানানগুলো ভুল থাকলে শুদ্ধ করুন; শুদ্ধ থাকলে উল্লেখ করুন:
11.

স্বায়ত্তশাসন

Created: 3 months ago | Updated: 18 hours ago

স্বায়ত্তশাসন = স্বায়ত্তশাসন

Related Sub Categories