যে কোনো ১টি বিষয়ে প্রবন্ধ লিখুনঃ
1.

একুশের চেতনা ও শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা

Created: 3 months ago | Updated: 4 days ago

একুশের চেতনা ও শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা

অমর একুশ বাঙালির ইতিহাসে শুধু একটি তারিখ নয়; একুশ হলো একটি চেতনার বীজমন্ত্র । একুশকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত সংগ্রামের ভেতর দিয়ে বাঙালির জাতিসত্তায় যে চেতনার জন্ম হয়েছিল, তা ছিল এক অবিনাশী চেতনা। এই চেতনার পথ ধরে ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও সত্তরের নির্বাচন এবং ১৯৭১-এ আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই গর্বের একুশ হয়েছে আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার স্মৃতি চিহ্নিত এই দিনটি সংগ্রামের জ্বলন্ত অগ্নিশিখায় উজ্জ্বল এবং রক্তাক্ত আত্মত্যাগের মহিমার ভাস্বর। জাতিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার জনগণের অস্তিত্ব ও ভাগ্যকে জুড়ে দেয়া হয়েছিল কৃত্রিম ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে। সে সময় পাকিস্তানে শতকরা ৫৬ জনের মুখের ভাষা বাংলা হলেও সংখ্যালঘিষ্ঠদের মুখের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। ১৯৪৮ সালে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়া হয়। ঠিক তখন বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পূর্ব বাংলার দামাল ছেলেরা। ভাষার প্রতি বাঙালির চিরঞ্জীব ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে ক্রমান্বয়ে জোরালো হয়ে ওঠে বাংলা ভাষার মর্যাদা আদায়ের দাবি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির এই বৈষম্য আর অপমানের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম সরব জবাব ।

একুশ কেবল বাংলা ভাষার লড়াই ছিল না। একুশ ছিল বাংলাদেশীদের সার্বিক মুক্তির সংগ্রাম। বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির অস্তিত্ব রক্ষার সেই লড়াইয়ের সাথে ওতপ্রোথভাবে জড়িয়ে ছিল শিক্ষা, সমাজ ও অর্থনীতির লড়াইও। একুশ ছিল বাংলার মানুষের এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম। আজ পৃথিবীব্যাপী এ দিনটি পালিত হচ্ছে মাতৃভাষার চর্চা ও মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার চেতনায়। একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে আমরা এক অকৃত্রিম আবেগের সৌধ নির্মাণ করেছি। যার সাথে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও জাতিচেতনামূলক আন্দোলনের চালিকাকেন্দ্র হয়ে আছে সর্বত্র। প্রতিটি গণ- আন্দোলনের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে ভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেদিন পূর্ব বাংলার অধিকারবঞ্চিত মানুষের প্রথম সংগঠিত সংগ্রামের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। জাতিগত শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে একুশ আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। পরে প্রতিটি গণ-আন্দোলনের প্রেরণাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে ওই আন্দোলন। একুশের পথ ধরেই আমরা বারবার পেরিয়ে এসেছি সঙ্কটের নানা আবর্ত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীজমন্ত্র পেয়েছি মহান ভাষা আন্দোলন থেকে । আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এবং শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চেতনার বিকাশে একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতিসত্তার স্বরূপ আবিষ্কার করে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় একুশের চেতনা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। ইতিহাসে দেখা যায়, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা স্বীকৃতি পেলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তারা বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটানোর নানা অপপ্রয়াসে লিপ্ত থাকে । বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে একটা নতুন ভাষা তৈরি করা, বাংলা বর্ণমালা তুলে রোমান হরফে বাংলা প্রবর্তন করা ইত্যাদি । তাদের হীন পদক্ষেপ ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা। বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য ও বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা, গবেষণা ও বিকাশে এ প্রতিষ্ঠানের অবদান অসামান্য। বাঙালির একুশের চেতনার বিশেষ দিক ছিল জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসার। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষ বাংলা ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করবে; প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় বাংলা ব্যবহৃত হবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও বাংলা ভাষার প্রচলন হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা 'বাংলা'। কিন্তু সর্বস্তরে বাংলা প্রচলন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে বাঙালির হাতেই বাংলা ভাষা উপেক্ষার শিকার। শিক্ষাঙ্গনে ও অফিস-আদালতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, গণমাধ্যম ও বিজ্ঞাপনে ইংরেজি ভাষার দখলদারি ব্যাপক হারে আজ পরিলক্ষিত। আজ আমাদের দেশে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বাংলার গুরুত্ব ক্রমেই কমছে। অন্য দিকে, বিশ্বায়নের প্রভাবে আমাদের মানসিকতায় বিদেশীয়ানার প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরণে বিদেশী ভাষার আশ্রয় নেয়ার, বিয়ে বা জন্মদিনের আমন্ত্রণপত্রে বিদেশী ভাষার ব্যবহার, দৈনন্দিন কাজকর্মে, কথাবার্তায় বিদেশী ভাষা ব্যবহার, বিজ্ঞাপন ও বিজ্ঞপ্তিফলকে বিদেশী ভাষাকে অনেক গুরুত্ব দেয়া। অনেকেই আমরা ভুলে গেছি যে, সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে মাতৃভাষার উন্নতির রয়েছে অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র। সম্ভবত সে কারণেই এ জায়গাটিতে আমাদের পিছুটান ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। অনেকেই আমরা ভুলতে বসেছি, বাঙালির পরিচয়ের মূলভিত্তি তার ভাষা । অথচ বাংলা ভাষা যথাযথ গুরুত্ব না পেলে তার শক্তি একদিন ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাবে। একুশের চেতনাই আমাদের সব যড়যন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমের প্রেরণা। আমাদের অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র ২৫ কোটি মানুষের মুখের ভাষার ওপর আস্থা স্থাপন করেই বলিঃ ভাষা আন্দোলনের অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর আমাদের ইতিহাসের একটি রক্ত-রঙিন দিন নয়, এদিন এখন পেয়েছে বিশ্বস্বীকৃতি। একুশ আমাদের জন্য গৌরব ও প্রেরণার। একুশের তাৎপর্যকে ধারণ করতে হলে ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা আধিপত্যবাদবিরোধী চেতনা ও শক্তির দিকে আমাদের ফিরে তাকাতেই হবে। সেখানেই আমাদের মুক্তি নিহিত। যা এ অর্জন বাংলাদেশের মানচিত্রকে উজ্জ্বল করেছে বিশ্ব মানচিত্রে।

যে কোনো ১টি বিষয়ে প্রবন্ধ লিখুনঃ
2.

পদ্মা সেতু

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর সকল বড়ো বড়ো কাজের মূলে রয়েছে নারী ও পুরুষের যৌথ ভূমিকা ও অবদান । পুরুষের পাশে থেকে সব সময় নারী তাদের কাজে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। তবু নারীর ভূমিকার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি; ইতিহাসের পাতায় তাদের ভূমিকা যথাযথ লিপিবদ্ধ হয়নি।

26.06.2022 
সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম

প্রিয় হাসান
আশা করি ভালো আছো, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি ভালো আছি। গত সপ্তাহে আমি তোমার পত্রটি হাতে পেয়েছি। সেখানে তুমি আমার এলাকায় বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন সম্পর্কে জানতে চেয়েছো। তাই আমি আমার এলাকায় পালতি বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ সম্পর্কে তোমাকে লিখবো ।

বিগত বছরগুলোর মতো এ বছর সীতাকুন্ড রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সবুজ বাঁচাও কমিটি'র উদ্যোগে ৬ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত মহা আড়ম্বরে অরণ্য সপ্তাহ পালন হয়ে গেল। এলাকায় মানুষের পাশাপাশি বহু বাইরের মানুষ এই মহৎ কাজে আগ্রহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিল। অরণ্য সপ্তাহ ৬ জুন সূচনা করেন বর্তমান পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী । তিনি এই অরণ্য সপ্তাহ পালন এর তাৎপর্য সকলের সামনে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে সম্পাদক নূর হোসেন অরণ্য সপ্তাহ পালন পরিবেশ রক্ষায় কতখানি জরুরি তা জানান। এই অনুষ্ঠানে ৮ জুন যোগ দেন মাননীয় সাংসদ। সংস্থার উদ্যোগে প্রতিদিন এখান থেকে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন চারাগাছ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। রাস্তার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই ৭ দিন তারা প্রায় ২০০০ চারাগাছ বিলির ব্যবস্থা করেছিল। ‘সবজ বাঁচাও কমিটি'র এই কর্মপ্রয়াস ও উদ্যোগ এলাকায় প্রচুর উদ্দীপনা ও সাড়া ফেলেছে।

আজ এখানেই শেষ করছি, নিজের লেখাপড়ার দিকে খেয়াল রেখো। মা-বাবাকে সালাম দিও।

ইতি
রিজুয়ান আকন্দ

The most common causes of deforestation are cutting and burning the forestlands. Though the forest lands are cut and burnt for the sake of agriculture and habitant, environment is affected negatively. The removal of trees causes the birds and other animals living on them to leave the place. It also causes serious damage to the soil, as trees give protection to the soil as well.

= বৃক্ষ নিধনের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো বৃক্ষ কর্তন ও বনভূমি পোড়ানো। যদি বসবাস আর চাষাবাদের জন্য বন নিধন করা হয়, তবে পরিবেশের উপর এর মারাত্মক প্রভাব রয়েছে। বৃক্ষ নিধনের অর্থ হলো পশু-পাখির বাসস্থান ধ্বংস করা । এটা মাটির মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে কারণ গাছ মাটিকেও ধারণ করে থাকে।

নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর লিখুনঃ
7.

'চন্দ্র' শব্দের ৫টি প্রতিশব্দ লিখুন

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

'চন্দ্র' শব্দের ৫টি প্রতিশব্দঃ  চাঁদ, সুধাংশু, বিধু, শশী, হিমাংশু।

এক কথায় প্রকাশ করুনঃ
8.

অন্য উপায় নেই যার 

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

অন্য উপায় নেই যার = অনন্যোপায় ।

এক কথায় প্রকাশ করুনঃ
9.

ইহলোক বিষয়ক 

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

ইহলোক বিষয়ক = ঐহিক।

এক কথায় প্রকাশ করুনঃ
10.

ভ্রমরের শব্দ 

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

ভ্রমরের শব্দ = গুঞ্জন।

এক কথায় প্রকাশ করুনঃ
11.

আকাশে চড়ে যে 

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

আকাশে চড়ে যে = খেচর; আকাশচারী

এক কথায় প্রকাশ করুনঃ
12.

অনেকের মধ্যে এক 

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

অনেকের মধ্যে এক = অন্যতম।

Related Sub Categories