যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না = অজ্ঞাতকুলশীল
যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে
যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে = উদ্বাস্তু
কাঁচের তৈরি বাড়ি
কাঁচের তৈরি বাড়ি = শিশমহল
যা কষ্টে জয় করা যায়
যা কষ্টে জয় করা যায় = দুর্জয়
তিতাস একটি নদীর নাম
তিতাস একটি নদীর নাম গ্রন্থটির লেখকের নাম অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ভোলগা থেকে গঙ্গা
ভোলগা থেকে গঙ্গা গ্রন্থটির লেখকের নাম রাহুল সাংকৃত্যায়ন
সূর্য দীঘল বাড়ী
সূর্য দীঘল বাড়ী গ্রন্থটির লেখকের নাম আবু ইসহাক
নুরুল দীনের সারা জীবন
নুরুল দীনের সারা জীবন গ্রন্থটির লেখকের নাম সৈয়দ শামসুল হক
সোজন বাদিয়ার ঘাট
সোজন বাদিয়ার ঘাট গ্রন্থটির লেখকের নাম জসীমউদ্দীন
গড্ডলিকা প্রবাহ
গড্ডলিকা প্রবাহ = অন্ধ অনুকরণ
কলুর বলদ
কলুর বলদ = একটানা খাটুনি
ভূঁইফোঁড়
ভূইফোঁড় = অর্বাচীন/ হঠাৎ ধনী
পর্বতের মুষিক প্রসব
পর্বতের মুষিক প্রসব = বিরাট সম্ভাবনার সামান্য প্রাপ্তি
চক্ষু দান করা
চক্ষু দান করা = চুরি করা
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে সংঘটিত একটি গৌরবময় ও ঐতিহাসিক ঘটনা। এই যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাকিস্তানের শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করে। এর ফলে বাঙালিরা অসন্তোষে ফেটে পড়ে এবং ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়।
এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও সাধারণ জনগণ মিলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এই যুদ্ধে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায় এবং লক্ষ লক্ষ নারী নির্যাতিত হয়। তবে তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
মুক্তিযুদ্ধ শুধু একটি সামরিক সংগ্রামই ছিল না, এটি ছিল বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি, ও স্বকীয়তা রক্ষার আন্দোলন। এই যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে সাহস ও দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছিলেন, তা বাংলাদেশিদের মনে চিরকাল অম্লান থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা এখনো বাঙালির জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।