জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব গটা দেশে পড়লেও দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলই যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। একাধিক কারণে সেখানকার মানুষের জীবন জিবীকা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। দেশের অন্যত্র জনসংখ্যা বাড়লেও জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুলনা এলাকার এক দশকের জনসংখ্যা ৬০ হাজার কমে গেছে । উপকূলীয় বেড়ি বাধ ভেঙ্গে কৃষি জমিতে লবন পানি প্রবেশ করলেও প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং প্রভাবশালী চিংড়ি চাশীরা বাদ কেটে দিয়ে ফের লোনাপানি ঢুকিয়ে বাগদা চিংডির চাষ করছেন। লবনাক্ততার কারণে সামাজিক ভাবে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে, জীব বৈচিত্র্য , পরিবেশ , কৃষি ও মাংস সম্পদ ধ্বংস হছে। লবনাক্ততা কমাতে হলে উজান থেকে মিষ্টি পানির প্রবাহ বাড়াতে হবে, বন্ধ করতে হবে সমুদ্রের লবন পানির প্রবেশ। এর পাশাপাশি শুকিয়ে যাওয়া নদীগুলো খনন করে নাব্যতা বাড়াতেহবে । সম্প্রতিক কালে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে সীমিত পর্যায়ে লবনাক্ততা সহনীয় ধান উৎপাদন করা হলেও কৃষক খুব বেশি লাভবান হচ্ছে না। এই ধানের মান আরও বাড়াতে হবে। অন্যদিকে এই অঞ্চলে কৃষিজমিতে যাতে কেউ লবন পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ করতে না পারে, সে জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।