নারী পুরুষের সম-অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। সৃষ্টির দিক দিয়ে, শিক্ষার দিক দিয়ে উভয়ের মাঝে কোন পার্থক্য বা বৈষম্য নেই। সর্বক্ষেত্রে নারী আজ ঈর্ষণীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উন্নয়নে নারী সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। নারী আজ তার মেধা ও কর্মদক্ষতার বলে উন্নত, উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পদে অধিষ্ঠিত। তাই সার্বিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীর সম্পৃক্ততা একাত্ত্বই বাঞ্ছনীয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা, সম্পদ ও বাজার ব্যবস্থাপনায় নারীর পূর্ণ ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারলে উন্নয়ন কর্মকান্ডের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। অবশ্য বাংলাদেশ সরকার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারীর সম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।