উদ্ভিদে কোষ বিভাজন মূলত দুই প্রকার:

মাইটোসিস (Mitosis):

• এই ধরনের কোষ বিভাজনের মাধ্যমে সোম্যাটিক কোষ বা শরীরের কোষ গুলো বিভক্ত হয়।
• এই প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষ থেকে দুটি অভিন্ন কন্যা কোষ সৃষ্টি হয়।
• মাইটোসিসের ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি, ক্ষত সারানো এবং অযৌন প্রজনন সম্ভব হয়।

মিয়োসিস (Meiosis):

• এই ধরনের কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জেনেটিক বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয় এবং যৌন প্রজননের জন্য জরুরি গ্যামেট বা যৌন কোষ তৈরি হয়।
• একটি মাতৃকোষ থেকে চারটি অভিন্ন কন্যা কোষ সৃষ্টি হয়।
• মিয়োসিস দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়: মিয়োসিস I এবং মিয়োসিস II.

কোষ বিভাজনের গুরুত্ব:

• বৃদ্ধি: নতুন কোষ সৃষ্টি করে উদ্ভিদ বৃদ্ধি পায়।
• ক্ষত সারানো: ক্ষতিগ্রস্ত অংশের নতুন কোষ তৈরি করে ক্ষত সারানো হয়।
• অযৌন প্রজনন: মাইটোসিসের মাধ্যমে কলম, দালা ইত্যাদি দিয়ে নতুন উদ্ভিদ তৈরি করা যায়।
• যৌন প্রজনন: মিয়োসিসের মাধ্যমে গ্যামেট তৈরি হয় যা পরবর্তী প্রজন্মের জেনেটিক বৈচিত্র্য নিশ্চিত করে।