গ্লাইকোজেনের সংজ্ঞা

গ্লাইকোজেন হল একটি শাখাযুক্ত পলিস্যাকারাইড যা গ্লুকোজ ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত এবং প্রাণী এবং মানুষের মধ্যে শক্তি সঞ্চয়ের প্রাথমিক রূপ হিসাবে কাজ করে।

গ্লাইকোজেনের বৈশিষ্ট্য

গ্লাইকোজেন, যাকে প্রায়শই "প্রাণীর মাড়" বলা হয়, এটি প্রাণীদের মধ্যে একটি প্রধান শক্তির রিজার্ভ, যার প্রতিরূপ উদ্ভিদে স্টার্চ। এই জটিল কার্বোহাইড্রেট শরীরে উদ্বৃত্ত গ্লুকোজ জমা করার জন্য দায়ী। কাঠামোগতভাবে, গ্লাইকোজেন কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে যা একে অন্যান্য পলিস্যাকারাইড থেকে আলাদা করে:

1. আণবিক গঠন: গ্লাইকোজেনের আণবিক স্থাপত্য উদ্ভিদের স্টার্চের অ্যামাইলোপেকটিন উপাদানের স্মরণ করিয়ে দেয়। যাইহোক, গ্লাইকোজেনের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল এর আরও ঘন ঘন শাখা প্রশাখা, যা প্রায় প্রতি 8 থেকে 12 গ্লুকোজ ইউনিটে ঘটে।
2. গ্লাইকোসিডিক বন্ড: গ্লাইকোজেনের প্রাথমিক চেইনগুলি α(1→4) গ্লাইকোসিডিক সংযোগের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত গ্লুকোজ ইউনিট দ্বারা গঠিত হয়। অণুর শাখা বিন্দুগুলি α(1→6) গ্লাইকোসিডিক বন্ড দ্বারা সহজতর হয়। এই α-গ্লাইকোসিডিক সংযোগগুলি উন্মুক্ত হেলিকাল পলিমারের জন্ম দেয়, যা β-গ্লাইকোসিডিক বন্ড দ্বারা গঠিত প্রায় সরল স্ট্র্যান্ডের সাথে বিপরীতে, যেমন সেলুলোজের মতো কাঠামোগত অণুতে দেখা যায়।
3. মাইক্রোস্কোপিক চেহারা: মাইক্রোস্কোপিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হলে, গ্লাইকোজেন একটি অনন্য তারকাচিহ্ন বা তারার মতো রূপবিদ্যা প্রদর্শন করে, এটিকে অন্যান্য কোষীয় উপাদান থেকে আলাদা করে।
4. দানাদার ফর্ম: সেলুলার সাইটোসলের মধ্যে, গ্লাইকোজেন দানা হিসাবে উপস্থিত থাকে। এই কণিকাগুলির ব্যাস পরিবর্তিত হয়, সাধারণত 10 থেকে 40 এনএম এর মধ্যে।
5. গ্লাইকোজেনিন কোর: প্রতিটি গ্লাইকোজেন গ্রানুলের কেন্দ্রীয় একটি উত্সেচক গ্লাইকোজেনিন নামে পরিচিত। এই এনজাইমটি শুধুমাত্র গ্লুকোজের গ্লাইকোজেনে রূপান্তরকে অনুঘটক করে না বরং একটি প্রাইমার হিসাবে কাজ করে, গ্লাইকোজেন অণুর সংশ্লেষণ শুরু করে।

সারমর্মে, গ্লাইকোজেনের বৈশিষ্ট্য, এর জটিল শাখা থেকে তার অনন্য এনজাইমেটিক কোর পর্যন্ত, প্রাণী কোষের মধ্যে গ্লুকোজ সঞ্চয় এবং শক্তি বিপাকের ক্ষেত্রে এর বিশেষ ভূমিকাকে আন্ডারস্কোর করে।