জরিপে ত্রুটির কারণগুলো সাধারণত দুটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়: **নমুনা ত্রুটি (Sampling Error)** এবং **নমুনাবহির্ভূত ত্রুটি (Non-sampling Error)**। এই ত্রুটিগুলোর বিভিন্ন কারণ হতে পারে, যেমন:

### ১. নমুনা ত্রুটি (Sampling Error):
- **নমুনা নির্বাচনের ত্রুটি**: যদি জরিপের জন্য ব্যবহৃত নমুনা সমগ্র জনগোষ্ঠীর যথাযথ প্রতিনিধিত্ব না করে, তাহলে ত্রুটি হতে পারে।
- **নমুনার আকার**: ছোট আকারের নমুনা ব্যবহারে বৃহৎ জনসংখ্যার প্রকৃত বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত না হওয়ায় ত্রুটি হতে পারে।

### ২. নমুনাবহির্ভূত ত্রুটি (Non-sampling Error):
- **তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতির ত্রুটি**: প্রশ্নপত্রে ভুল প্রশ্নাবলী বা নেতিবাচক শব্দ ব্যবহারের কারণে উত্তরদাতারা বিভ্রান্ত হতে পারেন।
- **উত্তরদাতাদের পক্ষপাত**: কিছু উত্তরদাতা তাদের প্রকৃত মতামত না দিয়ে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
- **ডেটা সংগ্রহের ত্রুটি**: তথ্য সংগ্রহের সময় ত্রুটি, যেমন ভুল ডেটা এন্ট্রি, অসম্পূর্ণ ডেটা, বা তথ্য মিসিং থাকা।
- **অপ্রতিনিধিত্বমূলক তথ্য**: জরিপে কিছু গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ কম হলে তাদের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলিত নাও হতে পারে।
- **প্রশ্নপত্রের ভুল নকশা**: প্রশ্নগুলো যদি জটিল বা দ্ব্যর্থক হয়, তাহলে উত্তরদাতারা সঠিকভাবে বুঝতে না পারলে ভুল তথ্য প্রদান করতে পারেন।

এগুলো ছাড়াও, জরিপ পরিচালনার পদ্ধতি, সময়কাল, এবং অন্যান্য পরিবেশগত কারণও ত্রুটির উৎস হতে পারে।