এন্ডোসিম্বায়ন্ট বলা হয় মাইটোকন্ড্রিয়া এবং ক্লোরোপ্লাস্টকে।

এবার আসুন বিস্তারিত জেনে নিই কেন এই দুটি অঙ্গাণুকে এন্ডোসিম্বায়ন্ট বলা হয়:

• এন্ডোসিম্বায়ন্ট থিওরি: এই তত্ত্ব অনুযায়ী, একসময় স্বাধীন জীব ছিল এমন কিছু প্রাণী কোষের ভেতরে প্রবেশ করে সেখানেই বসবাস শুরু করে। কালক্রমে এই প্রাণীগুলো কোষের অংশে পরিণত হয়। এই ধরনের প্রাণীকেই এন্ডোসিম্বায়ন্ট বলা হয়।
• মাইটোকন্ড্রিয়া: মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শক্তিঘর হিসেবে পরিচিত। এর নিজস্ব DNA এবং রাইবোসোম রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, একসময় মাইটোকন্ড্রিয়া একটি স্বাধীন ব্যাকটেরিয়া ছিল যা কোষের ভেতরে প্রবেশ করে সেখানেই বসবাস শুরু করে।
• ক্লোরোপ্লাস্ট: ক্লোরোপ্লাস্ট উদ্ভিদের কোষে পাওয়া যায় এবং এটিই সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে। মাইটোকন্ড্রিয়ার মতো ক্লোরোপ্লাস্টেরও নিজস্ব DNA এবং রাইবোসোম রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, একসময় ক্লোরোপ্লাস্ট একটি স্বাধীন নীল-সবুজ শৈবাল ছিল যা কোষের ভেতরে প্রবেশ করে সেখানেই বসবাস শুরু করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন ভুল:

• রাইবোসোম: রাইবোসোম প্রোটিন সংশ্লেষণ করে এবং এটি কোষের বিভিন্ন অংশে পাওয়া যায়। এটি কোনোদিন স্বাধীন জীব ছিল না।
• লাইসোসোম: লাইসোসোম কোষের "পাচক" হিসেবে পরিচিত। এটি কোষের অপ্রয়োজনীয় পদার্থ ভেঙে ফেলে। এটিও কোনোদিন স্বাধীন জীব ছিল না।
• গলগি বডি: গলজি বডি কোষের বিভিন্ন পদার্থকে প্যাকেজ করে এবং পরিবহন করে। এটিও কোনোদিন স্বাধীন জীব ছিল না।