সঠিক উত্তর: গ্রাম পজিটিভ

ব্যাখ্যা:

• গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া: এই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর খুব পুরু হয় এবং পেপটিডোগ্লাইকান নামক একটি জটিল শর্করা ও অ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে গঠিত। গ্রাম রঞ্জন পদ্ধতিতে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো ক্রিস্টাল ভায়োলেট রঞ্জককে শোষণ করে এবং তা ধরে রাখতে পারে। ফলে মাইক্রোস্কোপে দেখলে এরা বেগুনি রঙের দেখায়।
• গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া: এই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর পাতলা হয় এবং পেপটিডোগ্লাইকানের পরিমাণও কম হয়। ফলে এরা গ্রাম রঞ্জন পদ্ধতিতে ক্রিস্টাল ভায়োলেট রঞ্জককে ধরে রাখতে পারে না এবং পরবর্তী রঞ্জক সাফ্রানিন গ্রহণ করে। মাইক্রোস্কোপে দেখলে এরা লাল বা গোলাপি রঙের দেখায়।
• হাইড্রোফিলিক ও হাইড্রোফোবিক: এই দুইটি শব্দ ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের জলকে আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে বোঝায়। গ্রাম পজিটিভ বা নেগেটিভ বর্ণনা করার জন্য এই শব্দ দুটি ব্যবহার করা হয় না।

সুতরাং, যেসব ব্যাকটেরিয়া রঞ্জকে রঞ্জিত হয় এবং তা ধরে রাখতে পারে তাদেরকে গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া বলে।

গ্রাম রঞ্জন পদ্ধতির গুরুত্ব:

• ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণিবিন্যাস: গ্রাম রঞ্জন পদ্ধতি ব্যাকটেরিয়াকে দুটি বড় গোষ্ঠীতে ভাগ করতে সাহায্য করে।
• রোগ নির্ণয়: অনেক রোগের কারণ হিসেবে গ্রাম পজিটিভ বা নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দায়ী। এই পদ্ধতি দিয়ে ব্যাকটেরিয়াকে শনাক্ত করে রোগ নির্ণয় করা হয়।
• অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন: বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী। গ্রাম রঞ্জন পদ্ধতি দিয়ে ব্যাকটেরিয়ার ধরন নির্ণয় করে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন করা হয়।