সঠিক উত্তর হল: i. অকোষীয়, ii. অতি আণুবীক্ষণিক এবং iii. পূর্ণ পরজীবী সবগুলোই।

বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

• অকোষীয়: ভাইরাসের কোনো নিজস্ব কোষ থাকে না। এরা জীবিত কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেই নিজেদের প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে।
• অতি আণুবীক্ষণিক: ভাইরাস খুবই ছোট, সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যায় না। এদের দেখার জন্য ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করতে হয়।
• পূর্ণ পরজীবী: ভাইরাস নিজে নিজে কোনো কাজ করতে পারে না। এদের বেঁচে থাকার জন্য এবং প্রজননের জন্য অন্য কোনো জীবের কোষের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ, ভাইরাস পুরোপুরি অন্য কোনো জীবের উপর নির্ভরশীল।

সুতরাং, ভাইরাস হল একটি অকোষীয়, অতি আণুবীক্ষণিক এবং পূর্ণ পরজীবী।

এছাড়াও, ভাইরাসের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:

• জিনোম: ভাইরাসের জিনোম DNA বা RNA দিয়ে গঠিত হতে পারে।
• ক্যাপসিড: ভাইরাসের জিনোমকে একটি প্রোটিন আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে, যাকে ক্যাপসিড বলে।
• সংক্রমণ: ভাইরাস একটি কোষে প্রবেশ করে, তার জিনোমকে কোষের জিনোমের সাথে মিশিয়ে দেয় এবং নতুন ভাইরাস তৈরি করে।
• রোগ সৃষ্টি: অনেক ধরনের ভাইরাস বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। যেমন: কমন কোল্ড, ফ্লু, এডস ইত্যাদি।