গভীর জলের মাছ ।
গভীর জলের মাছ (ধূর্ত) = কেরামতের সাথে চলবে খুব সাবধানে, সে গভীর জলের মাছ।
একচোখা ।
একচোখা (পক্ষপাতদুষ্ট) = নিজের ছেলের দোষ তার চোখেই পড়ে না, সে আসলে একচোখা ।
তুলসী বনের বাঘ।
তুলসী বনের বাঘ (ভশু) = লোকটা মুখে এক কথা বলে, কাজে করে অন্যটা, সে আসলে তুলসী বনের বাঘ।
অন্ধকারে ঢিল মারা ।
অন্ধকারে ঢিল মারা (পুরোপুরি আন্দাজে কাজ করা) = অন্ধকারে ঢিল না ডুরে মুল ঘটনাটি জানার চেষ্টা করে।
চিনির পুতুল।
চিনির পুতুল (শ্রমকাতুরে) = ছাত্র জীবন অধ্যয়নের সময়, চিনির পুতুল হলে চলবে না।
বিদেশে থাকে যে।
= প্রবাসী
ঈসৎ পরিমাণ উষ্ণ যাহা।
= ঈষদুষ্ণ
প্রিয় বাক্য বলে যে নারী।
= প্রিয়ংবদা
ফল পাকলে মারা যায় যে গাছ।
= ওষধি
যার উপস্থিত বৃদ্ধি আছে।
= প্রত্যুৎপন্নমতি
নয়ন ।
= নে + অন
সংবাদ ।
= সম্ + বাদ
পুরস্কার।
= পুরঃ + কার
সূর্যোদয়।
= সূর্য + উদয়
গবেষণা।
= গো + এষণা
সদয় ।
= নির্দয়
প্রকাশ্য।
= গোপনীয়
বাচাল ।
= স্বল্পভাষী
বিরাগ ।
= রাগ
সঞ্চয়।
= অপচয়
”পরিবেশ দূষণ”
প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনায় প্রাণী জগৎ, উদ্ভিদজগৎ ও বায়ুমণ্ডলের অনিষ্ট সৃষ্টিকারী বস্তুর উপস্থিতি যা পরিবেশগত ভারসাম্যকে নষ্ট করে সেগুলো পরিবেশ দূষণের কারণ ।
পরিবেশ দূষণের কারণসমূহ: পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ: পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ ও মাটি দূষণ ।
পানি দূষণ: পানিতে বিষাক্ত দ্রব্য বা দূষিত বর্জ্য পদার্থ মিশ্রণের ফলে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়াকে পানি দূষণ বলে।
যে সকল কারণে পানি দূষিত হয় তা হল: কলকারখানার বর্জ্য পানিতে মিশে, পানির লাইন ফেটে এর সাথে ময়লা আবর্জনা মিশে, ফসলের কীটনাশক পানিতে মিশে পানিতে কাপড় পরিষ্কার, মানুষ ও গবাদী পশুর গোসল করার দ্বারাও পানি দূষিত হয়। পানি দূষণের প্রভাব: পানি দূষণের ফলে বিভিন্ন ধরণের পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। যেমন: ডায়রিয়া; টাইফয়েড, কলেরা, জন্ডিস, অ্যামোবিক আমাশয় ইত্যাদি।
পানি দূষণযুক্ত রাখতে করণীয়ঃ
১. পানিতে আবর্জনা, সার বা বিষাক্ত দ্রব্য না ফেলা।
২. উপযুক্ত পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
৩. ভূগর্ভস্থ পানির পরিমিত ব্যবহার।
৪. জমিতে সার বা কীটনাশক ব্যবহারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
বায়ু দূষণ: বায়ু যখন প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য ব্যবহার অনুপযোগী হয় তখন তাকে বায়ু দূষণ বলে। বায়ুতে সীসা ও কার্বন মনো-অক্সাইড মিশ্রণের ফলে মানুষ দিন দিন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
যে সকল কারণে বায়ু দূষণ হয়: তেজস্ক্রিয়তার দ্বারা, কল-কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ার দ্বারা, যান-বাহনের থেকে নির্গত ধোঁয়ায় বিভিন্ন ধরণের বারুদ ও বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদি। বায়ু
দূষণের প্রভাব : বায়ু দূষণের ফলে মানুষ যে সকল রোগে আক্রান্ত হয় তা হল : শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে কষ্ট, অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি।
বায়ু দূষণমুক্ত রাখতে করণীয়:
১. ধুমপানের ধোঁয়া, যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখা।
২. ওজোন স্তরে ছিদ্র হয়ে যে সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে তা প্রতিরোধ করা।
৩. গ্রীণ হাউজ গ্যাসের কারণে উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ করা।
৪. আবর্জনাকে ধরণ অনুযায়ী পৃথক করে জমা ও অপসারণ করা।
৫. জনগণকে বৃক্ষ রোপনে উৎসাহী করা।
শব্দ দূষণ: শব্দ ৮০ ডেসিবলের বেশি হলে তা ক্ষতিকর। শব্দ দূষণের ফলে মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
যে সকল কারণে শব্দ দূষণ হয়: গাড়ির হর্ণ, ঘণ্টার শব্দ, কল-কারখানার শব্দ ইত্যাদির দ্বারা। শব্দ দূষণের প্রভাব: শব্দ দূষণের ফলে বিভিন্ন মানসিক রোগ হতে পারে। শব্দ দূষণ রোধে করণীয়:
১. উচ্চস্বরে কথা/চিৎকার করা যাবে না।
২. জোরে গান বাজানো যাবে না।
৩. হাইড্রোলিক হর্ণ/ বোমাবাজি/ বিকট আওয়াজে স্লোগান ইত্যাদি করা যাবে না।
৪. শব্দ শোষক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
মাটি দূষণ: মাটি দূষণ বলতে মাটির উর্বরতা ক্ষমতা হ্রাস পাওয়াকে বুঝায়। বিভিন্ন কারণে মাটি দূষণ ঘটে। যেমন: ভূমিক্ষয়, বায়ু প্রবাহ, বন্যা, বৃক্ষ নিধন, জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ, প্লাস্টিকের ব্যবহার ইত্যাদি। মাটি দূষণের প্রভাব: মাটি দূষণের ফলে মাটির উর্বরতা ক্ষমতা হ্রাস পায় । মাটি দূষণ মুক্ত রাখতে করণীয়:
১. প্লাস্টিকের ব্যাগ, পলিথিন পরিহার করতে হবে।
২. বৃক্ষরোপন, পাহাড় ও উচ্চভূমি রক্ষা করতে হবে
৩. কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ।
৪. ইটের বিকল্পে ব্লক ইট ব্যবহার।
৫. পরিকল্পিত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।