Janata Bank Ltd. Recruitment Test AEO ( RC) Written Examination Held On : 22.09.2017 || 2017

All

বাংলাদেশের জাতীয় আরে কৃষি খাতের অবদান ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ার কারণ ও প্রতিকার

পৃথিবীতে কৃষি প্রধান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কারণ বাংলাদেশের প্রায় জনগোষ্ঠী প্র পরোক্ষভাবে কৃষি কাজের সাথে জড়িত। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭ এর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট নিয়োজিত শ্রমশক্তির ৪৫.১% লোক কৃষির সাথে জড়িত। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে জিডিপিতে সার্বিক খাত সমূহের মধ্যে কৃষি খাতের অবদান ছিল ১৬% এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এই হার কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১৫:৩৩%, ঐ সময়ে জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদানের প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৩.৩৩% এবং ২.৬০%।

 সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে আমাদের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান হলো মাত্র ১৪.৭৯% আর প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩.৪০%, অথচ আমাদের জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক লোকই এই কৃষি পেশায় নিয়োজিত। আমাদের আয়কে ১০০ টাকা ধরলে বুঝতে হবে যে আমাদের দেশের অর্ধেক লোক কৃষিখাত থেকে মাত্র ১৪.৭৯ টাকা আয় করতে পারে। এটা সার্বিক কৃষি খাতের অনুন্নয়নের চিত্রই প্রকাশ করছে।

 কৃষিখাতের অবদান কমে যাওয়ার কারণঃ আমাদের জিডিপিতে সার্বিক কৃষি খাত মূলত কৃষি, বনজ ও মদন এই তিনটি উপখাত নিয়ে গঠিত। জাতীয় আয়ে এই তিনটি উপখাতের ভূমিকা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এর কারণগুলো নিম্নরূপঃ

  • কৃষি খাতে অদক্ষ শ্রমিকের পরিমাণ বেশি, তাই উৎপাদন কম হচ্ছে।
  • কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের ব্যবহার আমাদের দেশে এখনও অপ্রতুল।
  • গরীব কৃষক মূলধনের অভাবে তার জমিতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ফসল ফলাতে পারে না। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে খুব একটা নমনীয় নয়।
  • কৃষক সমাজের একটি বড় অংশ এখনো নিরক্ষর। শিক্ষার আলো তাদের নিকট পৌঁছায়নি, তাই প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবে তার উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ছে। 
  • কৃষি থেকে দক্ষ শ্রমিক ক্রমাগতভাবে অন্য পেশায় যাওয়ার কারণে এক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিকের অভাব দেখা যাচ্ছে। ফলে উৎপাদনও কমে

 

প্রতিকারঃ

  • কৃষকদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রত্যেক কৃষককে কৃষিদ্রব্য উৎপাদনের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে BADC অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
  • উন্নততর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার মত Know how কৃষকদের মধ্যে বাড়াতে হবে। প্রত্যন্ত কৃষকদের মধ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা পৌঁছে দিবে ও স্বল্প সুদে ঋণের মাধ্যমে এই প্রযুক্তি করে সহায়তা করতে হবে।
  • বরাবরই বলা হয় যে কৃষি-বান্ধব চালু করতে হবে। এ সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিয়তই সার্কুলার জারি করছে। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সেদিকে খুব একটা মনোনিবেশ করছে না, তাই এ ব্যাপারে জোর তদারকি প্রয়োজন।
  • উন্নততর সার ও বীজ উদ্ভাবন ও কৃষকদের মধ্যে তা বিনামূল্য বিতরণ করতে হবে। 
  • কৃষকদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তারা কৃষি পণ্য উৎপাদনে আরো আগ্রহী হয়।

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ব্যবস্থাপনা পরিচালক

'A' ব্যাংক লিমিটেড 

২৬ দিলকুশা, ঢাকা 

বিষয়ঃ কৃষিঋণ বিতরণ নিরুৎসাহিত করার জন্য আবেদন।

জনাব,

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। প্রতিবছর আমাদের জিডিপি'র প্রাং ১৫% থেকে ১৬% জায় এই কৃষিখাত থেকে আসে। তাই ব্যাংকিংখাত কৃষিঋণ বিতরণে সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চাষীরা আলু চাষ করে ক্রমাগত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে যে, প্রতি বছর রাজশাহী ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের চাষীরা বিপুল পরিমাণ আলু চাষ করছে কিন্তু বিক্রির সময় ঐ আলুর খরচ মূল্য ঘরে তুলে আনতে পারছে না। আলুর নাম ভীষণভাবে কমে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আলু চাষীদের মধ্যে বিতরণকৃত ঋণ খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। তাই এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ খেলাপি ঋণের উৎপত্তি হয়েছে।

আপনার কাছে বিনীত আবেদন এই যে, উপরিউক্ত বিষয়টি পর্যালোচনা করে আলু চাষীদের মধ্যে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণও এ সম্পর্কিত একটি নোটিশ হবে সার্কুলার জারির মাধ্যমে আলু চাষীদের মধ্যে বিতরণে নিরুৎসাহিত করতে আপনার মর্জি হয়।

 

বিনীত নিবেদক

মোঃ শফিকুল ইসলাম

শাখা ব্যবস্থাপক

রাজশাহী সদর শাখা

'A' ব্যাংক লিমিটেড ।