বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক দুর্নীতির একটি বিরূপ প্রভাব রয়েছে।
ত্বরিত গতিতে কাজ করতে ব্যর্থ কারণে তাকে বারবার তিরস্কার করা হচ্ছে।
ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায়/ ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়।
এখন দুইটা বেজে পনের মিনিট।
কৃষি নির্ভর অর্থনীতি বনাম শিল্প ও সেবা খাত নির্ভর অর্থনীতি । প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর অর্থনীতি বনাম শিল্প ও সেবা খাত নির্ভর অর্থনীতিঃ বাংলাদেশ একটি মিশ্র অর্থনীতির দেশ। আজ পর্যন্ত যে সমস্ত খাতগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে কৃষি, শিল্প ও সেবা অন্যতম। কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মানদণ্ডে এই তিনটি খাতকেই অাধিকার দেয়া হয়। এই তিনটি খাতের ১৫টি উপখাত রয়েছে। এদের যাতভিত্তিক অবদানেই অর্থনীতিতে জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন একটি কা করে থাকে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিংবা উন্নয়নের ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদতার কারণ হিসেবে এই তিন উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৬ অনুসারে বাংলাদেশের কৃষি খাতে এখনো ৪৫.১% লোক জড়িত। অর্থাৎ বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই কৃষি পেশায় নিয়োজিত। অথচ এই বিপুল জনগোষ্ঠী আমাদের জিডিপির ১৫%- ১৬% অবদান রাখে। অন্তত বিগত ৩ বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বিবেচনা করলে আমাদের কাছে এটাই দৃষ্টিগোচর হয়। অর্থাৎ কৃষিখাত দিয়ে কৃষির বিপ্লব ঘটানো সম্ভব, কৃষি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব কিন্তু সামগ্রিকভাবে একটি চালচিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। যেখানে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী মিলে মোট জিডিপি'তে মাত্র ১৫%-১৬% ভূমিকা রাখছে, সেখানে সেবা ও শিল্পখাত মিলে মোট জনগোষ্ঠীর ৫৪.৯% লোক মোট জিডিপি'র ৮৪%-৮৫% ভূমিকা রাখছে। জিডিপি'র আকারের ৩টি খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে সেবা খাত। এই খাত ৫০% এরও বেশি ভূমিকা রাখে। আর শিল্প খাতের ভূমিকা প্রায় ৩০% এর মতো। স্বাধীনতা লাভের পর হতে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশের মানুষের তা মাথাপিছু আয় বাড়ছে, এর পেছনে কৃষিখাত অপেক্ষা সেবা ও শিল্প খাতের ভূমিকাই মূখ্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম ২০১৭ অনুযায়ী বর্তমানে মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬০২ মার্কিন ডলার। এভাবে শিল্প ও সেবা খাতের অগ্রণী ভূমিকায় দেখ সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো ঊর্ধ্বমূখী হচ্ছে।
কৃষি এদেশের প্রাণ । কাজেই উন্নয়নের জন্য এই তিনটি খাতের কোনোটিকেই আমরা বাদ দিতে পারি না। কৃষিখাতকে আরো অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্র নতুন জাতের ফসলের উদ্ভাবনী দ্বারা উন্নত করতে হবে। এ খাতকে আরো অত্যাধুনিক ক্করতে পারলে কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়ে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। তাই আলোচনার শেষে আমরা বলব কৃষিকে আলাদা করে শুধু সেবা ও শিল্প খাতের কথা চিন্তা না করে বরং সব খাতের সম্মিলিত অবদানেই সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।