Infrastructural development accelerates the speed of economic development of a country.
একটি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
Bilateral trade agreements play a positive role in the growth of international trade.
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
বিশ্বায়নের এই যুগে কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নিয়োগযোগ্য ব্যক্তিদের দক্ষতার উন্নয়নের নিশ্চয়তা দেয় না।
Inadequate formal financing hinders the growth of small industries.
অপর্যাপ্ত আনুষ্ঠানিক অর্থায়ন ক্ষুদ্র শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়া ।
Many business in Bangladesh pay a monthly allowance to the interns.
বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান শিক্ষানবিশ কর্মীদেরকে মাসিক ভাতা দেয়।
ব্যাংকিং ও বিশ্বায়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশ্বায়নে ব্যাংকিং আর ব্যাংকিংয়ে বিশ্বায়ন এই দুটোই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত কয়েক দশক ধরে দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদনে (GDP) ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা ক্রমশ বেড়েই চলছে । বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের কথাই ধরা যাক। দেশটিতে মোট দেশজ উৎপাদনে সেবা খাতের অবদানের হার প্রায় ৫০ শতাংশের উপরে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপিতে ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা ছিল ৩.৪৫ শতাংশ এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এর পরিমাণ ছিল ৩.৪৬ শতাংশ। এই খাতে অবদানের প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৯.৯৫ শতাংশ এবং ৮.৫১ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন, নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, আন্তজার্তিক অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষেত্র সহজীকরণ এবং অর্থের অবাধ চলাচলে গতিশীলতা আনয়ন সর্বোপরি মুক্ত বাজার অর্থনীতির কারণে বিশ্ব আজ ক্রমেই হাতের মুঠোয় চলে আসছে।
ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বায়নে অর্থের অবাধ চলাচলে যে জিনিসটি সবচেয়ে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে চলছে তা হলো The Society for worldwide Inter bank Financial Telecommunication বা সংক্ষেপে SWIFT যা বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই একটি দেশের ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অন্য দেশের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যেকোন ধরনের আর্থিক লেনদেন সংঘটিত করতে পারে। SWIFT এর মাধ্যমে যেকোনো ধরণের ব্যাংক হিসেবের তথ্য একটি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যতার সাথে তদারকি করা যায়। SWIFT এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে যা খুবই নিরাপদ ও অপ্রবেশযোগ্য। এই ধরণের আর্থিক সেবা আন্তর্জাতিকভাবে চালু হবার পর থেকে দেশগুলোতে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা যেমন কমেছে, ঝুঁকিও হ্রাস পেয়েছে কয়েকগুণ। এখন L/C খুলে আর অর্থ পরিশোধের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে SWIFT Account থাকলে মুহূর্তের মধ্যে অর্থ একদেশ থেকে অন্যদেশে স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়। এভাবে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য উৎসাহিত হচ্ছে যা বিশ্বায়নকে ত্বরান্বিত করছে।
রেমিটেন্স বিশ্ব অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান। নিজ দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে গিয়ে কষ্টের অর্থ সঠিক ও নিরাপদে প্রেরণের জন্য পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে যা শুধু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে শক্তিশালীই করছে না, অর্থের সুষম বন্টনকেও উৎসাহিত করছে। শুধু ৮টি কিংবা ১০টি পিন কোডের মাধ্যমে একদেশ থেকে অন্য দেশে লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। কয়েক দশক পূর্বেও এই পদ্ধতি চালু ছিল না। কিন্তু ব্যাংকগুলোর International Banking এর কারণে এখন রেমিটেন্স সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা পেয়ে থাকি । Money Transfer, Ria, MoneyGram, Western Union ইত্যাদি সেবা সংস্থার মাধ্যমে এখন আন্তর্জাতিকভাবে অর্থের লেনদেন সম্ভব হচ্ছে। খুব কম খরচে এখন ব্যাংকে না গিয়ে ATM Booth থেকে শুধু পিনের মাধ্যমেও এই রেমিটেন্সের টাকা উত্তোলন করা যায় যা কিছুদিন আগেও চিন্তার বাইরে ছিল। এভাবে আর্থিক ক্ষেত্রে লেনদেনের বিস্তৃতি ঘটছে যা বিশ্বায়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
Internet Banking এর মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই এখন ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া সম্ভব। একাউন্ট ব্যালেন্স, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং লেনদেন সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য এখন ঘরে বসেই পাওয়া সম্ভব। Internet Banking জীবনকে করে দিয়েছে আরামদায়ক আর লেনদেনকে করেছে অনেক সহজতর। কাজেই আজ ব্যাংকিং যে মাত্রায় পৌঁছেছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে ব্যাংকিং যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। ব্যাংকিং খাত আজ বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে কিংবা বলা যায় তথ্য ও প্রযুক্তির বিশ্বায়নে ব্যাংকিং আজ সহজতর হয়ে গিয়েছে। EFTN বা Electronic Fund Transfer বা RTGS (Real Time Gross Settlement) এই Tool গুলো অর্থনীতিতে অর্থের গতিশীলতা দানে মূখ্য ভূমিকা রাখছে । এই Tool গুলো ব্যবহার করে এক ব্যাংকের হিসেব থেকে যেকোন ব্যাংক হিসেবে মুহূর্তের মধ্যে টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে । এগুলো ব্যাংকিংয়ে বিশ্বায়নেরই নামান্তর।
কিন্তু সার্বিক ব্যাংকিং খাতে অল্প কিছু Cyber Crime এর ঘটনা অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে। আজ Credit card গুলোর ক্লোন করে সংশ্লিষ্ট একাউন্ট হতে জালিয়াতি চক্র কষ্টের টাকা উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা SWIFT Code এর গোপনীয়তা নষ্ট করে দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে ফেলছে। তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে এই সকল Cyber Criminal প্রতিনিয়তই আপডেটেড হচ্ছে যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ । তাই অধিক কার্যকরী ও আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনই ব্যাংকিং ও বিশ্বায়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে না, যদি না এই সকল আর্থিক কেলেংকারী বন্ধে সুসম্বন্বিত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয় ।