দুর্নীতি দমন কমিশন || ডাটা এন্ট্রি / কন্ট্রোল অপারেটর (04-01-2020) || 2020

All

নিজেকে জানো

Know thyself (নিজেকে জানো) উক্তিটি করেছেন বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস। অন্যকে বা পৃথিবীকে জানতে হলে অবশ্যই নিজেকে জানতে হবে। নিজেকে জানা বলতে বুঝানো হচ্ছে নিজের ভিতরের সুকুমার বৃত্তিগুলোকে জানা ও সঠিকভাবে ব্যবহার করা এবং মন্দ দিকগুলোকে পরিহার করা। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে মহান আল্লাহ্ পাক অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরী করে রেখেছেন। সেই ক্ষেত্রকে সবদিক থেকে বিকশিত করাই হলো নিজেকে জানা ও চেনা। নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হাজার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। ব্যক্তির মধ্যে লুকিয়ে থাকা হাজারো প্রতিভাকে জাগ্রত করতে হবে। যখন নিজেকে ভালোমতো জানা হবে তখন সহজেই আপনি আপনার খারাপ দিকগুলোকে পরিহার করতে পারবেন। দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য একজন সঠিক মানুষের অনেক ভূমিকা থাকে। আর একজন সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে নিজেকে জানাটা খুবই জরুরী।

Created: 3 months ago | Updated: 17 hours ago

‘এর উপায় কি' নাটকটির রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন।

Created: 3 months ago | Updated: 14 hours ago

'সবুজপত্র' পত্রিকার সম্পাদকের নাম প্রমথ চৌধুরী।

'সোনার তরী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা ।

Created: 3 months ago | Updated: 17 hours ago

 ‘আশ্চর্য’ = আ + চর্য।

Created: 3 months ago | Updated: 17 hours ago

অভিসারী এর স্ত্রীবাচক শব্দ হলো অভিসারিণী ।

Created: 3 months ago | Updated: 17 hours ago

মধ্যপদলোপী কর্মধারয় (স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ)।

Created: 3 months ago | Updated: 17 hours ago

মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত বাক সংকেতের সংগঠনকে ভাষা বলে।  

Created: 3 months ago | Updated: 17 hours ago

প্রত্যক্ষ উক্তি আগামীকাল পরোক্ষ উক্তিতে পরের দিন হয়।

তিক্ততা শব্দটি গুণবাচক বিশেষ্য। 

Created: 3 months ago | Updated: 17 hours ago

বারো শব্দটি গণনাবাচক  শব্দ

পৃথিবীর দুর্যোগ প্রবণ দেশ সমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ দেশে দুর্যোগ সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৭০, ১৯৯১ এর ঘূর্ণিষড়, ২০০৭ এর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৯ এর ঘূর্ণিঝড় আইলা, ২০১৩ এর মহাসেন এবং ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪ এবং ২০০৭ সালের ভয়াবহ বন্যা। দেশের জনগণের ঝুঁকি হ্রাস এবং দুর্যোগ উত্তর পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের অন্যতম ‘ভিশন' হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সার্বিক সক্ষমতা শক্তিশালী করণের মাধ্যমে জনগণ বিশেষ করে দারিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি হ্রাস এবং বড় মাত্রার দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম একটি জরুরি সাড়া প্রদান পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি একটি দুর্যোগ সহনশীল দেশ গড়ে তোলা ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গৃহীত পদক্ষেপ/ব্যবস্থাঃ

ক. প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ/ব্যবস্থাঃ

  • প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন নির্ভর পদ্ধতির পরিবর্তে একটি যুগোপযোগী ও সমন্বিত সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আওতায় ঝুঁকি হ্রাস ও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা 
  • আইসিটি নির্ভর মাইক্রোজোনেশন ম্যাপ ভূমিকম্পের ঝুঁকি মুক্ত নগরায়নের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ভূমিকম্পজনিত বিপদাপন্নতা এবং ঝুঁকি বিবেচনা করে দেশের বড় তিনটি শহর যথাঃ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট এর মাইক্রোজোনেশনম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। দেশের ঝুঁকিপূর্ণ আরো ৬টি শহর যথাঃ ময়মনসিংহ, টাংগাইল, বগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী এবং রংপুরের মাইক্রোজোনেশন ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সকল বিল্ডিং এর ওপর জরিপ করে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে।

খ. আইন, নীতি, বিধি ও চুক্তি সংক্রান্ত পদক্ষেপ/ব্যবস্থাঃ

  • দুর্যোগের কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত এবং দুর্যোগের ঝুঁকি প্রশমনের লক্ষ্যে এর ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি, জাতীয় ও স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবন, সম্পদ ও মৌলিক অধিকার রক্ষার চাহিদা পূরণকল্পে যথাযথ আইনি কাঠামো দেয়ার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্তাপনা আইন ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে।
  • ‘উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ (২য় পর্যায়)' প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় দুর্যোগকালে দরিদ্র ও সহায় সম্বলহীন জনগোষ্ঠিকে নিরাপদ আশ্রয়দান; গবাদি পশু এবং গৃহস্থলির মূল্যবান সম্পদ ও অন্যান্য দ্রব্য-সামগ্রী দুর্যোগের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষাকরা এবং দুর্যোগকলীন সময় ব্যতীত অন্যান্য সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ও অন্যান্য জনহিতকরণ কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্ত ১৬টি জেলার ৮৬টি উপজেলায় সর্বমোট ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র ৫৩৩.১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৬ হতে শুরু হয়েছে এবং জুন ২০১৯ পর্যন্ত চলবে।
  • বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙ্গন এলাকার দরিদ্র ও সহায় সম্বলহীন জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের নিমিত্ত 'বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙ্গন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)' আওতায় এর ৪৩টি জেলার ১৫৪টি উপজেলায় সর্বমোট আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ঠ ৭২টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ গড়ে ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। জুন, ২০১৭ এর মধ্যে এগুলো সম্পন্ন হবে।

দুর্যোগ পূর্ববর্তী সতর্ককরণ সংকেত এবং জরুরি সাড়া প্রদান কার্যক্রমসমূহ

  • বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপ্রবণ দেশ। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা অন্যতম ৷ আগাম সর্তকবার্তা দুর্যোগের ঝুঁকি বা ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে অত্যন্ত সহায়ক। দুর্যোগের আগাম বার্তা প্রদানে ক্রমন্বয়ে অগ্রগতির কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অতীতের চেয়ে বর্তমান জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলকভাবে অনেক হ্রাস পেয়েছে। এ লক্ষ্যে নিম্নেবর্ণিত তিনটি পদ্ধতিতে দুর্যোগ বার্তা প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।
  • দুর্যোগের আগাম বার্তা ওয়েবসাইট, ই-মেইল এর মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের সাথে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডেও বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটের লিংক স্থাপন করা হয়েছে ৷
  • ইন্টারেকটিভ ভয়েস রেসপন্স (IVR) আবহাওয়া ও দুর্যোগ সংক্রান্ত তথ্য ও আগাম সতর্কতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সর্ব সাধারণের মধ্যে পৌছে দেয়ার জন্য দেশের সকল মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে Interactive Voice Response (IVR) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে যেকোন মোবাইল ফেন থেকে ১০৯৪১ কোড ডায়াল করে তারপর ১ ডায়াল করলে সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য আবহাওয়া বার্তা; ২ ডায়াল করলে নদীবন্দর সমূহের জন্য সতর্ক বার্তা; ৩ ডায়াল করলে দৈনন্দিন আবাহওয়া বার্তা; ৪. ডায়াল করলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত এবং ৫ ডায়াল করলে নদ/নদীর পানি হ্রাস ও বৃদ্ধি অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য অবহিত হওয়া যাবে ।
  • মোবাইল ক্ষুদ্র বার্তা বা Short Message Service (SMS) মোবাইল ক্ষুদ্র বার্তা মন্ত্রণালয়ের (১) দুর্যোগের সকল কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত, (২) অভ্যন্তরীণ সতর্কীকরণ বার্তা প্রচার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত, (৩) গণসচেতনতা ও প্রচার মাধ্যমের সাথে জড়িত কর্মকর্তাগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে সহায়ক করে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে যেকোন ক্ষুদ্র বার্তা কোন মোবাইল ব্যবহারকারীকে খুব অল্প সময়ে পাঠানো সম্ভব। এ লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর হতে জেলা/উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদস্য-সচিবদের নিকট প্রয়োজনানুযায়ী দুর্যোগকালীন/ পরবর্তী সময়ে সচেতনতামূলক বার্তা (SMS) প্রেরণ করা হয় ।

৬৪টি জেলা এবং ৪৮৫টি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে অত্যাধুনিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র (ডিএমআইসি) স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ওয়েববেজড এপলিকেশনের মাধ্যমে দুর্যোগ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত তথ্য সেবা পাওয়া যাবে। যেমনঃ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের তথ্য, দুর্যোগের ঝুঁকি মানচিত্র, ঘূর্ণিঝড়ের ও জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাব্য প্লাবিত এলাকার মানচিত্র, সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের ডাটাবেজ ও লাইব্রেরি ইত্যাদি তথ্য সেবা অনলাইনে
পাওয়ার ব্যবস্থা আছে ।

Related Sub Categories