বাংলা বর্ণমালায় উম্মবর্ণ ৪টি। এগুলো হলোঃ 'শ, ষ, স, হ'। উল্লেখ্য, শ, ষ, স, হ' এই চারটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি উচ্চারণের সময় আমরা শ্বাস যতক্ষণ খুশি রাখতে পারি। তাই এগুলোকে বলা হয় ঘর্ষণজাত ধ্বনি বা উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি বা উষ্মবর্ণ বলে। ঘর্ষণজাত ব্যঞ্জন দুইটি (শ্ এবং হ্)। যেমনঃ দাশ, হাট ইত্যাদি। আর উচ্চারণস্থান অনুযায়ী ঘর্ষণজাত ধ্বনিগুলোকে এভাবে দেখানো যায়ঃ পশ্চাৎ দন্তমূলীয় (শ) এবং কণ্ঠনালীয় (হ্)।
হ্ন ও ব্লু যুক্তব্যঞ্জনের মধ্যে পার্থক্য হলোঃ ন (হ্ন) এবং ণ (হ)।
শুদ্ধোদন
শুদ্ধোদন = শুদ্ধ + ওদন।
ন্যূন
ন্যূন = নি + ঊন।
বিভক্তিহীন নাম শব্দকে প্রাতিপাদিক বলে । যেমনঃ হাত, বই, কলম ইত্যাদি
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি। উল্লেখ্য, ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ ‘এ’, 'য়', ‘তে' ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয় ।
যথাবিধি
যথাবিধি = বিধিকে অতিক্রম না করে (অব্যয়ীভাব সমাস)।
শিখণ্ডী
শিখণ্ডী = ময়ূর; কলাপী ।
নীলাম্বু
নীলাম্বু = সমুদ্র; সাগর।
মুমূর্ষু রোগীকে শুশ্রুসা কর ।
= মুমূর্ষু রোগীকে শুশ্রূষা কর।
হাঁটুর বয়স
হাঁটুর বয়স (নিতান্ত শিশু): বুড়ো হয়ে হাঁটুর বয়সের মানুষের সাথে ঝগড়া মানায় না ।
শ্রীঘর
শ্রীঘর (জেলখানা): বিনা টিকেটে রেলভ্রমণ করতে গিয়ে সে শ্রীঘরে গেল ।
বাতাসে চরে যে
বাতাসে চরে যে = কপোত ।
আকাশ ও পৃথিবী
আকাশ ও পৃথিবী = ক্রন্দসী ।
'চর্যাপদ' হলো গানের সংকলন। উল্লেখ্য, পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের পুঁথিশালা থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। এটি হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ১৯১৬ সালে 'হাজার বছরের পুরানো বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা' নামে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়।
শেরেবাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু' (১৯৭২) গ্রন্থটি লিখেছেন আবুল মনসুর আহমদ। এটি একটি রাজনীতিবিষয়ক গ্রন্থ। তাঁর রচিত আরেকটি রাজনীতিবিষয়ক গ্রন্থ হলো আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর (১৯৬৯)।
হাজার বছর ধরে' (১৩৭১) গ্রন্থটি লিখেছেন জহির রায়হান। এটি একটি উপন্যাস। তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাসগুলোঃ তৃষ্ণা (১৩৬২), শেষ বিকেলের মেয়ে (১৩৬৭), আরেক ফাল্গুন (১৩৭৫), বরফ গলা নদী (১৩৭৬), আর কত দিন (১৩৭৭) ও কয়েকটি মৃত্যু (১৩৮২)।
ঢেংগা
ঢেংগা = খাটো ।
গঞ্জনা
গঞ্জনা = বন্দনা ।