স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ || সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর (15-01-2021) || 2021

All

                                                                                                                    ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এ দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। ইতিহাসখ্যাত ৭ মার্চের ভাষণ। ২ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সারা বাংলায় পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ চলছিল। তৎকালীন পাকিস্তানি জনগণই শুধু নয়, বহির্বিশ্বের অনেকে এক অনন্য উদ্দীপনা নিয়ে তাকিয়ে ছিল, বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে কী বলেন। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য এ ছিল অন্তিম মুহূর্ত। অন্যদিকে স্বাধীনতার চেতনায় প্রদীপ্ত বাঙালি জাতির জন্য এ ভাষণ ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতীয় মুক্তি বা কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত সংগ্রামের সূচনা। 

ভাষণের বিষয়বস্তুঃ ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানের উত্তাল জনসমুদ্রে সভামঞ্চে 'রাজনীতির কবি' (নিউজউইক ম্যাগাজিনের ভাষায়, 'পোয়েট অব পলিটিকস') বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এলেন। বর্ণবৈষম্যবাদবিরোধী, আমেরিকার কালো মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা, বিশ্বনন্দিত মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো তাঁর জনগণকে একটি স্বপ্নের কথা বলতে নয়, নির্দেশের অপেক্ষারত উত্তাল বাঙালি জনসমুদ্রকে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের আহ্বান জানাতে। মাত্র ১৮ মিনিটের এক ভাষণ। বঙ্গবন্ধু তাঁর সংক্ষিপ্ত অথচ তেজস্বী ভাষণে পাকিস্তানের ২৩ বছরের রাজনীতি ও বাঙালিদের বঞ্চনার ইতিহাসের ব্যাখ্যা, পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে বাঙালিদের দ্বন্দ্বের স্বরূপ উপস্থাপন, অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি বিশ্লেষণ ও বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা, শাস্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধানে তাঁর সর্বাত্মক চেষ্টা, সারা বাংলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ, প্রতিরোধসংগ্রাম শেষাবধি মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেওয়ার ইঙ্গিত, শত্রুর মোকাবিলায় গেরিলাযুদ্ধের কৌশল অবলম্বন, যেকোনো উসকানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার পরামর্শদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরার পর ঘোষণা করেন: ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশা আল্লাহ। .............এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।' 

ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্যঃ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একজন দক্ষ কৌশলীর সুনিপুণ বক্তব্য। বিশেষত ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি “স্বাধীনতার' কথা এমনভাবে উচ্চারণ করেন, যাতে ঘোষণার কিছু বাকিও থাকল না, আবার তাঁর বিরুদ্ধে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করাও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জন্য সম্ভব ছিল না। বস্তুত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতারই ঘোষণা। তবে সরাসরি তা ঘোষণা না করে তিনি কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করেন। তাঁর অবস্থান ছিল: মেজরিটি বা সংখ্যাগরিষ্ঠ (বাঙালি) মাইনরিটি বা সংখ্যালঘিষ্ঠ (পশ্চিম পাকিস্তানি) থেকে বিচ্ছিন্ন হবে কেন? বরং মাইনরিটিই "সিসিড' বা বিচ্ছিন্ন হোক। বাস্তবে ২৫ মার্চ ১৯৭১ এমনটিই ঘটে। ৯ মাসব্যাপী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর এ কৌশল বা অবস্থান বাংলাদেশ সংগ্রামের পক্ষে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি। সম্প্রতি ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ড উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস: দ্য স্পিচেস দ্যাট ইনস্পয়ার্ড হিস্টরি (লন্ডন, ২০১৩) শিরোনামে মানবজাতির ইতিহাসের ২৫০০ বছরের ৪১ জন জাতীয় বীরের ভাষণ নিয়ে একটি বই সংকলন করেছেন। তাতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ভাষণকে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ১৮৬৩ সালের বিখ্যাত গেটিসবার্গ বক্তৃতার সঙ্গে তুলনা করা যায় । লিংকনের সে ভাষণও ছিল সংক্ষিপ্ত। মাত্র তিন মিনিটের। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উভয়ই ইতিহাসের মূল্যবান দলিল । লিংকনের কণ্ঠে ধ্বনিত হলো গণতন্ত্র সম্বন্ধে তাঁর বিখ্যাত উক্তি, 'দিস গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল অ্যান্ড ফর দ্য পিপল উইল নেভার পেরিশ ফ্রম দ্য আর্থ।' বঙ্গবন্ধু বললেন, 'সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।' বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যান্য শ্রেষ্ঠ ভাষণ থেকে উজ্জ্বল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। এ ভাষণ নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে রাতারাতি সশস্ত্র করে তোলে। একটি ভাষণকে অবলম্বন করে স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ বাঙালি জীবন উৎসর্গ ও কয়েক লাখ মা-বোন সম্ভ্রম বিসর্জন দেন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকালে এ ভাষণ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করে। বলা যায়, এই একটি ভাষণ একটি জাতিরাষ্ট্র, বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে, যা বিশ্বে নজিরবিহীন। জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেসকো এ ভাষণকে ৩০ অক্টোবর ২০১৭ বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে 'দ্য ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার'-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এক কথায় প্রকাশ করুন:
2.

যা আঘাত পায়নি।

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

যা আঘাত পায়নি = অনাহত

এক কথায় প্রকাশ করুন:
3.

অক্ষির অভিমুখে

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

অক্ষির অভিমুখে = প্রত্যক্ষ

এক কথায় প্রকাশ করুন:
4.

অসূয়া নেই এমন নারী

Created: 6 months ago | Updated: 3 weeks ago

অসূয়া নেই এমন নারী = অনুসূয়া

এক কথায় প্রকাশ করুন:
5.

ঈষৎ পীত বর্ণ

Created: 6 months ago | Updated: 2 weeks ago

ঈষৎ পীত বর্ণ = আপীত

এক কথায় প্রকাশ করুন:
6.

অধর প্রান্তের হাসি

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

অধর প্রান্তের হাসি = বক্রোষ্ঠিকামর

এক কথায় উত্তর দিন:
7.

সুপ্ত এর প্রত্যয় কী?

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

সুপ্ত এর প্রত্যয় √স্বপ্ + ক্ত

এক কথায় উত্তর দিন:
8.

সন্দেশ কী ধরনের শব্দ?

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

সন্দেশ রূঢ়ি শব্দ।

এক কথায় উত্তর দিন:
9.

বিশেষ্য পদ কত প্রকার?

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

বিশেষ্য পদ  ৫ প্রকার।

এক কথায় উত্তর দিন:
10.

পঞ্চায়েত কোন পদ?

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

পঞ্চায়েত সমষ্টিবাচক শব্দ।

এক কথায় উত্তর দিন:
11.

‘আদেশ’ ক্রিয়ার কোন ভাব?

Created: 6 months ago | Updated: 3 weeks ago

আদেশ ক্রিয়ার অনুজ্ঞা ভাব।

সন্ধি বিচ্ছেদ করুন:
12.

বৃষ্টি

Created: 6 months ago | Updated: 3 weeks ago

বৃষ্টি = বৃষ + তি

সন্ধি বিচ্ছেদ করুন:
13.

মস্যাধার

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

মস্যাধার = মসী + আধার।

সন্ধি বিচ্ছেদ করুন:
14.

অন্বয়

Created: 6 months ago | Updated: 2 weeks ago

অন্বয় = অনু + অয়

সন্ধি বিচ্ছেদ করুন:
15.

শীতার্ত

Created: 6 months ago | Updated: 3 weeks ago

শীতার্ত = শীত + ঋত

সন্ধি বিচ্ছেদ করুন:
16.

সঞ্চয়

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

সঞ্চয় = সম্ + চয়

লেখকের নাম লিখুন:
17.

ওদের জানিয়ে দাও (১৯৮৬)

Created: 6 months ago | Updated: 1 month ago

ওদের জানিয়ে দাও (১৯৮৬) বইটি লিখেছেন শাহরিয়ার কবির।

লেখকের নাম লিখুন:
18.

সবুজ মাঠ পেরিয়ে

Created: 6 months ago | Updated: 4 weeks ago

সবুজ মাঠ পেরিয়ে বইটি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

লেখকের নাম লিখুন:
19.

রাইফেল রোটি আওরাত

Created: 6 months ago | Updated: 1 week ago

রাইফেল রোটি আওরাত বইটি লিখেছেন আনোয়ার পাশা।

লেখকের নাম লিখুন:
20.

”গোরা”

Created: 6 months ago | Updated: 3 weeks ago

গোরা বইটি লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

লেখকের নাম লিখুন:
21.

সময়ের প্রয়োজনে

Created: 6 months ago | Updated: 3 weeks ago

সময়ের প্রয়োজনে বইটি লিখেছেন জহির রায়হান।

চন্দ্র তার স্নিগ্ধ আলো দিয়ে পৃথিবীকে রমণীয় করে তোলে। কিন্তু নিজের গায়ে মেখে নেয় কলঙ্কের দাগ। সেই কলঙ্ক তার কাছে অগৌরবের নয় বরং গৌরবের। এটাই মহতের ধর্ম। সংসারে যাঁরা মহৎ প্রাণ, তাঁরা যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট বুক পেতে নেন। তাঁরা নিজেরা সংসারের গরল পান করে হন নীলকণ্ঠ। কিন্তু সাধারণের হাতে তুলে দেন অমৃতের পাত্র। নিজেরা অনেক দুঃখ কষ্ট সয়ে সুধা সংগ্রহ করেন। কিন্তু সেই সুধা সকলকে বিতরণ করেই হন সার্থক। এই সমস্ত লোকেরা অনেক দুঃখ কষ্ট হাসি মুখে বরণ করে নেন। সমাজের এই সমস্ত সৎ, মহান মানুষেরা হন স্বার্থত্যাগী। নিজের থেকে এই সমস্ত লোক অপরের স্বার্থের কথা বেশি চিন্তা করেন। এ সমস্ত মানুষেরা শোষিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এই সমস্ত মানুষেরা অনেক লাঞ্ছনা আর দুর্ভোগ ভোগ করে। তাঁরা মানুষের জন্য অকাতরে জীবন উৎসর্গ করে দেন। মৃত্যুর মধ্য দিয়েই তারা জীবনের জয়গান গান। ক্ষুদ্র স্বার্থ তাঁদের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে। তবু তাঁদের মহৎ জীবনকে কতভাবেই না কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

Related Sub Categories