মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের দেশপ্রেম।
দুর্নীতি উন্নয়নের আন্তরায়
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল ও কুফল।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা
ভূমিকা: যোগাযোগের সাথে বিকাশের সম্পর্ক প্রায় অবিচ্ছেদ্য। উন্নত বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন যে যোগাযোগের সাথে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নের সংমিশ্রণ অবিচ্ছেদ্য। উন্নত পরিবহণ সংযোগ, কৃষি পণ্য, শিল্প কাঁচামাল সহজে এবং সস্তায় পরিবহণ করা যায়। উৎপাদন এবং শিল্প ও বাণিজ্য প্রসারিত হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়। যোগাযোগকে আজকের বিশ্বে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের একটি পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব নিচে তুলে ধরা হলো:
পদ্মা বহুমুখী সেতুঃ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। বাংলাদেশে চলমান এ প্রজেক্ট পুরকৌশল বিদ্যার উৎকর্ষের একটি মাইলফলক। পদ্মার মতো এত প্রমত্ত ও খরস্রোতা নদীতে সংযোগ সেতু নির্মাণের উদাহরণ বিশ্বে বিরল। সেতুটির ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি পান এরই মধ্যে বসানো সম্পন্ন হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য, ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ এবং চার লেনবিশিষ্ট সেতু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এরই মধ্যে সেতুটির ৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতু বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। প্রথমত, সেটি মানুষ ও পণ্যে যাতায়াতের সময় অনেক গুণ কমাবে, ব্রিজটি দক্ষিণাঞ্চল ও ঢাকার মধ্যে দূরত্বকে ১০০-১৫০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে, যাতায়াতের সময় কমপক্ষে ৩-৪ ঘণ্টা সাশ্রয় করবে। দ্বিতীয়ত, এ সেতুকে ঘিরে অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। পণ্য পরিবহন সহজ হওয়ায় ওই অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়বে এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্পোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪ হাজার বর্গকিলোমিটার বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯ শতাংশ অঞ্চলজুড়ে তিন কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবার উন্নয়নে এটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সেতুটিতে ভবিষ্যতে গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন ও ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি প্রায় ১ দশমিক ২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে এবং প্রতি বছর প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এমআরটিঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়ার যানবাহন ব্যবস্থা বর্তমানে প্রায় পুরোটাই সড়ককেন্দ্রিক। প্রাইভেট কার, বাস, সিএনজি অটোরিকশার সাথে একই রাস্তায় চলছে ধীরগতির রিকশা। ফলে শহরের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তৈরি হচ্ছে তীব্র ট্র্যাফিক জ্যাম। এ পরিস্থিতি মাথায় রেখে রিভাইজড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানের আওতায় ঢাকা শহরের ছয়টি রুটের জন্য গৃহীত হয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্প। এমআরটি লাইন ছয় এ প্রকল্পগুলোর মাঝে প্রথম নির্মাণাধীন প্রকল্প। উত্তরা থেকে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেলের এ রুটের দূরত্ব ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। এ পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট। ১৬টি স্থানে স্টেশন থাকবে। এর পুরোটাই হবে উড়াল সড়কে, মাটির ১৩ মিটার ওপর দিয়ে। শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য লাইনের পাশে থাকছে শব্দনিরোধক দেয়াল। প্রকল্পটি বছরে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করবে, যা জিডিপির ১ দশমিক ৫ এবং বাংলাদেশের মোট কর আয়ের ১৭ শতাংশের সমতুল্য। মেট্রোরেল প্রতি ঘন্টায় ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ফলে মেট্রোরেল স্থাপিত হলে রাস্তায় যাত্রী ও পরিবহন উভয়ের ওপরই চাপ কমবে।
বাস র্যাপিড ট্রানজিটঃ বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি একটি উন্নত মানের বাসভিত্তিক গণপরিবহন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে যাত্রীরা কম সময়ে, নিরাপদে ও আরামদায়কভাবে যাতায়াত করতে পারবে। সারা বিশ্বে বিআরটির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শিগগিরই বাস র্যাপিড ট্রানজিট চালু হতে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগরী ও গাজীপুরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজ করা এবং যানজট নিরসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি-৩) নির্মাণ বাংলাদেশের যোগাযোগ ও পরিবহন খাতে একটি অনন্য মাইলফলক। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সাড়ে ২০ কিলোমিটার যে বিআরটি-৩ হচ্ছে, তা বাস্তবায়ন হলে উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে, শেষ হতে পারে ২০২২ সালের জুনে। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিআরটি-৩-এর নির্মাণকাজ প্রায় ৫২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তা সামগ্রিকভাবে দেশের যোগাযোগ, অর্থনীতি, শিক্ষা, আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া শহরের পূর্বাংশে বিআরটি-এ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি নারায়ণগঞ্জ থেকে ইস্টার্ন বাইপাস হয়ে আগুলিয়া পর্যন্ত যাবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ৩৬ কিলোমিটার। বিজারটি-৭-এর সমান্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, পানী, মহাস্থানী, তের, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রবাড়ি হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেরা কৃষখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অংশের দৈর্ঘ্যা ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার যাতে র্যাম্প ৩১টি, মোট দৈর্ঘ্য (যার) ৪ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ব্যয় হবে প্রায় ১২২ বিলিয়ন টাকা। এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে ঢাকা শহরের উত্তর ও দক্ষিণাংশের সংযোগ সহজ হবে, ট্র্যাফিক ধারনক্ষমতা বাড়বে, যাত্রার সময় কমবে। এর ওপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ খুলে দেওয়া হবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সার্বিকভাবে প্রকল্পটি যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণ, দেশের অর্থনৈতিক চিন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
শব্দের অনেক শক্তি আছে। এগুলো সাহায্য করতে পারে, কোনো কিছুর ইঙ্গিত প্রদান করতে পারে। এগুলো হতে পারে আশীর্বাদ কিংবা অভিশাপ। নির্মম শব্দমালা অনেক ক্ষতিকর। সুমধুর শব্দমালা অনেক ভালো কিছু করতে পারে। একটি মন্দ শব্দ দ্বারা বন্ধুর সুখ বিনষ্ট করা যায়, তেমনি একটি সুখাবহ শব্দের দ্বারা একটি ভগ্ন হৃদয়কে আন্দোলিত করা যায়। এতে কোনোই পয়সা লাগে না। দামী উপহারের চেয়েও একটি সুন্দর শব্দ অনেক গ্রহণযোগ্য।
মেঘের ধ্বনি
মেঘের ধ্বনি = জীমূতমন্ত্র
সাপের খোলস
সাপের খোলস = নির্মোক
একশত পঞ্চাশ বছর
একশত পঞ্চাশ বছর = সার্ধশতবর্ষ
দেখবার ইচ্ছা
দেখবার ইচ্ছা = দিদৃক্ষা
পা ধোয়া পানি
পা ধোয়া পানি = পাদ্য
পিপিলিকা
পিপিলিকা = পিপীলিকা
বুদ্ধিজীবী
বুদ্ধিজীবী = বুদ্ধিজীবী
ঐশরিক
ঐশরিক = ঐশ্বরিক
সৈরাচারি
সৈরাচারি = স্বৈরাচার
মরিচিকা
মরিচিকা = মরীচিকা
বাধা
বাধা = বাঁধা
অন্ন
অন্ন = অন্য
অভিবাসন
অভিবাসন = অভিভাষণ
রোঁদ
রোঁদ = রোদ
আবাস
আবাস = আভাস