‘পৃথিবীতে’ কে কাহার?
‘পৃথিবীতে’ কে কাহার? → অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি ।
তিনি ‘চোখে‘ দেখেন না
তিনি 'চোখে' দেখেন না। → করণ কারকে ৭মী বিভক্তি।
ছেলেরা ‘ক্রিকেট‘ খেলে
ছেলেরা 'ক্রিকেট' খেলে → কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি ।
আমার গানের ‘মালা‘ আমি করব কারে দান
আমার গানের 'মালা' আমি করব কারে দান। → কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি ।
জল পড়ে ‘পাতা‘ নড়ে
জল পড়ে 'পাতা' নড়ে। → কর্তায় শূন্য বিভক্তি ।
মনঃমুগ্ধকর
মনঃমুগ্ধকর → মনোমুগ্ধকর।
বিপরিত
বিপরিত → বিপরীত ।
স্বান্তনা
স্বান্তনা → সান্ত্বনা ৷
অপরাহ্ন
অপরাহ্ন → অপরাহ্ন ।
বিসাদ
বিসাদ → বিষাদ ।
পবিত্র
পবিত্র → পো + ইত্র
সংখ্যা
সংখ্যা → সম্ + খ্যা।
মনীষা
মনীষা → মনস + ঈষা ।
ধাত্রী
ধাত্রী → ধাতৃ +ঈ
ততোধিক
ততোধিক → ততঃ + অধিক।
‘চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ
মূলভাব: মানুষের সব সম্পদের মধ্যে চরিত্রই বড় সম্পদ। উত্তম চরিত্রের লোক সর্বত্র সম্মান পেয়ে থাকে। পক্ষান্তরে, চরিত্রহীন ব্যক্তি অজস্র ধন সম্পদের অধিকারী হলেও সকলের ঘৃণার পাত্র ।
সম্প্রসারিত ভাব: ইংরেজিতে একটি কথা আছে 'The crown and glory of life is character'. চরিত্র মানবের মহার্ঘতম বস্তু, শ্রেষ্ঠতম অলংকার । হাদিসে আছে, “সবচাইতে পূর্ণ ঈমানদার সেই ব্যক্তি যার আখলাক অর্থাৎ চরিত্র সবচেয়ে ভালো।” চরিত্র সম্পদ অন্য সকল সম্পদ অপেক্ষা অধিক মূল্যবান। চরিত্র গৌরবে বলীয়ান মানুষ দেবতার মহিমায় পৃথিবীতে বিরাজ করে। চরিত্র মানুষকে ন্যায়, সত্য, সংযম ও শ্রদ্ধাবোধ শিক্ষা দেয় এবং সৎপথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে। চরিত্রবান ব্যক্তি সমাজের শিখাস্বরূপ। সে অর্থসম্পদে দীন হলেও গৌরবে মহান। কথায় আছে, “রাজার জোর অর্থে আর চরিত্রবান ব্যক্তির জোর হৃদয়ের। হৃদয়িক মহিমায় উজ্জ্বল চরিত্রবান ব্যক্তি সদালাপী, বিনয়ী ও জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। চরিত্রবান ব্যক্তি মহাপুরুষরূপে সমাজে সমাদৃত। পক্ষান্তরে, চরিত্রহীন ব্যক্তি পশুর সদৃশ। সে গন্ধহীন পুষ্পের মতো। তাই কেউ তাকে সম্মান করে না। কথায় আছে- টাকা কড়ি হারালে কিছুই হারায় না, স্বাস্থ্য হারালে কিছু হারায়; কিন্তু চরিত্র হারালে সব কিছুই হারাতে হয়। সুতরাং সমৃদ্ধিময় জীবনের জন্য চরিত্র প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। চরিত্রের মাধ্যমেই ঘোষিত হয় জীবনের গৌরব। মানুষের প্রকৃত পরিচয় তার চরিত্রে। চরিত্রবলেই মানুষ সুন্দর ও সার্থক হয়ে ওঠে।