গদাই লশকরি চাল
গদাই লশকরি চাল (ঢিলেমি)= গদাধর লশকর আসলে গদাই লস্কর।
কাঁচা আদায় ঝাল বেশি
কাঁচা আদায় ঝাল বেশি = অধমের অহংকার বেশি
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরা
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরা (ছোটতেই নষ্ট হওয়া/অল্প বয়সে বিগড়ানো)= ছেলেটি ভাল ছাত্র ছিল, সঙ্গদোষে কাঁচা বাঁশে ঘুন ধরেছে।
চাঁদের হাট
"চাঁদের হাট" (আনন্দের প্রাচুর্য, প্রিয়জনদের সমাগম) = অবসর জীবনে শরীফ সাহেব কৃতি সন্তানদের নিযে চাঁদের হাট বসিয়েছেন।
যমের দোসর
যমের দোসর (নিষ্ঠুর ব্যক্তি)= লোকটা যমের দোসর, তার ছায়া না মাড়ানোই ভালো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা বঙ্গবন্ধু সুড়ঙ্গ বা কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত নির্মানাধীন সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলরে যুক্ত করবে। এই সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে ঢাকা - চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টানেলটি নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। টানেল নির্মাণে ব্যয় হলেই ১২,৬৮ কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। এর নির্মাণ কাজ হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। এটির নির্মাতা প্রতিয়মান হচ্ছে চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (cccc)। টানেলটি নির্মাণে অর্থায়ন করে চীনের এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার।
প্রকল্পটির মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরকে চীনের সাংহাই শহরের আসলে 'ওয়ান সিটি টু (টাউন) রূপে গড়ে তোলা হচ্ছে। টানেলটি মূলত আনোয়ারা উপজেলাকে চট্টগ্রামের মূল শহরের সাথে যুক্ত করবে। এই প্রকারের অধীনে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৪ লেনের সড়ক টানেল নির্মাণ করা হবে। মূল টানেলে থাকবে দুটি টিউব যার দৈর্ঘ্য হবে ৩.৪ কিলোমিটার। এছাড়া টানেলের পূর্ব ও পশ্চিমে ৫.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সংযোগ সড়ক থাকবে। জানা যাচ্ছে এরই মধ্যে টানেলটির ৯৫ শতাংশের মতো কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহরকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে। একপাশে রয়েছে নগর ও বন্দর অন্যপাশে রয়েছে ভারী শিল্প এলাকা। কর্ণফুলী নদীর উপর ইতোমধ্যে ৩টি সেতু নির্মিত হয়েছে যা বিরাজমান প্রচুর পরিমাণ যানবাহনের জন্য যথেষ্ট নয়। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলি জমা একটি বড় সমস্যা।
পলি জমা সমস্যা মোকাবেলার জন্য কর্ণফুলী নদীর উপর আর কোন সেতু নির্মাণ না করে এর তলদেশে টানেল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। কর্ণফুলী নদীর মুখে অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমেই দেশের অধিকাংশ আমদানি ও রপ্তানি কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দর নগর কর্ণফুলী নদীর অপর অংশকে সরাসরি যুক্ত করবে এবং ঢাকা চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারা দেশের সাথে সংযুক্ত করবে ।
সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন করাই এই মনেলটি নির্মাণের অন্যতম কারণ। টানেলটি চালু এতে ঢাকা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের সাথে নতুন একটি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। টানেলটি চালু হলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে ১৫ কিলোমিটার। তিবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ের সাথেও সংযোগ স্থাপন করবে এই টানেল। সেই সাথে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব দিকের শহরাঞ্চলকে যুক্ত করে সেখানে উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এটি। অন্যদিকে পশ্চিম দিকে চট্টগ্রাম মূল শহরের সাথে সাগর ও বিমানবন্দরের দূরত্বও কমে আসবে। টানেলটি নির্মাণের পর চট্টগ্রাম বন্দরের সুযোগ সুবিধা বাড়বে। কম খরচে ভ্রমণ আরো সহজ হবে। আর দুই বন্দর থেকেই মালামাল পরিবহন সহজ হবে।
টানেল প্রকল্পকে ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ইকোনমিক জোনসহ বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ চলছে। আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড), বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় সার কারখানা কাফকো, চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালি উপজেলার মাতারবাড়িতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি স্টেশনসহ বহুবিধ শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। যার ফলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাবে। কর্ণফুলী চানেল নির্মিত হলে এই এলাকার আশেপাশে শিল্পায়ন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। ফলে দরিদ্র দূরীকরণসহ দেশের ব্যপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কে ঘিরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যার সুফল ভোগ করবে দেশবাসী। এখন অপেক্ষা কেবল শুভ উদ্বোধনের।
নিশিথীনি
নিশিথীনি = নিশীথিনী
বীভিষিকা
বীভিষিকা = বিভীষিকা
মন্ত্রীপরিষদ
মন্ত্রীপরিষদ = মন্ত্রিপরিষদ
সমিচীন
সমিচীন = সমীচীন
সৌহার্দ্যতা
সৌহার্দ্যতা= সৌহার্দ্য