শুদ্ধোদন
শুদ্ধোদন = শুদ্ধ+ওদন
উদ্বন্ধন
উদ্বন্ধন = উৎ+বন্ধন
পুনরাবৃত্তি
পুনরাবৃত্তি = পুনঃ+আবৃত্তি
দুষ্পাচ্য
দুষ্পাচ্য = দুঃ+পাচ্য
ভূর্ধ্ব
ভূর্ধ্ব = ভূ+ঊর্ধ্ব
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি
যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই
যে বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই- অবিসংবাদী
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না
যার বংশ-পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়- স্বয়ংবরা
আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে
আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে- পণ্ডিতম্মন্য
গোঁয়ার গোবিন্দ
গোঁয়ার গোবিন্দ (নির্বোধ অথচ হঠকারী): রহমান সাহেবকে সহজ সরল মানুষ মনে হলেও গোঁয়ার গোবিন্দ নন।
এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো
এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো (একই স্বভাবের): সমাজের দুর্নীতিবাজদের অবস্থা যেন এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানোর মতো।
তামার বিষ
তামার বিষ (অর্থের কুপ্রভাব): তামার বিষের কারণেই অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিই ধরাকে সরা জ্ঞান করে।
মন না মতি
মন না মতি (অস্থির মানব মন): জীবনে ভালো কিছু করতে হলে তোমার মন না মতি ভাব পরিহার করতে হবে।
মনিকাঞ্চন যোগ
মনিকাঞ্চন যোগ (সোনায় সোহাগা): বর যেমন সুপুরুষ, কনে তেমনি সুন্দরী; একেবারে মনিকাঞ্চন যোগ।
পূর্ব বাংলার মুক্তির সনদ 'ছয় দফা' বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মূলত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ অবসানের পর পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তার প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানি সরকারের চরম অবহেলা ও সীমাহীন বৈষম্যের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সোচ্চার হন। ১৯৬৬ সালেল ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিকসহ সকল অধিকার সম্বলিত ৬ দফাভিত্তিক এক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যা বাঙালির মুক্তির সনদ 'ম্যাগনা কার্টা' বা ৬ দফা নামে পরিচিত। ১৮-২০ মার্চ আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটিতে 'ছয়দফা' গৃহীত হয়। পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমান ২৩ মার্চ, ১৯৬৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে 'ছয়দফা' ঘোষণা করেন। জাতির জনক একে 'পূর্ব পাকিস্তানের বাঁচার দাবি' বলে অভিহিত করেন। ছয় দফার দফাসমূহ-
১. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে।
২. ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে শুধু দুটি বিষয়, প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্ক এবং অপর সব বিষয় ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত রাজ্যসমূহের হাতে ন্যস্ত থাকবে।
৩. পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে সমগ্র পাকিস্তানের জন্য ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটিই মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে, একটি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ও দুটি আঞ্চলিক রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে। তবে এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পুঁজি যাতে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হতে না পারে তার ব্যবস্থা সম্বলিত সুনির্দিষ্ট বিধি সংবিধানে সন্নিবিষ্ট করতে হবে।
৪. দুই অঞ্চলের বৈদেশিক মুদ্রা আয়করের পৃথক হিসাব থাকবে এবং অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা রাজ্যের হাতে থাকবে। তবে ফেডারেল সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা দুই অঞ্চল থেকে সমানভাবে কিংবা উভয় অঞ্চলের স্বীকৃত অন্য কোনো হারে আদায় করা হবে।
৫. দুই অংশের মধ্যে দেশিয় পণ্য বিনিময়ে কোনো শুল্ক ধার্য করা হবে না এবং রাজ্যগুলো যাতে যেকোন বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে সংবিধানে তার বিধান রাখতে হবে।
৬. প্রতিরক্ষায় পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে আধা- সামরিক রক্ষীবাহিনী গঠন, পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্র কারখানা স্থাপন এবং কেন্দ্রীয় নৌবাহিনীর সদর দফতর পূর্ব পাকিস্তানে স্থাপন করতে হবে।